পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা] হইল না। তিনি ক্রুদ্ধ হইয়৷ ডেকোটির নিকটে যাইতে উষ্ঠত হইয়াছেন, এমন সময়ে ডেকোটই তাহাকে ডাকাইয়৷ পাঠাইলেন।’ তিনি গিয়া দেখিলেন যে, অধ্যাপক ডেকোট ও অধ্যক্ষ কবৃডিয়ার উভয়েই অতি গম্ভীর ও আ প্রসন্নভাবে বসিয়া রহিয়াছেন এবং সম্মুখে টেবিলের উপর র্তাহার সমস্ত কাগজপত্র ছড়াইয়া পড়িয়া আছে। র্তাহাকে সম্বোধন করিয়া অতি গম্ভীরভাবে ও কঠোরস্বরে ডেকোট যলিলেন—“আমি ত তোমাকে কবিতা লিখিতে নিষেধ করিয়াছি " किहूभाज़ लौठ न श्छ। उिद्घैद्ध छू , কণ্ঠে উত্তর করিলেন—“আমি ত আপনাকে আমার দেরাজ ভাঙ্গিবার অধিকার দিই ' नांझे ।” ডেকোট বড় গপ্রতিভ হইলেন। তিনি , মনে করিয়াছিলেন যে ভিক্টরকে অভিযুক্ত অপয়ান্ধীর ন্যায় বিনীত ও ক্ষমাপ্রার্থীরূপে দেখিতে পাইবেন । তাহ দূরে থাকুক, বর্ণাশ্রম-ধৰ্ম্ম Ꮼ☾ এখন ভিক্টরই ক্রুদ্ধ অভিযোগকারী ও ডেকোট অভিযুক্ত অপরাধী হইয়া দাড়াইলেন। তিনি যখন দেখিলেন ও বুঝিলেন যে, বিচারকের ও শাসকের গৰ্ব্বিত উদ্ধত ভাবে ও বাক্যে কোন ফল হইল না, তখন বলিলেন—“যখন তুমি অবাধ্য হইয়াও এত খানি স্পৰ্দ্ধা করিতেছ, তখন এই মুহূৰ্ত্ত হষ্টতেই এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে তোমার সম্পর্ক রহিত হইল।” নির্ভীক ভিক্টর অন্নীনবদনে বলিলেন— “আমিও সেই কথা আপনাকে বলিতে যাইতেছিলাম।” বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মহাশয় বেগতিক দেখিয়া নিজে মধ্যস্থ হইয়া ছাত্র ও অধ্যাপকের বিরোধ কোন প্রকারে এক প্রকার মিটমাট করিযু দিলেন। তযে উভয়ের মধ্যে অন্তরের অপ্রসন্নতা ও মলিনতা দূর হইতে যে আরও অনেক সময় লাগিয়াছিল, এ কথা না বলিলেও চলে। শ্ৰীচন্দ্রশেখর মুখোপাধ্যায়। বর্ণাশ্ৰম-ধৰ্ম্ম । বর্ণাশ্ৰমধৰ্ম্ম ভারতবর্ষের সভ্যতা ও সাধনার এক অপূৰ্ব্ব সম্পত্তি। জগতের আর কোথাও ইহা পাওয়া যায় না। বর্ণ ভেদ বা শ্রেণীভেদ অনেক দেশেই ছিল, কোনও না কোন আকারে এখনো রহিয়াছে। আমেরিকায় জাতিভেদ নাই, কিন্তু এমন বিষম বর্ণভেদ আজিও বিদ্যমান Y যে, জাতিভেদ-পীড়িত ভারতেও তাহা নাই, কখনও ছিল কি না সন্দেহ। খৃষ্টীয়ান ইউরোপে জাতিভেদ নাই, কিন্তু তাই বলিয়া যে ইউরোপেম মুষ্যত্বের সন্মান ও সম্বৰ্দ্ধন বেশী, - মানুষের প্রতি কেবল মানুষ বলিয়া যে একটা সত্য শ্রদ্ধা আছে দূর হইতে কল্পনার চক্ষে যাই দেখ