পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مدعیتیفکته جامعه .ウード বঙ্গদশ न /3/ーヘた。 - 胞 o \ , , * い"、、、 、”。 $.". " ( , ബ f : *NF/; , , ... প্রেমিক রবি "ডুং প্রেমের যে দৰ্শন-শাস্ত্র নাই, এ কথা অনুমোদনীয় নহে। কিন্তু ইহার দর্শন কাব্যের মধ্যেই রহিয়া গিয়াছে। অন্বেষণ করিয়া লইতে হয়, টানিয়া বাহির করিতে হয়। প্রথম যুগের . কবিগণ প্রেমের কোন বিশদ ব্যাখ্যা করিতে চেষ্টা করেন নাই। মধ্য যুগের কবিবৰ্গ মনুষাবর্গের মধ্যেষ্ট প্রেমসঞ্চারের পথ আবিষ্কার করিয়াছিলেন। ক্রমে প্রাণিবর্গ এমন কি উদ্ভিদ-বর্গের সহিত প্রেমসংস্থাপন আরম্ভ হইলে পর, প্রেমের সম্মান সমধিকরূপে বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল । এখন সমগ্র বিশ্বই প্রেমের ক্ষেত্র। সেই ক্ষেত্রকে পাশ্চাত্য কবিগণ nature বলিয়া অভিহিত করিয়া থাকেন ; আমরা তস্থাকে ‘প্রকৃতি’ ঘলিয়া থাকি । ঈশ্বর কে ? প্রকৃতির সহিত তাহার সম্বন্ধ কি ? প্রকৃতির মধ্যে তাহার তত্ত্ব এবং আভাস কি পাওয়া যায় ? — এ সকল কথা পূৰ্ব্বে দার্শনিকগণেরই খাদ্য ছিল, ক্রমে ইহা কবিগণের খাদ্য হইতে লাগিল। সৌন্দর্ঘ্যের মধ্যে, ছন্দের মধ্যে, গানের মধ্যে, এমন কি রাজনীতি ও সমাজনীতির মধ্যেও এই নিগুঢ় তত্ত্ব আন্দোলিত হইতেছে। প্রকৃতি ও পুরুষের সম্বন্ধ কি ? প্রেম কি সেই সম্বন্ধ ? এটা কি চিরন্তন সম্বন্ধ ? ইহার কত প্রকার ভাব, এবং ভাবের রূপান্তর দেখিতে পাই ? ইহার છેઃ ત્તિ હતા সার্থকতা কি ? এই দুৰ্দ্ধমনীয় প্রবৃত্তি সৎ কি অসৎ ? প্রকৃতি ও ঈশ্বয়ের কথা রবীন্দ্রনাথের কাব্যে পরিপূর্ণ। প্রকৃতির কবিগণের মধ্যে রবীন্দ্রনাথের স্থান কোন খানে, তাহ জানিবার কৌতুহল সকলেরই উদ্দীপ্ত হইবার সম্ভাবনা । ‘প্রকৃতি একটাকিস্তৃত কিমাকার পদার্থ। দর্শন-শাস্ত্র, বিজ্ঞান, কাব্য, ধৰ্ম্মশাস্ত্র সকলেরই নিকট ‘প্রকৃতি’র একটা না একটা অর্থ আছে। কিন্তু পুরুষ’ শব্দটি "কিস্তৃত’ ন৷ হউক, ‘কিমাকার কথা, কারণ অষ্টান্ত দেশে এ কথা ব্যাকরণ ছাড়া অন্ত কোন গ্রন্থে পাওয়া যায় না। ভারতবর্ষীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্রেই ইচ্চার ব্যবহার প্রথম ও শেষ । আমাদিগের শাস্ত্রে "পুরুষে’র পরিবর্তে আত্মা বলিলেও চলিবে ন, ঈশ্বর বলিলেও চলিবে না। দর্শন ও ধৰ্ম্মশাস্ত্রাদি দোহন করিয়া ‘মানবতত্ত্ব’ নামক একখানি গ্রন্থে কোন খ্যাতনাম পরিব্রাজক ‘প্রকৃতি’ শব্দের অর্থের একটা তালিকা দিয়াছেন। নিম্নে তাহা উদ্ধত করিলাম।