পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○め গ্ৰীতি-বৃত্তিও সাধনা দ্বারা বিকশিত হয়। রমণীজীবনের কৰ্ত্তব্যপালনের জন্য ত্যাগশীলতা ও সংযমের যে বিশেষ প্রয়োজন তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। প্রতি সকল ত্যাগ, সকল সংযম, সকল সহিষ্ণুতাকে সহজ ও আনন্দময় করে। সুতরাং প্রীতি-বিকাশের সাধনাও বালিকায় পক্ষে একান্ত কৰ্ত্তব্য। রমণীর প্রতি বিশ্বপ্রতিতে পরিণত হইলে তবে তাহার কর্তব্য সুসম্পন্ন হইতে পারে। কবি নবীনচন্দ্র সুভদ্রার মুখ দিয়া বলাইয়াছেন— “ন। দিদি । আমরা নারী বিশ্বজননীর ছবি, আমাদের শত্রু মিত্ৰ নাই। ৰরিষার ধার মত অজস্র জননী প্রেম সৰ্ব্বত্র ঢালিয়া চল যাই ! चमक कमनौ मू५ শিশুর ক্ষুদ্র জগত, শিশু কিছু নাহি জানে আর । ক্রমে বাড়ে পরিসর, কিশোর কিশোরী দেখে লাতভিয়ী পূর্ণ এ সংসার। পতি পত্নী প্রেমরঙ্গে, যৌবনে ছুটে তরঙ্গে, আলিঙ্গিয়া ভূতল গগন। ক্রমে সস্তানের স্নেহ দেখায় অ স্ত সুখ,— পুণ্যতীর্থ সাগর সঙ্গম ! প্রেম ধৰ্ম্ম এই, দিদি। কালি কৃষ্ণাৰ্জুন মত হেরিতাম সকল সংসার মাতৃস্নেহ পূর্ণ বুকে আজি দেখিতেছি সব অভিমত্যু উত্তর আমার !" রমণী-হৃদয়ের এই পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনা সাপেক্ষ । বালিকা যাহাতে যাল্যকাল হইতে ভাই ভগ্নীকে ভালবাসিতে শিখে, অনাথ আতুরকে দরা করিতে শিখে, সেদিকে দৃষ্টি রাখা কর্তব্য। বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, পৌষ, ১৩১৯ কোন নিষ্ঠুর দৃপ্ত দেখিয়া বালিকা যেন হর্ষ প্রকাশ না করে, , কলহ-বিবাদে যোগ না দেয়, রূঢ় বাক্যে কাহারও মনে কষ্ট ন৷ দেয়, প্রতিবেশীদের আপদে বিপদে তাহাদের সঙ্গে সমবেদন প্রকাশ করে, তাহাকে সযত্নে এরূপ শিক্ষণ দেওয়া উচিৎ ৷ প্রাতঃস্মরণীয়া অহল্যাবাই, রাণী ভবাণী, মহারাণী শরৎমুন্দরী প্রভৃতি প্রতিমী, ত্যাগশীল, পরদুঃখকাতরা মহিলাগণের জীবন-চরিত-পাঠেও বালিকার হৃদয়ে প্রতিবৃত্তি উন্মেষিত হইতে পারে। সুতরাং তাহাকে যত্ন করিয়৷ এই সকল লোকহিতব্ৰতা আদর্শ রমণীকুলের জীবন-চরিত পাঠ করান কৰ্ত্তব্য । - আৰ্ত্তের সেবা, রোগীর শুশ্রষা, প্রাচীনের পরিচর্য্যার ভারও অল্পে অল্পে বালিকার হস্তে দেওয়া উচিত। পীড়া, দুঃখ ও অসমর্থ তার সঙ্গে পরিচয়ে হৃদয়ে দয়া ও প্রতির সমধিক বিকাশ হয়। কেবল তাহাই নহে, ভবিষ্যৎ জীবনে এই সেবা শুশ্ৰুষার ভার রমণীর উপরেই পড়ে। এ সম্বন্ধে পূৰ্ব্ব হইতে কিছু জ্ঞান না থাকিলে, কাৰ্য্যকালে ইচ্ছাসত্ত্বেও সেবা ও শুশ্ৰ্য ভাল হয় না। ’ এই জন্য বালিকাদের অল্প বয়স হইতে রোগীপরিচর্য্যা এবং আওঁ-সেবায় নিযুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে তাহদের সেবার নিয়ম, ঔষধ-সেবন, পথ্য-রন্ধন এবং শুশ্রষার প্রণালী সম্বন্ধেওঁ শিক্ষা দান করা উচিত। এ সম্বন্ধে আজ কাল উপযুক্ত পুস্তকের অভাব নাই। বালিকাদের সেই সকল পুস্তক যত্বপূর্বক পড়াইয়া দৃষ্টান্ত দ্বার