পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯ম সংখ্যা ] দন্ত বা সিঙ্গি মাছের মত বিষময় কাট৷ কিছুই নাই। দেহু হইতে মাকড়সার স্বত্র অপেক্ষাও স্বশ্ন বিষপূর্ণ সুয়ো বাহির করিয়া ইহার শক্রকে আঁকড়াইয়া ধরে । সুয়োর বিযে শক্রর দেহে বিছুটির মত যন্ত্রণা উপস্থিত হয়। এই জন্য জেলি-সংস্তকে সামুদ্রিক বিছুটি (sea nettles) ilto. অভিহিত করিয়া থাকেন। প্রাণীদের মধ্যে পতঙ্গ জাতির দেহে ঘত বিষ দেখা যায়, বোধ হয় অপর কোন জাতির মধ্যে সে প্রকার দেখা যায় না । মৌমাছি, বোল্‌তা, ভীমরুল, পিপীলিকা সকলেই বিষাক্ত এবং ইহাদের সকলেরই বিষ পুচ্ছদেশে রক্ষিত দেখা যায়। কেবল সুয়ো পোকা ও মশক তাহদের বিষ পুচ্ছে রাখে না। সুয়ো পোকার বিষ তাদের চুলে এবং মর্শকের বিষ তাহাদের মুখে থাকে। মাকড়সা-জাতীয় পতঙ্গ তাহীদের পায়ের নখে রাখে। নখের মূলেই ইহাদের বিষ-স্থালী। আমাদের তেঁতুলে বিষ তাহদের দাতে থাকে, দন্তমূলে যে বিষস্থালী থাকে তাহা হইতে ইচ্ছামত বিষ নির্গত কুরিয়৷ শক্রকে দংশন করিতে পারে। পতঙ্গের সংখ্যা যেমন অধিক, ইহাদের শক্র ও তেমন অনেক । অনেক পক্ষীর পতঙ্গই প্রধান অtহার । তা ছড়ি টিকৃটিকি, গিরগিট, এমন কি আমাদের সেই অfত নিরীহ ভেকগুলি সম্মুখে পতঙ্গ পাইলে, সিংহের মত তাহাদিগকে আক্রমণ করে। এই সকল শত্রুর কবল হইতে রক্ষা পাইবার জন্ত প গুঙ্গের গায়ে, মুখে, লেজে, দাঁতে, নখে, বিষ রাখিতে হইয়াছে। প্রাণী ও উদ্ভিদের বিষ পিছের ‘(ot বড় আশ্চর্য্যের বিষয় আমাদের র্কাকৃড়াগুলির বড় বড় দাড়া আছে, কিন্তু তাহাতে বিয নাই। চিংড়িমাছেরও সেই দশা । খুব লম্বা লম্বা দাড়া আছে, কিন্তু সেগুলি একবারে নিৰ্ব্বিষ। পক্ষীদের পায়ের নখও ঠোট খুব ধারালে, কিন্তু সেগুলিতেও বিষের চিহ্ন দেখ যায় নাই। .যে সকল প্রাণীর দেহে কোন প্রকার বিষযুক্ত অঙ্গ নাই, শহীদের মধ্যে অন্ততঃ কতকগুলির মাংসে বিষের লক্ষণ ধরা পড়িয়াছে । ইংলণ্ডের সুপ্রসিদ্ধ চিন্তাশীল বৈজ্ঞানিক ল্যাঙ্কেষ্টার সাহেব (Sir Ray Lankester) হিসাব করিয়া দেখিয়াছেন, অন্ততঃ শতকরা দশজন লোক ইচ্ছা করিলেও মৎস্ত মাংস আহা করিতে পারে না,— জোর করিয়া খাওয়াইলে নানাপ্রকার পীড়ার লক্ষণ দেখা দেয়। ইহা দেখিয়৷ ল্যাঙ্কেষ্টার সাহেব বলিতেছেন,—মৎস্তমাংসাহারে এই অসুস্থতার লক্ষণ বিষেরই পরিচায়ক। বিষ খাইলেই সকলে অমুস্থ হয় না,—এমন বিয অনেক আছে যাহা একজনের শরীরে যে ফল দেখায় অপরে তাহা দেখার না। একই ধাপ্ত আহার করিয়া এবং একই জল পান করিয়া এক ব্যক্তি পীড়িত হইল এবং অপর ব্যক্তি খাদ্যস্থ বিষ হজম করিয়া সুস্থ থাকিল, এ প্রকার ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। এই সকল কথা মনে করিয়া ল্যাঙ্কেষ্টা সাহেব বলিতেছেন যে, নিরামিষাহারিগণ মংষ্ঠ-মাংস খাইলেই অসুস্থ বোধ করেন, তাহদের এই অমুস্থতার কারণ মৎস্য-মাংসের বিষ ব্যতীত আর কিছুই নয়। এমন অনেক লোক দেখিতে পাওয়া