পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা } বহুতি চ বলিত-বিলোচন-জ লধর-মানন কমলমূদারম্। বিধুমিব বিকট-বিধুস্থল-দস্তদলন-গলিতামৃত ধারম্ ॥ বিলিখতি রহগি কুরঙ্গ-মদেন ভবন্তমসমশর ভূতম্। প্রথমতি মকরমধে। বিনিধায় করে চ শরং নবচুতম্ ॥ প্রতিপদমিদমপি নিগদতি মাধব তব চরণে পতিতাহম্। ত্বরি বিমুখে ময়ি সপদি সুধানিধিরপি তন্ত্রতে তমুদtহম্ ॥ ধাম-লয়েন পুরঃ পরিকল্প ভবন্তম তীব দুর্যপম্। বিলপতি হসতি বিষীদতি রোদfত চঞ্চন্তি মুঞ্চতি তাপম্ ॥ ইহার ভাষ! এ ত সরল যে ইহার তাটুবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নাই। এই পদাবলীর এক একটা শ্লোকে এক একটা মূহন ও কমনীয় ভাব ও চিত্র ফুটিয়া উঠিয়াছে। বৈষ্ণব কবিতায় ও বৈষ্ণব দর্শনে শ্রীরাধাকে মহাভাবময়ী বলিয়। উল্লেখ করা হয়-তাহার সম্বন্ধে কোনও ভাব অসন্তব-বলিয়া উড়াইয়া দেওয়া যে চলে না তাহা ভক্তির অবতার শ্ৰীশ্ৰীমহাপ্রভু প্রমাণ করিয়াছেন। তাই আদি বৈষ্ণব কবি জয়দেব তাহার সম্বন্ধে বহুবিধ ভাবের বর্ণনা করিয়াছেন— স্তনবিনিহিতমপিহারমুদারম্ স। মন্ততে কৃশতমুরিব ভারম। : রাধিক তব বিরহে কেশব ॥ হে কেশব তোমার বিরহে রাধার আর কোনও অলঙ্কার ভাল লাগিতেছে না, বুকের জয়দেব ও বিদ্যাপতি ఆ( ) হারও সে তার মনে করিয়া খুশিয়। ফেলিয়াছে, তাহার কৃশ তনুর বুঝি সে হারটা বহন করিবার ও ক্ষমতা নাই । এই ভাব ভাবিত হইয়াই বিদ্যাপতির রাধিক বলিয়াছেন শঙ্খ কর চর বসন কর দূর তোড় গজমতি হাররে | • পিয়া যদি তেজল কি কাজ শিঙ্গারে যমুন সলিলৈ সব ডাররে ॥ বলা বাহুল্য এই অল্প পরিসরের মধ্যে জয়দেব যে ভাববিলী রচনা করিয়াছেন, তাহাই রূপান্তরিত ও বিস্তু ত হইয় বিদ্যাপতির বিরহ বর্ণনার অঙ্গ পুষ্টি করিয়াছে। সরদমস্বর্ণমপি মলয়জ-পঙ্কম্। পশুতি বিযমিব বপূর্ষি শঙ্কম্ ॥ 豪 鬱 舉 তাজতি ন পাণিতুলেন কপোলম্। বাল-শশিনমিব সায়মলোলম্ ॥ হরি-রিতি হরি-রিাত জপতি সকাম । fবরহ-বিহিত-মরণের নিকামমূ ॥ বিরহবিহিত মরণ রাধার সেই নিষ্ঠুর প্রিয়তমের নাম জপ ক’ত উচ্চ ভালের ব্যঞ্জক তাহ প্রতিকুল সমালোচক একবার ভাবিয়া দেখিয়াছেন কি ? এততেও কি তাহারা গীতগোবিন্দে মানের প্রভাব দেখিতে পান না ? শ্রীরাধার কৃষ্ণচিন্তার এত একাগ্রতা যে, সেই চিন্তা করিতে করিতে তাহার নিজের অস্তিত্ব পর্য্যস্ত বিস্কৃত হইয়৷ তিনি সম্পূর্ণ মাত্রায় ঐকৃষ্ণে লীন হইয়৷ যান— নিজেকে শ্ৰীকৃষ্ণ ভাবে ভাবিতে থাকেন— মুহুরবলোকিত-মণ্ডন লীলা