পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৬৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১শ সংখ্যা ] তাহাদের অবস্ত কৰ্ত্তব্য বলিয়াই মনে করেন, কিন্তু ব্ৰাহ্মণ, কায়স্থ জাতির কন্য। সম্প্রদানের পূৰ্ব্বে ঋতুমতী হইলে পতিত বলিয়। গণ্য হয়, অষ্ঠ শ্রেণীর লোকেদের মধ্যে তাহ। হয় না । ব্ৰাহ্মণেতর জাতির মধ্যে বিলোম ক্রমে কন্যাসম্প্রদানের প্রথ; প্রচলিত আছে। কস্তার কেশর্চন-বিবাহ না হওয়া পৰ্য্যন্ত স্বামীগৃহে প্রেরিত হয় না । বিবাহে শুভদৃষ্টিকালীন দম্পতীর পরপর দর্শনের পর কেশৰ্চন ( দ্বিতীয় বিবাহ ) না হওয়৷ পৰ্য্যন্ত পরস্পরের দর্শন বা আলাপাদি নিষিদ্ধ । এ অঞ্চলে কিছু পূৰ্ব্বে কষ্ঠাপণের অত্যন্ত প্রাদুর্ভাব ছিল, অনেকে কন্যাপণের দায়ে একেবারে নিঃস্ব হইয়া ষাইঠেন, কেহ বা অর্থের অনাটনে চিরজীবন অবিবাহিত রহিয়৷ যাইতেন। ব্রাহ্মণশ্রেণীর মধ্যে ইহার অত্যন্ত প্রভাব ছিল। অনেক সন্তান্ত ভদ্রলোক এই প্রথা নিবারণকল্পে সভার অকুষ্ঠান করেন। বৎসর হইল সন্ত্রাস্তবংশোদ্ভব স্বদেশবৎসল পরমোৎসাহী শ্রদ্ধাস্পদ বন্ধু ঐযুক্ত উত্তমচন্দ্র বুরুয়া, এবং শ্ৰীযুক্ত নারায়ণচন্দ্ৰ শৰ্ম্মাদনৈ এবং পণ্ডিতাগ্রগণ্য সুপণ্ডিত শ্ৰীযুক্ত শিবনাথ বুজব বরয় স্মৃতিতীর্থ প্রভৃতির উদ্যোগে উক্ত কুপ্রথা ক্রমশঃ দূরীভূত হইতেছে। স্থানে স্থানে সভাসমিতি হইয়া বিবাহের ব্যয়ের হার নিৰ্দ্ধারিত হইতেছে। কেহ গোপনে পূণ গ্রহণ করিতেছে কি না তদ্বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হইতেছে। টোলের সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতগণ ও তাহদের ছাত্রবর্গ এ সম্বন্ধে ') { কামরূপের সামাজিক প্রঃ やや> অগ্রণী হইয়। কাৰ্য্য করিতেছেন। শিক্ষিত লোকেরা ইহাতে যোগ দিয়াছেন, কাজেই এই কুপ্রথা যে অধিক দিন স্থায়ী হইবে না ইহা নিশ্চিত । পূৰ্ব্বে যে স্থলে ১ ০০০ । ব্যয় হস্থত এখন সে স্থলে ১৫০২ । ২০০২ মধ্যে কার্য্য সমুদুল হইতেছে, বরপণ এদেশে একেবারেই নাই। আসামের কুত্ৰাপি ইহা দৃষ্ট হয় না। বিধবাবিবাহ এদেশে প্রচলিত আছে সত্য, কিন্তু সমাজের চক্ষে ইহ। তেমন শ্রদ্ধার জিনিষ নহে : ব্রহ্মণের ভিতর বিধবাবিবাহ নাই । যদি কেহ এরূপ কার্য। করেন তবে তিনি পতিত হন । কায়স্থের পতিত হন না বটে, কিন্তু তাহার কায়স্থসমাজে স্থান পান না । কলিতা জাতি বিধবা বিবাহ করিয়া জাতিচু্যত না হইলেও সমাজে হীনাচার রূপে পরিগণিত হন। তদিশুর জাতির মধ্যে যদি ও বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে সত্য, কিন্তু তেমন শ্রদ্ধার সঠিত যে উক্ত বিবাহে লিপ্ত হন তেমন মনে হয় না। কায়স্থজাতীয় বিধবার বিবাহ কায়স্থেতর জাতির সহিত হইয়া থাকে। স্বজাতির মধ্যে হয় না। পুনৰ্ব্বিবাহিত বিধবার পক্ষে সধবাদের মত কোন মাঙ্গলিক কাৰ্ঘ্যে ষোগ দেওয়৷ নিষিদ্ধ এবং উহাদের পক্ষে সধবার চিহ্ন সিন্দূর ব্যবহার ও সিথি কাটা অবিহিত । কেশার্চন-বিবাষ্টের পর যিনি বিধবা হন—তাহার বিবাহ যেমন হেয় বলিয়া সমাজ মনে করেন, কেশৰ্চনবিবাহের পুৰ্ব্বে যিনি বিধবা হন তাহার বিবাহকে তেমন হেয় মনে করেন না। বিশেষ এই