পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/২৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ર્શ મ:શIા ] ফলতঃ যত হিন্দুদেবতা-বিগ্রহ আছেন, उॉन गtश मान' श्श खशब्रारथव्र ७ई বিগ্রহের রূপকতা যেন সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক । এক দিক দিয়া দেখিতে গেলে, জগন্নাথের এই বিগ্রহের কোনও বিশিষ্ট রূপ নাই, এমনও বল। যাইতে পারে। শিশুরা যেমন দুইটা তিনটা রেখা যেমন তেমন ভাবে এদিক ওদিক টানিয়া বলে, এটা কেমন মানুষ বা কেমন ঘোড়া, বা কেমন হাতী দেখ ; জগন্নাথের এই দারুমূৰ্ত্তি যেন অনেকট। সেই ভাবেই রচিত হইয়াছে। শিশু-হস্তাঙ্কিত মানুষ বা ঘোটক বা হস্তীর চিত্রের মানুষত্ব বা ঘোটকত্ব বা হস্তিত্ব যেন সে সকল চিত্রেতে নাই, আছে কেবল চিত্রকরের নিজের মনে, এ সকল চিত্রের মানুষত্ব প্রভৃতি যেমন একান্তই মানসবস্তু, কিন্তু সত্য সত্য ইন্দ্রিয়প্রত্যক্ষ নয় ; জগন্নাথ-মূৰ্ত্তিরও অনেকট। সেইরূপ । পুরীর এই জগন্নাথবিগ্রহ কত দিনের, কবে ইহার প্রথম প্রতিষ্ঠা বা প্রচার হয়, পণ্ডিতেরা সে কথা বলিতে পারেন। সে প্রত্নতত্ত্বের বিচার এ প্রসঙ্গে নিম্প্রয়োজন । তবে . এ কথা নিঃসঙ্কোচে বলা যাইতে পারে যে যখন পুরী-তীর্থ প্রথমে স্থাপিত হয়, পুরীর মন্দির সর্ব প্রথমে যখন নিৰ্ম্মিত ও এই জগন্নাথ-বিগ্রহ রচিত হয়, তখন হিন্দুজাতির নিতান্ত , শৈশবাবস্থা নহে। সুতরাং শৈশবের অনভিজ্ঞতা ও অক্ষমতা হইতে এই জগন্নাথ-মূৰ্ত্তির স্বষ্টি হয় নাই। যে মন্দিরে এই মূৰ্ত্তির প্রতিষ্ঠা হয়, সেই মন্দিরের স্থাপত্য, ভাস্কৰ্য্য ও চিত্রাবলীই সেকালের হিন্দু চিত্রকলার অসাধারণ উৎ জগন্নাথের নবকলেবর Հ8:Տ) কর্যের প্রকৃষ্ট প্রমাণ ; আর যারা অন্যদিক দিয়া এমন কলাকুশলতাপূর্ণ চিত্রাদি রচনা করিতে পারিত, তারা যে নিতান্তই অজ্ঞতা বা অক্ষমতা হেতু এ অদ্ভুত জগন্নাথ-মূৰ্ত্তিটা নিৰ্মাণ করিয়াছিল, ইহা কল্পনা করাও যায় না। বরং এই মূৰ্ত্তিটার প্রতি দৃষ্টিপাত করা মাত্রই মনে হয় যেন কোনও নিগূঢ় উদ্বেগু সাধনের জন্তই ইহার কারিকরের এমন ভাবে বোকা সাজিয়া এ অপরূপ দেবমূর্কিট গড়িয়াছিলেন। বস্তুতঃ জগন্নাথকে মূৰ্ত্ত না অমূৰ্ত্ত বলিব, অনেক সময় তার এই বিগ্রহ দেখিয়া এই ৷ প্রশ্নই মনে জাগে। আমাদের ইংরেজি শিক্ষার অঞ্জনরঞ্জিত চক্ষে যাহা জগন্নাথমূৰ্ত্তির দোষ বলিয়া মনে হয়, তাহাই কি তার সর্বাপেক্ষ বেশী গুণের কথাও নয় ? আমরা ইহাকে কিস্তৃত কিমাকার ভাবি। গ্রীসের দেবমূৰ্ত্তি সকল কেমন মুন্দর, কেমন চিত্তাপহারক, কেমন তাবে আমাদের রঞ্জিনীরক্তিকে তৃপ্ত করিয়া সে মূৰ্ত্তি সকল অপূৰ্ব্ব রসে প্রাণমনকে পূর্ণ করিয়া দেয়! ভিনাস বা এপলো, জুনে বা এক্রডাইটিস আমাদের চক্ষে আর দেবতা নন। কিন্তু তথাপি এ সকল প্রাচীন যুরি যতটুকু নিৰ্ম্মমকালতরঙ্গাভিঘাত বহন করিয়া আমাদের নিকটে আসিয়া পৌঁছিয়াছে, তাহাতেই কত না দেবতাব আমাদের মধ্যে জাগাইয়া দেয়। মূৰ্ত্তিপূজা যদি করিতেই হয়, তবে এমনি সব মূৰ্ত্তিরই পূজা করা যায়, আমরা য়ুরোপীয়দের সঙ্গে যোগ দিয়া অনেক সময় এরূপই মনে করি। আর এ সকল গ্রীশীয় দেবমূৰ্ত্তির তুলনায় আমাদের