পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম সংখ্যা বৈজ্ঞানিক প্রথা • ও প্রাচীন ঋষিদের প্রথার পার্থক্য এই ষে, বৈজ্ঞানিক প্রথা এক জড়শক্তির দ্বারা অপর জড়শক্তির জয় । ঋষিগণের প্রথা ছিল যে প্রকৃতির কারণীভূত চিচ্ছক্তি দ্বারা প্রকৃতিকে জয় । তাহাও যে কতক সম্ভব ইহ, হরিদাস সাধু, ত্রৈলঙ্গস্বামী, ভাস্করানন্দস্বামী, বাম ক্ষেপা বাবা প্রভৃতি আধুনিক সাধুগণ দেখাইয়াছেন । সুতরাং কি ব্যাসের, কি ভরদ্বাজের, কি যাজ উপযাজের তপোবলে ষে ঐরুপ অলৌকিক ব্যাপার ঘটিতে পারে তাহ৷ অসম্ভব নহে । আর তপোবল বিশ্বাস না করিলেও মহাভারতের মুল অংশ অবিশ্বাস করিবার কোন কারণ নাই। মহাভারতের মূল ইতিবৃত্ত কুরুপাণ্ডবগণের সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত মহাভারতের বঙ্গীয় সংস্করণের ৬১ অধ্যায়ে দেওয়া আছে। ১ম অধ্যায়েও ধৃতরাষ্ট্র-বিলাপ মুখে মুল ঘটনা সুন্নিবেশিত। মূল ইতিবৃত্ত এই যে, ধৃতরাষ্ট্র ও পাণ্ডু বিচিত্রবীৰ্য্যের ক্ষেত্ৰজ পুত্র। ধৃতরাষ্ট্র জন্মন্ধ বলিয়া রাজ্য পান নাই। পাণ্ডু রাজা হইয়া দিগ্বিজয় করতঃ সম্রাট হন। পরে নিৰ্ব্বেধ প্রযুক্ত রাজ্য ত্যাগ করিয়৷ তিনি কুন্তী ও মাদ্রী এই দুই” পত্নী সমভিব্যাহারে বাণপ্রস্থাশ্রম অবলম্বন করেন ও হিমালয়ের উত্তরে শতশৃঙ্গ পৰ্ব্বর্তে মুনিগণের সহিত বাস করেন । তথায় তপস্তার ফলে দেববরে কুন্তীয় গর্ভে যুধিষ্ঠির, ভীম, অৰ্জুন এবং মাদ্রীগর্ভে নকুল ও সহদেব পাণ্ডুর এই পঞ্চ পুত্র হয়। তাছাদের বাল্যাবস্থায় পাণ্ডুর মৃত্যু হইলে মাদ্রী সহমৃতা হন। কুন্তী ও পঞ্চ মহাভারতের ঐতিহাসিকত। ৬৩৭ পাণ্ডবকে ঋষিগণ হস্তিনাপুরে দিয়া যান। ধৃতরাষ্ট্র ও ভীষ্ম তাহাদিগকে পাণ্ডুপুত্র বলিয়া গ্রহণ করেন। ধৃতরাষ্ট্রের দুর্য্যোধন দুঃশাসন প্রভৃতি বহু পুত্র হয় । কুরুবালকদের শিক্ষার ভর কৃপের উপর পড়ে। অল্পদিন কৃপাচাৰ্য্যের নিকট শিক্ষা পাইবার পরই রুপের ভগ্নীপতি দ্রেণ উহাদের আচাৰ্য্যরূপে ব্ৰতী হন । দ্রোণের নিকট উহাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। শিক্ষাগুণে অৰ্জুন আচার্য্যের প্রিয়তম শিষ্য হন। কুরুবালকদের সাহায্যে দোণ দ্রুপদকে জয় করিয়া, দ্রুপদ যে তাহাকে পূৰ্ব্বে অপমান করিয়াছিলেন তাহার প্রতিশোধ লন ; কিন্তু ঔদার্য্যবশতঃ তাহার রাজ্য তাহাকেই দেন। দ্রুপদ বৈরনিৰ্য্যাতন আশায় দ্রোণঘাতী যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন। সেই যজ্ঞফলে র্তাহার এক পুত্র ও এক কন্যা হয়। পুত্র ধৃষ্টদ্যুম্ন দ্রোণাচার্য্যের নিকট অস্ত্র শিক্ষা করিতে আসিলে, তাহাকে হন্তা জানিয়াও, গুরু দ্রোণ র্তfহাকে শিষ্যত্বে গ্রহণ করেন । কল্প কৃষ্ণবর্ণ থাকায় কৃষ্ণ ও ধজ্ঞফলে হওয়ায় ষাজ্ঞসেনী নাম পান। এদিকে পাণ্ডবগণের শৌর্য্যবৰ্য্য দর্শনে দুৰ্য্যোধনের ঈর্ষাবহ্নি প্ৰজ্বলিত হইল। তাহাদের বধ-সাধন জন্য দুৰ্য্যোধন বিবিধ উপায় অবলম্বন করিলেন, কিন্তু তাহার অসদুদ্দেশ্য সফল ছইল না। ধাৰ্ম্মিক ধৃতরাষ্ট্র যুধিষ্ঠিরকে যৌবরাজ্যে অভিষেক করিলেন। তখন কুটবুদ্ধি দুৰ্য্যোধন নিরীহ পাণ্ডবগণকে দগ্ধ করিবার অভি প্লায়ে বারণ বতে পাঠাইলেন। বিদুরের সাহায্যে পাণ্ডবগণ জতুগৃহ হইতে রক্ষা পাইলেন। কিন্তু বাহিরে প্রচার