পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©Ᏹ8 হুইটম্যান্‌ খৃষ্টীয়ান সমাজে জন্মিয়া, তাহারই অঙ্কে লালিতপালিত হইয়াছিলেন । কিন্তু তার কাব্যে তিনি যে অদ্ভুত রসের আদর্শ ফুটাইয়া তুলিয়াছেন, তাহার সঙ্গে খৃষ্টীয়ানী সাধনার সঙ্গতি নাই। এই আদর্শ পুরামাত্রায় প্যাগান (Pagan ); খৃষ্টীয়ান নহে । রক্তমাংসের ভেতর দিয়া বিধাতা যে অপপ্ত রূপ ফুটাইয়া তুলেন, প্রাচীন গ্রাশ ও রোমই কেবল তাহাতে কোনও প্রকারের অতিলৌকিক অরূপকতা বা আধ্যাত্মিকতা আরোপ না করিয়া, রক্তমাংসের বলিয়া, রক্তমাংসক্সপেই, এই মামুখী সৌন্দর্ঘ্যের সাধন করিয়াছিল । ইহাই প্যাগান-রূপসাধনা বলিয়া ইতিহাসে প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছে। ওয়ান্ট হুইটম্যান এই সাধনাকেই বর্তমান সময়ের উপযোগী করিয়া, তাহার কাব্যস্থষ্টির সাহায্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। এই অদ্ভুত কাব্যস্থষ্টির সঙ্গে হুইটম্যানের প্রথম ৰীেখমের উচ্ছম্বল ইন্দ্রিয়-ভোগ-চেষ্টার সম্বন্ধ যে অতি ঘনিষ্ঠ,এই অতি মোট কথাটা স বুঝিলে, হুইটম্যানকে কেই বুঝিতে পারিবে বলিয়া বোধ হয় না। হুইটম্যান্‌ প্রথম যৌবনে ব্রহ্মচারী বা পরজীবনে ব্রাহ্ম হইলে যে তার অপুৰ্ব্ব কাব্য সকল রচনা করিতে পারিতেন না, ইহা বলা নিতান্তই मिस्टtग्नांछन । বাহিরের বিষয়ের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও অন্তরের অপরোক্ষ রসায়ুভূতির সঙ্গে কবির কাব্যস্থষ্টির সম্বন্ধ যে কত ঘনিষ্ঠ ও অঙ্গাঙ্গী, ক্ষীন্দ্রনাথের কবিতাতেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথ ধ্বখানেই এই বঙ্গদর্শন [ ১২শ বৰ্ষ, অগ্রহায়ণ, ১৩১৯ প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার উপরে আপনার কবিকল্পনাকে গড়িয়া তুলিতে গিয়াছেন, সেখানেই তার কাব্যস্থষ্টি অলৌকিক উৎকর্ষ ও সত্য লাভ করিয়াছে। দৃষ্টান্ত স্থলে তার “পতিই ।” শীর্ষক কবিতাটির উল্লেখ করিতে পারা যায়। এই কবিতটির সঙ্গে তুলনা করা যাইতে পারে, এমন কবিতা জগতের কোনও সাহিত্যে আছে কি না, জানি না। শুনিয়াছি ব্রাউনিংএর কোনও কোনও স্থলে না কি ইহার আভাস মাত্র পাওয়া যায়। আর রবিবাবু যে এমন অনুপম বস্তুর স্ব? করিতে পারিয়াছেন, ইহার দুইট কারণ। এক তিনি কলিকাতায় জন্মিয়, আশৈশব একরূপ কলিকাতাতেই বাড়িয়া উঠিয়াছেন। দ্বিতীয় কারণ তিনি হিন্দু, খৃষ্টীয়ান বা মুসলমান নহেন। রবিবাবুর মনগড়া তত্ত্বসিদ্ধান্ত যাই হউক না কেন, জীবের ভিতরেই যে অক্ষয় শিবস্বরূপ বাস করিতেছেন, তার • কৃতির মধ্যে এই ধারণা, সৰ্ব্বদাই জাগিয়৷ আছে । “পতিতা” লোকচক্ষে পতিতা, সমাজে পরিত্যক্তা, অনার্য্যসেবিতা হইলেও ভাগবতী প্রকৃত্তি৯ই বিগ্রহ বলিয়া, প্রকৃতপক্ষে সে দেবতা, তার এই দেবভাব ভস্মাচ্ছাদিত অগ্নির মত, পাতিত্য-কর্মের পাপকলুষে আচ্ছন্ন হইয়া আছে মাত্র,— শুভযোগাযোগে যে সে অন্তর্নিহিত দেবতা সেই পতিতার মধ্যেই আত্মস্বরূপের প্রকাশ করিতে পারেন ও করিয়া থাকেন—এ বিশ্বাস কেবল হিঙ্গুই আছে । * হিন্দুর ੋਂ ಇT • “cश्रफ्राष्ट्रि १ज्ञम, उ| १८ण ५ञश्व ছেড়েছে কি মোরে একেবারেই !