পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ! সুপ্রিয় যাইতে পারেন নাই। কিন্তু যে সকল সৌভাগ্যশালী ধনী স্বাঙ্গেবীর সেবকদিগকে সুইমাত্র অন্ন দিয়া সাহিত্য সেবায় সহায়ত করিয়াছিলেন, র্তাহারা মানব-স্মৃতিতে অদ্যপি ীেবিত রহিয়াছেন, মানৰজাতি কৃতজ্ঞতাভরে সজিও তাঁহাদের নামকীৰ্ত্তন করিতেছে। সাহিত্যসেবায় সহায়তা করিলে যুগপৎ দেশের মঙ্গল-সাধন এবং নিজের নামকীৰ্ত্তন ও যশোলাভ হয় ; ক্ষণস্থায়ী সংসারে নশ্বর দেহধারী মানবের পক্ষে ইহা কি সামান্ত লাভ ? শ্ৰীহট্ট-সন্মিলনী আপনাদের সাহিত্য-সেবার সহানুষ্ঠানে আমার ক্ষুদ্র হৃদয়ের ক্ষুদ্র কথা যাঙ্গ বলিবার ছিল তাঙ্গা বলিলাম। উপসংহারে শ্রীহট্টসন্মিলনী সম্বন্ধে গোটা দুই কথা বলিয়া বক্তব্যের শেষ করিব । শ্রীহট্ট-সন্মিলনী বহুদিন হইল স্থাপিত হইয়াছে। বঙ্গদেশে আন জেলার এইরূপ সন্মিলনী স্থাপিত ঠইয়াছে, কিন্তু আমাদের এই সন্মিলনী বোধ ঠয় তাহীদের মধ্যে প্রাচীনতম । ইহা শ্রীহট্টের পক্ষে গৌরবের কথা বলিয়া মনে করিতে পারি। আজ আপনারা যে উদ্দেশ্যে এখানে সম্মিলিত হইয়াছেন, বিবেচনা করিতে গেলে শ্ৰীহট্ট-সন্মিলনীর উদেষ্ঠ তাঙ্গ হইতে অভিন্ন। ভধাকে এবং সাহিত্যকে উন্নত করিতে উঠলে কেবল আমাদের যত্নে তাহ সিদ্ধ ইষ্টবে না, তাহার জন্য শিশুর ধাত্রী এবং শিক্ষয়িত্রীস্বরূপিণী জননীকে প্রস্তুত করিতে ষ্টবে। বিপুল অর্থব্যয়সম্বুল স্কুল-কলেজ স্থাপন দ্বারা আর্য্যসমাজে যাহার সম্পাদন ঈসম্ভব, শ্ৰীহট্ট-সন্মিলনী অতি অল্পমাত্র ব্যয়ে, কেবল নিজের উৎসাহ এবং অমুরাগের বলে, সভাপতির অভিভাষণ ১৯৯ সেই দুরূহ অস্ত:পুরশিক্ষার ব্ৰতগ্রহণ করিয়াছেন। উৎসাহ এবং অনুরাগে যতদূর সম্ভব, যুবকের তাহাই করিতে পারেন ; কিন্তু এই গুরুতর কাৰ্য্যে যেরূপ চিন্তা, যেরূপ পরামর্শ, যেরূপ ব্যবস্থা এবং যে সামান্য অর্থব্যয় অনিবাৰ্য্য, যুবকেরা তাত কোথায় পাইবেন ? দেশের এবং সমাজের জ্ঞানবৃদ্ধ নেতৃগণ দূরে দাড়াইয়া কেবল তামাসা দেখিলে এই গুরুতর কার্য্য মুসম্পন্ন হইবে না। যুবকেরা এই শুভকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিয়া, এই বিনা-বেতনের চাকরি স্বেচ্ছায় স্বীকার করিয়া আপনাদিগেরই কাৰ্য্য করিতেছেন। আপনারা ইঙ্গাদিগের সঙ্গে যোগ ‘ দিলে ইঙ্গাদিগের উৎসাহ, অনুরাগ এবং কাৰ্য্যকরী শক্তি শতগুণে বৰ্দ্ধিত হইলে । আমার বিনীত প্রার্থন, আপনারা এই সুযোগ ছাড়িবেন না। ইগরা যে অন্তঃপুত্র-শিক্ষার পবিত্র ব্রত গ্রহণ করিয়াছেন, আপনাদের অভিজ্ঞতা এবং পরিণত চিন্তা-শক্তির সহায়তা পাইলে ইহারা আজ বহু চেষ্টাতেও যতটুকু করিয়া উঠিতে পারিতেছেন না, তাহার শতগুণ কাৰ্য্য করিতে পরিবেন, আমাদের পরিবারিক, জীবনে তাহার শতগুণ-সফলতা দেখাইয়া, শতগুণ মঙ্গল সাধন করিয়া ধন্য হইতে পরিবেন। কর্ণধার-বিহীন তরণীর ন্যায় আজ শ্ৰীহট্ট-সন্মিলনী বিব্রত। তাহার ভুলভ্ৰাস্তি থাকে, ব্যবস্থায় দোষ থাকে, প্রণালীতে ক্রটি থাকে, আপনার অগ্রসর হইয়া উপদেশ দ্বারা তাহ সংশোধন করিয়া দিন ; কিন্তু তাহার কার্য্যকলাপে উদাসীন থাকিয়া অথবা ভ্রম-ক্রটির জন্য তাছাকে ঘৃণার চক্ষে দেখিয়া এই মঙ্গলকার্য্য হইতে বিরত থাকিবেন না। আজ আপনাদের উদাসীনতায় ভগ্নহৃদয়