পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা দেখা যায়। বিছুটির জ্বালা-পোড়ার কারণ এই বিষ । সুতরাং অচল উদ্ভিদকে যদি সচল সাপের সহিত তুলনা করা যায়, তাহাতে অন্যায় হয় না । অtলকুশীর সুয়োর বিষ আরো ত য়ানক। বিষের পরিমাণ ইহাতে বিছুটির তুলনায় অধিক। মানুষ বা গোরু প্রভৃতি প্রাণীর দেহে আল কুশী লাগিলে আর নিস্তার নাই । অধিক পরিমাণে সুয়ো গায়ে লাগিলে মৃত্যু পৰ্য্যন্ত ঘটতে পারে : ফুলের উগ্র গন্ধ নির্গত করিয়াও কতক গুলি উদ্ভিদকে আত্মরক্ষা করিতে দেখা গিয়াছে। প্রকৃতি যে সকল দেশ ভূষায় সাজাইয় প্রাণী ও উদ্ভিদকে পৃথিবীতে ছাড়িয়া দেন, কেবল স্বভাবের সৌন্দর্য্যবৃদ্ধি করাই তাহার উদেখা নয়, পত্রপুষ্পের বিচিত্র বর্ণ এবং তাহীদের বিচিত্র গঠনের মূলে এক একটা শুভ উদেখ লুকায়িত থাকে। ষে সুগন্ধ লইয়। পুষ্প জন্মগ্রহণ করে, তাহা কখনই মানুষের প্রীতি উৎপাদনের জন্ত নয়। উদ্ভিদ তত্ত্ববিদৃগণ ইহার স্বতন্ত্ৰ কাৰ্য্য নির্দেশ করিয়া থাকেন । ফল প্রসব করিয়া নিজের , বংশ অক্ষুণ্ণ রাখাই উদ্ভিদ-জীবনের সার্থকতা। উদ্ভিদবিদগণ, বলেন, ফুলের গন্ধ এই কাৰ্য্যেরই সহায়তা করে। উদ্ভিদ পুষ্প-পুটে মধুভাণ্ড সজ্জিত রাখিয়া গন্ধের দ্বারা দুরের প্রজাপতি প্রভৃতি পতঙ্গকে আমন্ত্রণ করে। প্রজাপতি পুষ্পের মধুপান করিতে বসিয়া যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে ফুলের পরাগ গর্ভকেশরে সংযুক্ত করিয়া ফলের গঠন সুরু করিয়া দেয়। কিন্তু আমরা উদ্ভিদের যে তীব্র দুর্গন্ধের কথা প্রাণী ও উদ্ভিদের বিষ (\ర్సిలి বলিতেছি, তাহ পতঙ্গের আমন্ত্রণের জন্য নহে ! যাগতে অনিষ্টকর প্রাণী কাছে আসিতে ন পারে তাহারি জন্য এই ব্যবস্থা লিলি জাতীয় কতকগুলি ফুলের গন্ধ যে মানুষ সহ করিতে পারে না, এবং এই গন্ধে যে নানা প্রকার পীড়া .দেখা দেয়, তাহার অনেক প্রমাণ পাওয়া গিয়াছি আমাদের চাপা ফুলের গন্ধে মাথা ধরার কথাটাও এই প্রসঙ্গে উলেখযোগ্য। উদ্ভিদূ ছাড়িয়া এখন প্রাণীর কথা আলোচনা করা যাউক । আত্ম-রক্ষার জন্য এবং কখনো কখনো আহার্য্য সংগ্রহের জন্য যে কত প্রাণীর দেহে কত রকম বিয আছে, তাহার সংখ্যা করাই কঠিন । ইহার সাধারণ উদ্ভিদের মত দেহকে বিস্বাদ করিয়া আত্মরক্ষা করে না, কাজেই জীবন-সংগ্রামে জয়ী করাই বার জন্য প্রকৃতি ইহাদের দেহেই নানা বিষদিগ্ধ অস্ত্র রাখিয়া দিয়াছেন । যাহা হউক প্রাণীর বিষ গুলি পরীক্ষা করিলে, দেহে উদ্ধাদের দু প্রকার কার্য্য দেখিতে পাওয়া যায়। কতক গুলি বিষ রক্তের সহিত যুক্ত ন হষ্টলে ঘেঁষ্ঠের কোন কোন অনিষ্ট করিতে পারে না। সাপের বিয, বিচ্ছুর বিয এই শ্রেণীর অন্তর্গত । অপর কতকগুলি, রক্তের সহিত মিশিবার জন্য প্রতীক্ষা করে না, খাদ্যপানের সহিত উদরন্থ হইলেই ইহরা বিষের কার্য দেখাইতে সুরু করে। মাকড়সা প্রভূতির বিষ বোধ হয় এই শ্রেণীভূক্ত। কেবল সাপ ও বিচ্ছুর বিষই যে দেহ প্রবিষ্ট হইলে অনিষ্ট করে তাহ। নয়। ভেকের গাত্র হইতে যে ঘৰ্ম্মবৎ রস নির্গত হয়, তাগা মামুষের শরীরে প্রবেশ করাইয়া