পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳG o এই শ্লোকোক্ত পূৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতি কে, এ পর্যন্ত, তাতার মীমাংসা করিবার উপযুক্ত যথেষ্ট প্রমাণ আবিষ্কৃত হয় নাই। কিন্তু শ্লোকটি যে ভাবে রচিত, তাহাতে উভয় পক্ষে প্রয়োজ বলিয়া, (পূৰ্ব্বাঞ্চলের নরপতির নাম উল্লিখিত না হইয়া ) “বৰ্ম্মণা”—শব্দ গৃহীত হইয়াছে কি না, শাস্ত্রী মহাশয় তাহার আলোচনা না করিয়া, বীর-কন্ধুক (বৰ্ম্ম ) বলিয়াই তাঙ্গর বাখ্যা করিয়াছেন। সন্ধ্যাকর নন্দী স্থানান্তরে বীরগণের “নামাঙ্কন’ না করিয়া, নামাংশ বা উপাধিমাত্রই গ্রহণ করিয়াছেন। সেখানে টীকা থাকায়, নামগুলি প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। এখানে টকা না থাকায়, সে সুবিধা ঘটে নাই। তথাপি রচনাভঙ্গীতে বোধ হয়,—কবি যেন “প্রাগিশীয়েন পত্য।” এই দুইটি শব্দকে “বৰ্ম্মণা”-শবের বিশেষণ রূপেই ব্যবহৃত করিয়া গিয়াছেন। শ্লেষামুরোধে “বৰ্ম্মণা”-শব্দটি দুই পক্ষে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন অর্থে গ্রহণ করাই সমীচীন বলিয়া বোধ হয়। রামপক্ষে বৰ্ম্ম অর্থ বীরকঞ্চক তাঙ্গমুগম। রামপাল-পক্ষেও শ্লেষ্ট অর্থই গ্রহণ করিতে চইলে, এই শব্দটিকে শ্লিষ্ট না বলিয়া,“উভয়পক্ষে তুল্যার্থবোধক”বলিতে হয়। জিগীষানুরোধে সেরূপ তর্ক উপস্থাপিত হইতে পারে। কিন্তু সত্যাবিষ্কারাকুরোধে, সে তর্ক পরিত্যাগ করাই সঙ্গত বলিয়া বেtধ হয়। ভোজবৰ্দ্ধদেবের ( বেলাবে গ্রামে আবিষ্কৃত) তাম্রশাসনের সাহায্যে সমকালবৰ্ত্তা পূৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতির বর্মন:উপাধির পরিচয় প্রাপ্ত হইবার পর, রামচরিতম্’-কাব্যোক্ত “বৰ্ম্মণ" শব্দের সেইরূপ অর্থ গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত বলিয়া প্রতিভাত হয়। কবি “বর বঙ্গদর্শন [ ১২শ বর্ষ, চৈত্র, ১৩১৯ বায়ণেন চ নিজস্যন্দমদার্মেন” বলিয়া একটি মাত্ৰ চ কারের প্রয়োগে, হয় ত প্রদত্ত দ্রব্যের মধ্যে বীরকন্ধুকের ( বৰ্ম্মের ) উল্লেখ করেন নাই। .সাৰ্ব্বভৌমত্বের নিদর্শন (বরবারণ ও নিজস্তন্দন) অর্পণ করিয়াই, পূৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতি - “স্ব-পরিত্রাণ' লাভের জন্ত, রামপালের আরাধনা করিয়াছিলেন। ইহাতে বুঝিতে পারা যায়, তিনি এইরূপে “পরিত্রাণ” লাভ করিয়া, (সাৰ্ব্বভৌমত্ব পরিহারপূর্বক ) স্বামি-ধৰ্ম্মের আশ্রয়ে আসিয়া, নিজ-রাজমগুলে রামপাল দেবের সামন্ত মধ্যে পরিগণিত হইয়াছিলেন। সুতরাং রামপালের পক্ষে পূৰ্ব্ববঙ্গ (পূৰ্ব্ববৎ) “স্বদেশের অব্যবহিত ভূমি” হইয়াছিল ;–পুৰ্ব্বাঞ্চল তাহার “স্বদেশ’’ পদবাচ্য হইতে পারে নাই ;– সুতরাং সেই সামন্তচক্রের মধ্যে রামপালের রাজধানী নিৰ্ম্মাণের প্রয়োজন বা সম্ভাবনা ছিল না। পূৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতি এইরূপ ব্যবহার না করিলে, “পরিত্রাণ” লাভ করিতে পারিতেন না, রাজচ্যুত হইতেন। কিন্তু “স্বপরিত্রাণনিমিত্তং” যে ভাবে ইংরাজীতে অনুদিত হইয়াছে, তাহাতে সেরূপ তাৎপর্য্য বিকশিত হইয়াছে বলিয়া বোধ হয় না । ভূমিকায় ভাবানুবাদমাত্রই প্রকাশিত হইয়াছে। তাঙ্গতে এমনও বোধ হইতে পারে যে,—পূৰ্ব্বাঞ্চলের অধিপতি যেন কোনও শত্রুভয়ে ভীত হইয়া, রামপালদেবের আশ্রয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করিয়াছিলেন । শ্লোকে সেরূপ আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় না। गैशिज्ञ ংস্কৃতভাষায় অনভিজ্ঞ, অথবা যৎসামান্ত অভিজ্ঞতা থাকিলেও, স্বয়ং স্বাধীন ভাবে সংস্কৃত ভাষায় রচিত গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করিতে অসমর্থ, তাহারাও रडारख्हे স্বদেশের