১ম সংখ্যা | দিনে দিলে খীন তঃ হিমে কমলিনী জ্যু না জানি কি হয় পরজন্ত । জ্ঞানদাতুকেহ কে৷ সমুঝায়ত শু্যামর নিকরুণ অন্ত । - ইহার অর্থ সৰ্ব্বত্র উপলব্ধি ন হইলেও, ছন্দের গতি পৰ্য্যবেক্ষণ করিলেই বুঝা যায় যে এই পদে ক্রদনের ধ্বনি উঠিয়াছে। বসন্তের উল্লাস এবং বসন্তের বিষাদ কবি ছন্দের তারতম্যে প্রকটিত করিতে পারিয়াছেন । কিন্তু ছন্দ তো কেবল ভাবের বাহন মাত্র ; দেউলের বাহাবরণ যতই চাকৃচিক্যময় হউক তাহার অত্যন্তরে যদি দেবতা না থাকেন, তবে তাহার প্রয়োজনীয়তা বড়ই অল্প। তাই কবিতায় কেহ ছন্দ মাত্র দেখিতে চাহে না, দেখিতে চাহে তাহার হৃদয় । কবিতার হৃদয় ছন্দ নহে—ভাব। তত্ৰাচ কবিতার ছন্দ নিতান্ত অবহেলার বস্তু নহে, যে হেতু ছন্দদ্বারা ভাব প্রকাশ করিবার বিশেষ সুবিধা হয়। পদ্য যে গদ্য নহে তাহ। অনেকেই বিস্তৃত হন, তাই ছন্দের বিষয়ে এত কথা বলিলাম। তবে শুধু ছন্দ ভাল হইলেই যে কবিতা হয় তাহীও নহে, তাই কবিতার বাক্য পরীক্ষার প্রয়োজন হয় । কাব্যের তাবষ্ণুপ্তি বাক্যেরই উপর নির্ভর করে—শুধু ছন্দের উপর নহে। বৈষ্ণব কবির শব্দ-চয়ন-শক্তি প্রশংসনীয়। শব্দের শক্তি অনেক প্রকার, তাহার মধ্যে ব্যঞ্জন বোধ হয় প্রধান। এক একটা কথায় যে ভাষাভিব্যক্তির পরিচয় পাওয়৷ যায় তাহ। এই ব্যঞ্জনাশক্তির সাহায্যে। জ্ঞানদাসের পদাবলীর মধ্যে ইহার উদাহরণ বৈষ্ণবকবি জ্ঞানদাস (? Y অনেক মিলিবে। তাহার এক একটা কথার মধ্যে ভাবরাশি যেন লুকাইয়। আছে । সহজে ননীর পুতলি গোরী। জারল বিরহ আনলে তোরি ॥ এই “জারল” কথাটা মনের কত ভাব প্রকাশ করিতে সক্ষম হইয়াছে, দেহের কেমন বিষাদমাধ। চিত্র আঁকিয়াছে। " চলিতে না পারে রসের ভরে। ’ আলস নয়নে অলস ঝরে ॥ ● 鷲 釁 না জানিয়ে কিবা অন্তর সুখে । আচরে কাঞ্চন ঝলকে মুখে ॥ কালের বদন চমকি চাও । ভাবে কেয়া ফুল ওর না পাও ৷ 学 籌 釁 কপোলে পুলক বেকড় দেখি। প্রেম কলেবর ততহি সখি ॥ এই পদের ভিতর অনেকগুলি কথ। লক্ষ্য করিবার উপযুক্ত ; যথা রসের ভরে, অলস বারৈ, ঝলকে চমকি চাও, ওর না পাও ৷ প্রতোক কথায় এক একটা বিভিন্ন ভাব প্রকাশিত হইয়াচ্ছে । সমগ্র পদাবলীর দ্বারা রসাবিষ্ট একটী কমনীয় মূৰ্ত্তি ফুটিয়া উঠিয়াছে ঠিক সেই মূৰ্ত্তি, যাহা কালিদাসের অমর তুলিকায় ফুটিয়া উঠিয় চিরকালের জন্য আমাদের হৃদয়ে স্থান গ্রহণ করিয়াছে— তাং বীক্ষ্য বেপথুমতী সরসঙ্গিযষ্টিঃ নিক্ষেপণায় পদযুদ্ধত মুদ্রবহন্তী। মার্গাচলব্যতিকর। কুলিতেব সিন্ধুঃ • **णांषिब्रांछठमग्ना म यtशो म उदशै ॥