পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(է\Ֆ R দেখা গিয়াছে, ইহাতে অন্নক্ষণের মধ্যে মানুষ অসুস্থ হইয়া পড়ে। ইলু অর্থাৎ বাইন্‌ জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্তের (Ect) রক্ত যে কোন প্রাণিদেহে প্রবেশ লাভ করিলেই বিষের লক্ষণ প্রকাশ করে । কয়েক জাতীয় মৎস্য এবং গিরগিটির মুখের লালাও রক্তের সহিত যুক্ত হ’লেই বিষের কর্য দেখাইতে আরম্ভ করে। শিশুর মুখের লালায় যে বিষ আছে, ফরাসী বৈজ্ঞানিক পাষ্ট্রর সাহেব দেখাইয়াছেন, এক মাস দেড় মাস বয়সের শিশুর লালা সংগহ করিয়া খরগোস ইত্যাদি প্রাণীর শরীরে প্রবিষ্ট করা লেই, বিষের লক্ষণ প্রকাশ হইতে থাকে। কিন্তু এই সকল বিষ খাওয়াইলেই কোন প্রাণীতে অসুস্থতার চিহ্ন দেখা যায় না। বিষদাতযুক্ত প্রাণীর দেহে কোথায় বিষের উৎপত্তি হয় তাহার অনুসন্ধান হইয়াছে। ইহার ফলে জানা গিয়াছে, যাহাদের বিষ-দাত অাছে, তাহদের দাঠের মূলে এক একটি ক্ষুদ্র কোষ থাকে। এই কোষই বিষ তাও । সাপের বিধদন্তে যেমন এক একটা খাজ কাটা থাকে, বিষদন্তযুক্ত { অপর প্রাণীর দাতেও ঠিক তাহাই দেখা যায় ইচ্ছা করিলেই দস্তমূলের কোষ? বিয ইহার দীতের খাজের ভিতর দিয়া আনিয়া শক্রকে দংশন করিতে পারে। মাগুর বা শিঙ্গি মংস্তের কাটায় বিয আছে, ইহার হাতে পায়ে কাট। ফুট:ইলে বেশ যাতনা হয়। এষ্ট শ্রেণীর অনেক মাছের কাটার মূলে এই প্রকার বিষকোয ধরা ইহাদের কঁাটাগুলিতে সাপের বিষদস্তুের মত খাজ কাটাও দেখিতে পাওয়া যায়। বঙ্গদর্শন পড়িয়ছে, এবং . [ ২শ বৰ্ষ, পৌষ, ১৩১৯ रँछै। शनिग्ना वा न१ निग्नां वैक्लफुल्लेग्न প্রাণীরা যে বিষ শত্রুর দেহে প্রবেশ করাইয়া দেয়, তাহার প্রকৃতি নির্ণয়ের জন্য বৈজ্ঞানিকগণ অনেক পরীক্ষা করিয়াছেন। xাশ্চর্য্যের বিষয় বিছুটি প্রভৃতি উদ্ভিদের বিষে যে ফরমিকৃ ( Formic Acid ) (74] গিয়াছে, ইহাতেও তাহাই ধরা পড়িয়াছে। স্বায়ুমণ্ডলাকে অসাড় করিয়া দেওয়া ফরমিক এসিডের একটা প্রধান কাৰ্য্য। বিষের সহিত এই জিনিষটা মিশ্রিত থাকায় দুৰ্ব্বল প্রাণীদিগকে শীকার করার কার্য্যে ইহা খুবই সাহায্য করে। ক্ষুদ্র র্কাচপোকা যখনি বুঃ ২ আরমুলাকে শীকার করিতে যায়, তখন কোন গতিকে আরমুলার গায়ে একবার স্থল ফুটাইতে পারিলেই সেটি ঐ ফর্মিক্‌ এসিড দ্বারা পক্ষাঘাতের রোগীর মত অবশাগ হইয়া পড়ে। তার পর কঁচপোকা উহার সুয়ে ধরিয়া অনায়াসে যথেচ্ছ লইয়া যাই•ে পারে । মৌমাছি ও ভীমরুলের ন্যায় বিচ্ছুর বিষও তাহদের পুচ্ছে থাকে। ইহাদের সম্মুখের দুটা দাড়া এবং দাত একেবারে নির্বিষ। পুচ্ছের প্রান্তস্থিত ধারালে হুল এবং তৎসংলগ্ন ক্ষুদ্র বিষকোষই ইহাদের আত্মত্রাণের মহা অঙ্গ। স্থঙ্কাগ্র হুলটিকে ইহারা অতি সাবধানে কুণ্ডলী পাকাইয়া উপরে উঠাইয়। রাখে, তার পর শক্রপক্ষ সম্মুখে আসিলেই সেই তাহার দেহে 'বিদ্ধ করিয়া দেয় । " জেলি মৎস্ত (Jelly fish) নামক এক প্রকার সামুদ্রিক প্রাণীর দেহেও বিষ আবিষ্কৃত হইয়াছে। ইহাদের হুলু, বিষ