পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৩৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ব্রাহ্মগণমধ্যে একট, বিনয়, একটা শ্রদ্ধ ও একটা সংযমের প্রভাবও সৰ্ব্বদাই দৃষ্ট হইত। এই লিনয়, শ্রদ্ধা ও সংযম হিন্দুর প্রকৃতিগত বস্তু। কিন্তু প্রোটেষ্টাণ্ট খৃষ্টীয় সাধন 4;făiilă itsăta si Consciencet ş বাড়াইতে যাইয়া, ধৰ্ম্মের এই প্ৰাণগত বন্ধগুলিকে অনেকটা নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছে। কেশবচন্দ্র প্রথম যৌবনে এই খৃষ্টীয় ভাবের দ্বারা অত্যন্ত অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিলেন । ষ্ঠীর শিক্ষাদীক্ষাতে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজেও ব্যক্তিগত সংজ্ঞান বা Conscience এর ভাবট নিরতিশয় প্রবল হইয়া, এই বিনয়, সংযম ও শ্রদ্ধা বস্তুকে এক প্রকার নষ্ট করিয়া ফেলে। এই ব্যক্তিত্বাভিমানী সংজ্ঞানের প্রাধান্ত আধুনিক যুরোপীয় যুক্তিবাদী ধৰ্ম্মসকলের প্রধান লক্ষণ। এই লক্ষণ ক্রান্ত হইয়া, আমাদের ব্রাহ্মসমাজেও, কেশবচন্দ্রের নেতৃত্বাধীনে যুক্তিবাদী ধৰ্ম্মর স্বরূপটী যতটা ফুটিয়া উঠে, মহৰ্ষির অধীনে, র্তার কলিকতা ব্রাহ্মসমাজে, ততটা ফুটিয়া উঠিতে পারে নাই। কেশবচন্ত্রের শিষ্যগণ জীবনের সকল বিভাগে, তত্ত্বসিদ্ধান্তে, ধৰ্ম্মসাধনে, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে, সৰ্ব্বত্র, এই ব্যক্তিত্বাভিমানী সংজ্ঞানের অনন্তপ্রতিযোগী প্রাধান্ত প্রতিফলিত করিতে যাইর, আধুনিক ভারত-সমাজে মছধি দেবেন্দ্রনাথ ধৰ্ম্মমীমাংসায় ও ধৰ্ম্মগাধনে যে রাজসিক ভাব জাগাইয়াছিলেন, তাহীকে আরো প্রবল করিয়া তুলিতে লাগিলেন। দেবেন্দ্রনাথ আমাদের বর্তমান সামাজিক বিবর্তনে ষে antithesis এর প্রতিষ্ঠা করেন, কেশবচন্দ্র তাহাকেই আরো বিশদ ও তীব্ৰ করিয়া তুলিলেন। চরিত-চিত্র Jb’6. দেবেন্দ্রনাথ, কেশবচন্দ্র ও শিবনাথ কলিকাতা ব্ৰাহ্মসমাজে মহর্ষি দেবেন্ত্রনাথের যে স্থান ছিল ; তার পরে, ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজে কেশবচন্দ্র ষে স্থান অধিকার করেন ; তৎপরবত্তী সাধারণ ব্রাহ্মসমাজে পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী সেই স্থানই প্রাপ্ত হন। ই হারা তিন জনেই, একের পর অঙ্গে, ব্ৰহ্মসমাজের ধৰ্ম্ম ও কৰ্ম্মকে এবং ব্রাহ্মসমাজের ভিতর দিয়া দেশের ইংরেজিশিক্ষা প্রাপ্ত সম্প্রদায়ের চিন্তা ও ভাবকে স্বল্প বিস্তর ফুটাইয়া তুলিয়াছেন। কেশবচন্দ্রের অলৌকিক বাগিাপ্রতিভা-গুণে র্তাহার প্রথম জীবনের উদার শিক্ষা-দীক্ষার ভিতর দিল্লীষ্ট, ব্রাহ্মসমাজের এ ভাব দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষভাবে ছড়াইয় পড়ে। আধুনিক ভারতবর্ষের জ্ঞান ও কৰ্ম্মের বিকাশ সাধনে কেশবচন্দ্র যে পরিমাণে সাহায্য করিয়াছেন, দেবেন্দ্রনাথ বা শিবনাথ ইহাদের কেষ্টই সে পরিমাণে সাহায্য করেন নাই। কিন্তু ইহা সত্ত্বেও ব্রাহ্মসমাজের ইতিহাসে যেমন মহর্ষির এবং কেশবচন্দ্রের, সেইরূপ পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রীর নামও স্মরণীয় হইয়া থাকিবে । শিবनॉर्थ *ाठी किङ्काठहे मशर्मिद्र नाथननिर्छ ७तर কেশবচন্দ্রের দৈবী প্রতিভার দাবী করিতে পারেন না, সত্য। কিন্তু অন্য দিকে ষে সকল বাহিরের অবস্থার ও ঘটনার শুভযোগাযোগ ব্যতীত কি মছধি কি কেশবচন্দ্র ই ছাদের কেহই ব্রাহ্মসমাজে এবং ব্রাহ্মসমাজের ভিতর দিয়া স্বদেশের বৃহত্তর কৰ্ম্মজীবনে ও ধৰ্ম্মজীবনে কথনই কোনও প্রভাব এবং প্রতিপত্তি লাভ করিতে পারিতেন না, শিবনাথ শাস্ত্রীর জীবনে সে সকল যোগাযোগ৪ ঘটে নাই ।