পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ল। অগত্য পাণ্ডুও. তাহাদিগকে লইয়৷ মিলয় উত্তীর্ণ হইয়া শতশৃঙ্গপৰ্ব্বতে মুনিবৃত্তি অবলম্বন করিলেন । ঘোর তপস্যtয় তাপসমৃথও তাহার নিকট পরাভূত । অনঙ্গ তাছার নিকট পরা জত । কিন্তু বংশলোপ-চিন্তা উহাকে জর্জরিত করিল। তখন কুন্তী হঁহাকে জানাইলেন যে, কস্তীকালে দুৰ্ব্বাস। নগেন্দ্রনাথ v5ჯაყ মুনির দেবী ও শুশ্রুষা করায় ঋষি প্রসন্ন श्हेप्लl ऊँश्itक ७मन ७क मल्ल निम्नttछ्न cश তাহার প্রভাবে যে কোন দেবতাকে তিনি আহবান করিবেন, সেই দেবতাই উহাকে পুত্র দিবেন। পাণ্ড আনন্দিত হইয়া ধৰ্ম্ম, বায়ু, ও ইন্দ্রকে আহবান করিতে বলিলেন । শাস্ত্রী শ্রীহরিচরণ গঙ্গোপাধ্যায় । ജ്ജബ নগেন্দ্রনাথ (বিষবৃক্ষ ) বিষবৃক্ষে স্বর্গের চারিটি ছবি, চারিটিষ্ট রত্ন প্রভা-মণ্ডিত । আমরা রমণীরত্নত্রয়ের মুণ্যাপধারণে প্রয়াস পাইয়াছি ; এখন পুরুষংগ্লের সৌন্দর্য্যাবলোকন করিয়া এ আগেথা দশন শেষ করিব । নগেন্দ্রচিত্র লিখনে আধার কবির সেই প্রথ1– প্রসঙ্গ ক্রমে অস্তের দ্বারা সে চিত্রের আভাস পদান করিয়াছেন । কুন্দনন্দিনীর প্রথম স্বপ্নে, তাছার মাত৷ জোতিন্ময়ীরূপে অঙ্গুলিসঙ্কেত দ্বারা গগনেপাস্তে দেখাইলেন, কুন তৎসঙ্কেতামুসারে দেখিল "নীলগগনপটে এক দেবনিন্দিত পুরুষমূৰ্ত্তি অঙ্কিত হইয়াছে। তঁহার উন্নত, প্রশস্ত, প্রশান্ত ললাট ; সরল সকরুণ কটাক্ষ; তাহার মরালবৎ দীর্ঘ ঈষৎ বঙ্কিম গ্রীব এবং অন্যান্য মহাপুরুষলক্ষণ দেখিয়া কাহারও বিশ্বাস হইতে পরে না যে, ইহা হইতে আশঙ্কা সস্তবে ।” কি কৌশণময় তুলিকা-সংযোগ ! এক রেখাপাতে একটি সমগ্র চিত্রের বহিরঙ্কণ পুর্ণতাপ্রাপ্ত ! অথচ কবি যেন এ স্থলে সে চিত্রের প্রতিফলনে চেষ্টিত নছেন। প্রথম দর্শনেই নগেন্দ্রনাথ ও কুন্দনন্দিনীর হৃদয়ে পরস্পরের আকৃতিগত মাধুর্ঘ্য বা বিশেষত্ব অঙ্কিত হইয়াছিল। কিন্তু এই আকর্ষণ প্রথমেই ক{হার হৃদয়ে প্রণয়ামুরাগে পরিণত হয় নাই । কুনের অপার্থিব দেহলবণ্যে নগেন্দ্রের চিত্ত বিমোহিত হইয়া থাকিলেও, কুন্দ নগেন্দ্রের হৃদয়ে দর্শনমাত্রেই প্রণয়পাত্রীরূপে স্থানাধিকার করিতে পারে নাই কেন, তাহা আমরা ব্যাখ্যা করিবার চেষ্টা করিয়াছি। স্বৰ্য্যমুখীর পূর্ণাধিকার অন্তের জন্ত স্থানবিশিষ্ট রাখিয়াছিল না। কুন্দ ৪ তখন বালিকামাত্র, নগেন্দ্রনাথের সৌন্দৰ্য্যপ্রভাব অন্তরে অনুভূতি করিয়া থাকিলেও, সে তাহার স্বভাব-সারল্যে তাঁহার হৃদয়ভাবের প্রকৃতি অবধারণ করে নাই। পরে যেীবনের পূর্ণ সৌন্দর্য্যের নিত্য সন্নিধ্যে পূৰ্ব্বানুভূতি পুষ্টিলাভ করিয়া যেমন একের হৃদয়ে রূপে:ম্মাদ আনিয়া উপস্থিত করিল, অন্তও সেইরূপ যৌবনের সতেজ হৃদয়বৃত্তির পরিপোষণোন্মুখী ছইয়া পূৰ্ব্বানুরাগে সজীবতা লাভ করিল।