পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিত-চিত্র शtङ्गठग्ननांशं ( २ ) কেশবচন ब्राक्ष cश डेब्रउ ७ उँलांब छूमिटङ गाँश्य {ড়াইয়া এই অভিনব যুগ-আদর্শ প্রত্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন, সমাজের সাধারণ চিন্তা ও ভাবকে সেই ভূমিতে লইয়। যাইতে ইলে, সৰ্ব্বাদে তাহার সৰ্ব্ববিধ পূর্বসংস্কার নষ্ট করা আবশ্বক ছিল। প্রত্যেক গঠন কার্য্যের পূৰ্ব্বেই কতকটা ভঙ্গ আবশ্বক হয়। রাজাও যে কিছু ভাঙ্গেন নাই এমন নহে। কিন্তু তিনি ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গেই আবার গড়িয়া তুলিবারও চেষ্ট করিয়াছিলেন। প্রত্যেক যুগ-সদ্ধি কালে নূতনকে গড়িয়া তুলিবার জন্য প্রচলিত ও পুরাতনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করা আবশ্বক হয়। কিন্তু যুগপ্রবর্তক মহাপুরুষের কেবল এই সংগ্রাম ঘোষণা করিয়াই ক্ষান্ত হ’ন না। কোথায়, কিরূপে এই সংগ্রামের শান্তি হইবে, কোন স্বত্র ধরিয়া পুরাতনের ও নূতনের মধ্যে সামঞ্জস্য ও সঙ্গতি সাধন করিতে হইবে, উহাদের সম্যক দৃষ্টি হই ও প্রত্যক্ষ করিয়৷ থাকে। সুতরাংতাহার। পুরাতনের অপূর্ণতাকে পরিপূর্ণ করিয়াই, নূতনকেও আপনার সফলতার দিকে প্রেরণ করেন। এবং মৃতনের অভিষেক দিয়াই পুরাতনকেও সার্থক করিয়া তুলেন। কিন্তু যাহার এই সকল মহাপুরুষের অনুবৰ্ত্তী হইয়া সমাজ-ক্ষেত্রকে উহাদের প্রকাশিত যুগ-আদর্শের প্রতিষ্ঠার উপযোগী করিয়া গড়িয়া তুলিতে ব্ৰতী হন, কোথাও তাঁহাদের এই মহাজন-প্রতিভাস্থলভ সম্যক দর্শন থাকে না। থাকিলে তাহারা যে বিশেষ কাৰ্য্যে ব্ৰতী হ’ন, সেই কার্ষ্যের সফলতারই ব্যাঘাত জন্মাইয় দেয়। ফলত: প্রাকৃতজনের মধ্যে সম্যক দর্শন সচরাচর সংস্কার-কার্য্যের গতি-বেগকে একান্তভাবে কমাইয়া দিয়া তাহাদিগের কুর্খোদ্যমকে বহুল পরিমাণে নষ্ট করিয়া ফেলে। এই জন্যই সংস্কারকের পক্ষে কৰ্ম্মোৎসাহের যতট প্রয়োজন সম্যক দৃষ্টির ততটা প্রয়োজন নাই। একদেশদর্শিতা বেগবতী সংস্কারচেষ্টার জন্য একান্তই আবশ্বক। অতএব রাজ যে সমুন্নত যুগ-আদর্শ প্রকাশিত করেন, সেই আদর্শের যথাযোগ্য প্রতিষ্ঠার উপযোগী করিয়া সমাজক্ষেত্রকে গড়িয়৷ তুলিবার জন্য কেশবচন্দ্রের প্রথম বয়সের অপেক্ষাকৃত একদেশদর্শিনী সংস্কার চেষ্টারই একান্ত প্রয়োজন ছিল। পরবর্তীকালে, রাজার শিক্ষার অনুসরণ করিয়া, ক্রমে ক্রমে আমাদের স্বদেশী-সমাজে প্রাচীন ভারতের ও আধুনিক যুরোপের শ্রেষ্ঠতম আদর্শের মধ্যে যে উদার ও উন্নত সামঞ্জস্য প্রতিষ্ঠিত হইবেই হইবে, তাহারই প্রয়োজনে, কেশবচন্দ্রের দৈবীপ্রতিভা, তার প্রথম বয়সে, স্বল্পবিস্তর’একদেশদণী ধৰ্ম্ম ও সমাজ-সংস্কার কার্ষ্যে ব্ৰতী হইয়াছিল। কি ব্যক্তি, কি সমাজ, সকলেরই সত্যলাভের জন্য প্রথমে সৰ্ব্ববিধ পুৰ্ব্বসংস্কার বর্জিত হওয়া প্রয়োজন। শাস্ত্রের প্রমাণ, সঙ্গগুরুর মর্য্যাদা, সমাজবিধানের ধৰ্ম্মপ্রাণত, এ সকলকে স্বল্পবিস্তর