পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀՆ করিতে হইবে। যে মহাপুরুষ,—তিনি সন্ন্যাসী হউন,গৃহী হউন, হিন্দু ইউন,মুসলমান হউন,— বাঙ্গালি জনসাধারণের মন এ বিষয়ে লাগাইয়া দিতে পারবেন, তিনিই বাঙ্গালির পরম বন্ধু। আর যিনি এখন অন্য বিষয়ে বাঙ্গালিকে মন লাগাইতে উপদেশ দিবেন, তিনি বাঙ্গালির भबम भक्क। अिभब अशश-उत्पन्न निमञ्चशन হইতেছি, “ হাবুডুবু খাইতেছি—অগ্ৰে আমাদের উদ্ধার সাধন কর, তাহার পর আমাদিগকে অন্ত উপদেশ দিও। বিগত বর্ষে এমনই দিনে, এমনই শ্ৰীগৌরাঙ্গের পুণ্যজন্মদিনে, এমনই ভারতব্যাপী বসন্তোৎসব-ফয়ৎসবের দিনে, আমি পঞ্চম সাহিত্য-সম্মিলনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভাপতি রূপে বিশেষভাবে আমার হুগলি জেলার এবং সামান্তভাবে সমগ্র বঙ্গদেশের দুর্দশার কথা অতি কাতর কণ্ঠে, অতি আৰ্ত্তস্বরে সমগ্র সাহিত্যসেবিগণসমক্ষে ' অশ্রুপূর্ণ লোচনে নিবেদনকরিয়াছিলাম ; বলিয়াছিলাম, সাহিত্যসেবিগণ ! আমি দেশের অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিয়া বুঝিয়াছি, দেশের স্বাস্থ্যোন্নতি না হইলে, সাহিত্যের উন্নতি হইবে না। সুতরাং র্যাহারা সাহিত্যোন্নতির অভিলাষী, তাহার স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য একটু চেষ্ট করুন। বলিয়াছিলাম, অন্ত কাহারও কাছে আমি কখন এমন করিয়া আবেদন নিবেদন করি নাই। আপনাদিগকেই আমি বন্ধু বলিয়া, আত্মীয়" বলিয়া, মুরুকী বলিয়া জানি ও মানি । আমি আপনাদের দরবারে যেরূপেই হই হাজির হইয়াছি—আপনারাই আমার জজ, আপনারাই আমার জুরি, আপনার আমার অশ্রপাতে দৃষ্টিপাত্ত করুন, আমার ক্রদনে কর্ণ বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ পাত করুন, স্বাস্থ্যোতির দিকে মন দিন। আমার সেই অভিভাষণের ভূয়ো প্রচার হইয়াছিল, অনেক প্রশংসা হুইয়াছিল, যৎকিঞ্চিৎ নিনাও হইয়াছিল, কিন্তু এমন কথা একজনও বলেন নাই বা লেখেন নাই যে, সাহিত্যসম্মিলনের অভিভাষণে দেশের স্বাস্থ্যের জন্ত এতটা কাদাকাটি করা ভাল হয় নাই। ইহাতেই আমার স্পদ্ধ বাড়িয়া গিয়াছে। একে ত আমি অতি প্রয়োজনীয় কথার অবতারণা করিয়াছি বলিয়া আমার ঐকান্তিক বিশ্বাস, তাহাতে আপনাদের প্রশ্রয় পাইয়া আমার আব্দার, আমার স্পৰ্দ্ধা, অত্যন্ত বাড়িয়াছে ; আর বাড়িয়াছে আপনাদের কৃত কার্য্যে, আপনাদের অর্থাং চট্টগ্রাম সাহিত্য-সন্মিলনের অভ্যর্থনা-সমিতির সভ্যগণের অনুষ্ঠিত কাৰ্য্যে। আপনার আমার মত নিগুণ, নিক্রিয়, নিষ্কৃতি লোককে সভাপতিত্বে বরণ করিরার পূৰ্ব্বে অবশুই আমার পূর্ব অভিভাষণ পাঠ করিয়াছিলেন যে, দেশের দুর্দশার দিকে সকলের মন আকৃষ্ট করিবার জন্ত আমার একটা অসাধারণ ঝোক, অসাধারণ টান, অসাধারণ আবেগ আছে ; এটা জানিয়া শুনিয়াও যখন আপনার আমাকে সভাপতিত্বে বরণ করিয়ীছেন, তখন সেই বোক, সেই টান, সেই আবেগ যে নিতান্ত উপহাসের ব্যাপার বা অবহেলার সামগ্রী, তাহা কখন আপনার মনে করেন নাই। তাহা যখন করেন নাই, তখন আমি সঙ্কুচিত হইব কেন ? অসঙ্কোচ ত বটেই,অধিকন্তু এমন আশা করাও অসঙ্গত হইবে না যে, আপনারা আমার ক্ৰন্দনে এইবার প্রকৃতই কর্ণপাত করিবেন। আবার নিরাশার কথা বলি ! এই সম্বৎ