পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২৬ গয়া হইতে আসিতে দেখি সেই স্থান ॥ তমাল শুiমল এক বালক সুন্দর। নব গুঞ্জা সহিত কুণ্ডল মনোহর ॥ বিচিত্র ময়ূরপুচ্ছ শোভে তদুপরি । ঝলমল মণিগণ লক্ষিতে না পারি ॥ হাৰ্থেতে মোহন বংশী পরম সুন্দর। চরণে মুণুর শোভে অতি মনোহর । নীলস্তন্ত জিনি ভুজে রত্ন অলঙ্কার । শ্ৰীবৎস কৌস্তুভ বক্ষে শোভে মণিহার ॥ কি কহিব সে পীতধটির পরিধান। মকর কুণ্ডল শোভে কমল-নয়ন ॥ আমার সমীপে আইল হাসিতে হাসিতে। আমা আলিঙ্গিয়া পলাইল কোন ভিতে ॥ “কৃষ্ণ কৃষ্ণ” বলিঃ, নিমাই যখন রোদন করিতেন, তখন তাহার আৰ্ত্তি দেখিয়া সকলের হৃদয় বিদীর্ণ হইয়া যাইত। একদিন বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, পৌষ, ১ ১১৯ “গদাধরে দেখি প্রভু করেন জিজ্ঞাস, কোথা কৃষ্ণ আমার খামল পীতবাস৷ ” গদাধর কহিলেন "কৃষ্ণ ত নিরবধি তোমার হৃদয়েই বিরাজ করিতেছেন।” এই কথা শুনিয়া নিমাই নখ দ্বারা স্বীয় হৃদয় বিদীর্ণ করিতে উদ্যত হইলেন । গদাধর অতি কষ্টে তাহাকে নিবৃত্ত করিলেন। প্রতিদিন সন্ধ্যাকালে নবদ্বীপের সকল ভক্ত নিমাইর গৃহে আগমন করিতে লাগিলেন। মুকুন্দ দত্ত ভক্তিরসাল শ্লোক পাঠ করিয়া তখন নিমাইর চিত্তবিনোদন করিতেন। মুকুন্দের কণ্ঠধ্বনি কর্ণে প্রবিষ্ট হইলেই নিমাই ভাববিষ্ট হইয়া পড়িতেন। কীৰ্ত্তন ও নৃতো সমস্ত রাত্রি অতিবাহিত হইতে লাগিল । ( ক্রমশ ) ঐতার কচন্দ্র রায়। নারীধৰ্ম্ম কুমারী জীবনের কৰ্ত্তব্যসাধনের উপযোগী শিক্ষালাভের সময় বাল্যকাল, সুতরাং ভবিষ্যৎজীবনে রমণীকে যে গুরুতর কৰ্ত্তব্যভার মস্তকে বহন করিতে হইবে, শিক্ষার দ্বারা, · সাধনার দ্বারা তাহার জষ্ঠ প্রস্তু ত হইবার ইহাই উপযুক্ত সময় । - পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি–সংসারের সমস্ত পরিজনের ধৰ্ম্মোন্নতিসাধন সকলকে ধৰ্ম্মসাধনে অবসর দিবার জন্য জীবন-সংগ্রামের কঠোরতা দূর করিয়া সংসারে শান্তি সংস্থাপন এবং গৃহকার্য্যের সুশৃঙ্খলা দ্বার সকলের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসম্পাদন--ইহাই ' রমণী-জীবনের প্রধান ব্ৰত । s 螺 এই মহান ব্রত পালনের জন্য সৰ্ব্বপ্রথমে আবগুক—সংযম ধৈর্য্য এবং প্রীতি । যাহাকে উন্নাৰ্গগামী পরিজনকে দৃঢ়ৰূপে: আকর্ষণ করিয়া রাখিতে হইবে, তাহার নিজেকে অটল রাখা সৰ্ব্বাগ্রে প্রয়োজন । আকর্ষকেন্দ্র নিজে চঞ্চল হইলে আকৃষ্ট বস্তু কিছুতেই স্থির থাকিতে পারেন । গৃহের যিনি অধিষ্ঠাত্রী তিনি অসংযত