পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 পারেন নাই বলিয়াই, কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজে তিনি আপনার অসঙ্গত একতন্ত্রপ্রভুত্ব রক্ষা করিতে যাইয়া আপনার শিষ্যগণের মধ্যে একটা প্রবল প্রতিবাদ জাগাইয়াতুলিলেন। যে ব্যক্তিত্বাভিমানী সংজ্ঞান বা Conscienceকে আশ্রয় করিয়া, দেবেন্ত্রনাথ প্রাচীন ও পুরীগত শাস্ত্রগুরু বর্জন করিলেন, সেই ব্যক্তিত্বাভিমানী সংজ্ঞানের মর্য্যাদা রক্ষা করিবার জন্তই, কেশবচন্দ্র প্রভৃতি ব্ৰাহ্মসমাজের যুবকদল, তাহার একতন্ত্র আধিপত্যের বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইয়া, ব্রাহ্মসমাজে এক নূতন বিদ্রোহীদলের স্বষ্টি করেন । এ জগতে প্রত্যেক বস্তু তার অনুরূপ বস্তুকেই উৎপাদন করিয়া থাকে। স্বদেশের শাস্ত্রগুরুর বিরুদ্ধে দেবেন্দ্রনাথের দ্রোহিত, আপনার কৰ্ম্মবশেষ্ট, তাহার নিজের সমাজে, আপনার শিষ্যগণের ভিতরে, এই নুতন দ্রোহীদলের :কৃষ্টি করিল। এই নুতন ব্রাহ্মসমাজ, কেশব চক্রের নেতৃত্বাধীনে, এমন পথ ধরিয়া চলিতে লাগিল, যtহাতে স্বদেশের শাস্ত্র ও সাধনার সঙ্গে দেবেঞ্জনাথ ষে বিরোধ জাগাইরাছিলেন, সেই বিরোধই আরো বেশী বিশদ ও তীব্র হইরা উঠিল । মহর্ষি এবং কেশবচন্দ্র উভয়েই যুরোপীয় যুক্তিবাদের দ্বারা অত্যন্ত অভিভূত হইয়াছিলেন। উভয়েই প্রকৃতপক্ষে সারংগ্রহবাণী ছিলেন। এই শ্রেণীর দার্শনিকদিগকে ইংরেজিতে Eclectic বলে । কিন্তু মহর্ষির যুক্তিবাদ যতটা সংযত ও সারসংগ্ৰহবাদ যে পরিমাণ স্বাদেশিক ছিল, কেশবচন্দ্রের যুক্তিবাদ ততটা সংযত ও তার সারসংগ্রহবাদ বা Eclecticism সে পরিমাণ স্বাদেশিক বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ,আশ্বিন, ১৩১৯ ब्रtश् नाङ्के । यशषिं चkश्नiब्र विात्रिदूतिं সত্যের একমাত্র ও অনন্ত প্রতিযোগী প্রামাণ্য. রূপে প্রতিষ্ঠিত করিয়া, সেই বিচারবুদ্ধির সাহাধ্যে স্বদেশের প্রাচীন শ্রুতি হইতে আপনার মনোমত সিদ্ধান্ত ও উপদেশাদি উদ্ধার করিয়া, তাহাকেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শাস্ত্র বলিয়া প্রচার করেন। কেশবচন্দ্র এই পথে যাইয়াই, জগতের সমুদায় ধৰ্ম্মসাহিত্য হইতে সার সংগ্ৰহ করিয়া, এই শ্লোকসংগ্ৰহকেই ব্রাহ্মধৰ্ম্মের উদার ঐতিহাসিক ভিত্তিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেন। যুরোপীয় যুক্তিবাদের মধ্যে একটা উদার বিশ্বজনীন ভাব আছে। মহর্ষির ব্রাহ্মসিদ্ধাস্তে বা ব্ৰহ্মসাধনে এই বিশ্বজনীনতা রক্ষিত হয় নাই । কেশবচন্দ্রের সিদ্ধান্তে ও সাধনায় ইহা খুবই ফুটিয়া উঠে। এইজন্ত যুক্তিবাদের নিক্তিতে ওজন করিলে, কেশবচন্দ্রের ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের মত, সিদ্ধান্ত, সাধনাদি, সকলই মহর্ষির মত, সিদ্ধান্ত ও সাধন অপেক্ষ শ্রেষ্ঠতর হইয় উঠে। কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজে মহর্ষির একতন্ত্র প্রভুত্বের প্রতিবাদ করিতে যাইয়াই ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজের জন্ম হয়। এইজন্য এই নূতন সমাজকে প্রথমে গণতন্ত্রতার আদর্শে গড়িয় তুলিবার কতকটা চেষ্টাও হইরাছিল। ইহার ফলে মহর্ষির সমাজে ব্রাহ্মসাধারণের ব্যক্তিত্ব ভিমানী সহজবুদ্ধি'র বা Intuitionএর যতটা প্রভাব ফুটয় উঠবার অবসর পায় নাই, কেশবচন্দ্রের ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজে, প্রথম প্রথম ভাহা তদপেক্ষ অনেক বেশি পরিস্ফুট হইয় উঠে। মহর্বির উপদেশে ও नाशtन भक$। हिन्यूठांद गर्फगांहे जॉर्थिक ছিল। এই কারণে কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজেট