পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vყ8 বহুল পদ্যমাত্র হইত, কবিতা হইত না। সে যাহা হউক, এই নূতন বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালেই, অর্থাৎ ১৮১৫ হইতে ১৮১৮ পর্য্যন্ত, তাহার কবিতা লিখিবার আগ্রহ অতিমাত্র বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। কবিতাক্ষেত্রে যত প্রকারের পথ আছে, ভিক্টর সে সকলেরই পথিক হইয়া উঠিয়াছিল। আখ্যানকাব্য, খণ্ডকাব্য, গীতিকাব্য, শোকোচ্ছাসু, নাটক, প্রহসন, প্রহেলিকা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপকথা, ওসিয়ানের অনুকরণ,°ভাৰ্জ্জিল ও হোরেসের অনুবাদ, কবিতাসম্বন্ধে এমন কোন বিষয় ছিল না, যাহাতে ভিক্টর হস্তক্ষেপ করিত না। এমন কি, এই বয়সেই ভিক্টর একখানি হাস্যরসাত্মক গীতিনাট্য পৰ্য্যন্ত লিখিয়াছিল । এই সময় তিনি যাহা কিছু লিখিতেন তাহা কেবলমাত্র তিন জন পরম আত্মীয় ও বন্ধুকে পড়িয়া শুনাইতেন। সে তিন জন, তাহার মাতা, তাহার ভ্রাতা ইউজিন ও বিশিষ্ট সুহৃদ বিস্কার। এই তিন জন নিজ নিজ জ্ঞান বুদ্ধি ও রুচি অনুসারে এই সকল রচনার দোষগুণ নির্দেশ করিতেন। কিন্তু র্তাহার রচনার সর্বাপেক্ষা কঠোর বিচারক ছিলেন তিনি নিজে। তাহার নিয়ম এই ছিল যে, একখানি খাওঁ বাধিয়া লইয়৷ তাহাতে তিনি কবি ত লিখিয়া যাইতেন। একখানি খাত। নিঃশেষ হইলে অার একখানি খাত বাধিয়া লইয়) লিখিতেন। রচনাঅভ্যাসের সঙ্গে সঙ্গে তাহার কাব্যরসগ্রাহিতারও উৎকর্ষ সাধিত হইত। তখন আর তাহার নিঃশেষিত খাতার লিখিত কবিতাসকল ভাল লাগিত না ; তিনি সে বঙ্গদর্শন ' [ ১২শ বৰ্ষ, বৈশাখ, ১৩১৯ ঋতধানি পোড়াইয়া ফেলিতেন। এইরূপে সেই সময়কার অনেক প্লাতাই তিনি নিজেই বিনষ্ট করিয়া ফেলিয়াছিলেন। আমাদের दत्रौञ्च नरौन कविश१ ७शन गईफूछेोरख्द्र ७ অাদর্শের অনুসরণ করেন না কেন ? করিলে যে বঙ্গভাষা ও সাহিত্য হইতে অনেক জঞ্জাল দূরীভূত হয়, তাহ নিঃসন্দেহ। এই কবিতা-রচনাব্যাপার লইয়া এক বার একটা বিভ্ৰাট ঘটিয়াছিল ; তাহা কৌতুকাবহও বটে, নিতান্ত অসঙ্গত বলিয়া হাস্যজনকও বটে। পূর্বেই বলিয়ছি, সে সময়ে কবিতা-রচনার একটা আকস্মিক মরসুম পড়িয়া গিয়াছিল। ভিক্টর নিজে ত লিখিতেনই ; "স্থার অগ্রজ ইউজিন . লিখিতেন, তাহার একান্ত সুহৃদ বিস্কার লিখিতেন এব ং বিদ্যালয়ের গণিতের অধ্যাপক ডেকোটিও লিখিতেন । বিদ্যালয়ের ছাত্র ও অধ্যাপকের মধ্যে ষে কোন প্রকার প্রতিদন্দ্বিত থাকে, ইহা ডেকোটি দুই চক্ষে দেখিতে পারিতেন না। ভিক্টর হুগোর কবিতালেখার উপর তিনি বড়ই বিরূপ ছিলেন। কিন্তু নানা প্রকারে প্রয়াস সত্বেও তিনি ভিক্টরের কবিতা লেখা বন্ধ করিতে পারেন নাই। রাত্রে ভিক্টর নিজ কক্ষের দ্বার রুদ্ধ করিয়া অৰ্দ্ধর ত্রি জাগিয়া কবিতা লিখিতেন এবং তাহ অতি সাবধানে নিজের টেবিলের দেরাজে বন্ধ করিয়া রাধিতেন। এক দিন তিনি নিজ কক্ষে প্রত্যাবর্তন করিয়া দেখিলুেন, তাহার দেরাজ খোলা পড়িয়া আছে ও কাগজপত্র সমস্ত অপহৃত হইয়াছে। অপহরণকারী যে কে, তাহা বুঝিতে ভিক্টরের অণুমাত্র বিলম্ব