পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা ] এবং এখনকার দিনের বিখ্যাত ভারত-মহিলাির চরিত্রের পরিচয় আছে। শিক্ষিত বঙ্গমহিলার এখানি সুপাঠ্য পুস্তক, পড়িলে জ্ঞানের সঙ্গে আমোদ পাইবেন । ‘সনাতন ধৰ্ম্ম ও ত্বজ্ঞান-সমিতি” শ্ৰীহরিচরণ রায় এম, এ প্রণীত। থিয়সফির গ্রন্থ। থিয়সফিষ্টগণ একটি পৃথক্ সম্প্রদায় গঠন করিতে গিয়া এবং মহাযাদুকরী বলবৎসর্থীকে সম্প্রদায়কত্রী করিয়া বিষম ভ্রম করিয়াছেন, নতুবা তাহাদের মত বেশ ভাল। তবে উহার মধ্যে যে creed বা বিশেষ বিশ্বাসের পদার্থগুলি আছে, তাহা ত্যাগ করিলেই ভাল হয়। “সামাজিক সমস্তা”, প্রথম খণ্ড , শ্ৰীঅন্নদাপ্রসাদ চক্রবর্তী প্রণীত। - সমস্তার শেষ কথা হইতেছে,—“অনেক প্রাচীন নিয়ম-পদ্ধতিগুলিতে মরিচা ধরিয়াছে, তাই অবলম্বিত পন্থাগুলি ঠিক কার্যক্ষম হইতেছে না। বরং স্থলবিশেষে উপহাসের কারণ হইতেছে। দশ দিক দেখিয়া শুনিয়া কাজ করা কর্তব্য।” শ্ৰীযুক্ত কামাখ্যাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রণীত অনেকগুলি মুলিখিত প্রয়োজনীয় পুস্তক সম্প্রতি পাওয়া গিয়াছে। এই ম্যালেরিয়াপ্রবণদেগে, চিকিৎসা পদ্ধতির বিপর্যায় সময়ে, এগুলি বিশেষ উপকারী এবং উপযোগী । (১) পল্লীগ্রামের স্বাস্থ্যরক্ষা ষষ্ঠ সংস্করণ। (২) সন্তান লাভের উপায় সন্তান যদি লাভ হইল তাহার পর (৩) ‘শিশুপালন ও চিকিৎসা’ । শিশুদের ব্যাপার হইল তাহার পর(৪) "স্ত্রীশিক্ষা, শেষ (৫) মাতার প্রতি উপদেশ, গ্রন্থকার বলিতেছেন “আর্য্য অভিভাষণ අමාව মহৰ্ষিরা বিজ্ঞানের যে উচ্চ লিখিবে আরোহণ করিয়াছিলেন, পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ এখনও ততদূর অগ্রসর হইতে পারেন নাই এইটি দেখাইবার জন্ত আয়ুৰ্ব্বেদ গ্রন্থ হইতে প্লোক উদ্ধত হইয়াছে ও শ্লোকের নিম্নে পাশ্চাত্য দেশের বড় বড় বিজ্ঞানবিং পণ্ডিতদিগের মত সন্নিবিষ্ট হইয়াছে। \ " ‘রাজা দেবীদাস’, ক্রস্তারঞ্জন রায় এম, এ প্রণীত একখানি উপন্যাস। গ্রন্থ কারের ভাষার উপর অধিকার জন্মিয়াছে। আমরা দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য উৎসুক রহিলাম। “মৃত্যু মিলন” শ্রীঙ্গেমেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ প্রণীত উপন্যাস। হেমেন্দ্র বাবু সাহিত্য সংসারে সুপরিচিত, তথাপি বলিতে পারি না যে, তাহার “মৃত্যু-মিলন” সফল হইয়াছে। পত্নীর সামান্ত ভ্রান্তিতে হিন্দুপতির চিরজীবন বিচ্ছিন্ন সংস্থান –যেন কেমন তেমন লাগে, একটু বিলাতী বিলাতী বোধ হয়। 象 আমার সাহিত্য পরিচয় নিতান্ত নীরস হইতেছে। এইবার একবার প্রবিজয়চন্দ্র মজুমদার মহাশয়ের ‘পঞ্চকমালা হইতে কৌতুক-পঞ্চকের চারি পংক্তি উদ্ধত করিয়া দিই । “প্রণাম করো খোপা নেড়ে, (আমি যাবে বোকা মেরে ) দেহের বর্ণ স্বর্ণ ভূষায় উজল করে খাটি। বুঝব আমি,--নারীর ফুল্ল দীপ্তি বাড়ায় সাড়ীর মূল্য প্রীতির তত্ত্বে গীতার অর্থ একেবারে মাট " এই जस्त ঐযুক্ত রসময় লাহার পুষ্পাঞ্জল” “আরাম” ও “ছাই ভস্মের” উল্লেখ করি । ছুইজন্ম পরিহাস