পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২শ সংখ্যা ] সঙ্গে কোন বিরোধ নাই, সেখানে এ জাগুট সৰ্ব্বদাই রাজশক্তির বিরুদ্ধে প্রজাশক্তিরবিরোধ বাধিলে, প্রজামতেরই আমুকুল করিয়া থাকে। কাজে না পারিলেও কথায় বার্তায়, মুনোভাবে, অত্যচারীরবিরুদ্ধে যাহারাদণ্ডায়মান হয়,তাহদের সঙ্গে আন্তরিক সহানুভূতি অনুভব করিয়া থাকে। এমন কি, ভারতে যাহারা প্রজাস্বত্ব সম্প্রসারণের জন্য চেষ্টা করিতেছেন আর এই চেষ্টা করিতে যাইয়া, ভারতের ইংরেজ গবর্ণমেণ্টের হাতে স্বল্পবিস্তর নির্যাতিত হইতেছেন, র্তাহীদের প্রতিও মোটের উপরে বিলাতের লোকের একটা সামান্ত সহানুভূতি প্রকাশিত হইয়া থাকে। রাষ্ট্রীয় আন্দোলনকারীদিগকে বিলাতের লোকে অনেকটা সম্মান ও শ্রদ্ধার চক্ষে দেখিয়া থাকে। বিলাতেৱ পুলিশের লোকেও যে তাহ করে, ইহা সৰ্ব্বদাই, লক্ষ্য করিয়াছি। আমরা পশ্চাতে ঘুে সকল টিকটকী মোতায়েন হইয়াছিলেন তাঙ্গর সকলেই আমার সঙ্গে নিরতিশর সসম্লশ ব্যব হার করিতেন। চেনাশোনা হইলে সৰ্ব্বদ । দেখিবামাত্রই টুপি খুলিয়া সেলাম করিতেন। আর চেনাশোনা হইতে বড় বেশি বিলম্বও হইত না। দুজন লোক প্রাতে নয়ট হইতে রাত্রি প্রহর পর্য্যন্ত আমার বাড়ীর আশে পাশে, দাড়াইয়া থাকিবে, ঝড় হউক, বৃষ্টি হউক, বরফ পড়ক, রৌদ্র ছিক, अर्लप्ताहे . তারা দাড়াইয়া আছে ; কখনও তামাক - * - খাইতেছে, কখনও পথের লোকের সঙ্গে কথাবাওঁ'কহিতেছে, কখনও বা পনেট হইতে ংবাদপত্র খুলিয়া পড়িতেছে, কখনও বা बश्हे হয়ত পড়িতেছে কিন্তু নজরট সৰ্ব্বদাই আমার দরজার দিকে রচিয়াছে- এ ভাবে য"ি বিলাতের টিকটিকি ዓ¢<) গোয়েন্দাগিরি করে, তাদের চিনিয়া লইতে তো আর বড় দেরি হয় না। প্রথম কয় সপ্তাহ এ দিকে নাকি তেমন লক্ষ্য করি নাট, সুতরাং তখন এদের চিনিতে পারি নাই, কিন্তু মেদিন হইতে বুঝিলাম যে আমার পিছনে লোক আছে, সে দিন হইতে ইহারা সৰ্ব্বদাই ধরা দিতে আরম্ভ করিল। প্রথমে কি করিয়া এক ব্যক্তিকে ধরিয়ুছিলাম, 'পূৰ্ব্ব- বন্ধে তার উল্লেখ করিয়াছি । ইহার কিছুদিন পরে তার সঙ্গীকেও ধরিয়া ফেলি। এই দিনও আমার পাশি বন্ধুটার গৃহিণী এবং আমার পুত্র ও আর একটা পাশি ভদ্রলোক আমার সঙ্গে ছিলেন । এ দিনও আমরা সকলে মিলিয়া একটা সভাতে ঘাইতেছিলাম। বাড়ী হইতে বাহির হইয়া, একবার পথে চলিতে চলিতে পশ্চাতের দিকে ফিরিয়া কেন্থ সঙ্গ লইয়াছে কি না দেখিলাম, কিন্তু কাহাকেও দেখিতে পাইলাম না। ক্রমে আমরা “টিউব” ষ্টেশনে যাইয়া উপস্থিত হইলাম। লণ্ডন সহরে মাটর নাচে দিয়া সুড়ঙ্গের ভিতরে, যে সকল রেলগাড়ী তাড়িত যোগে যাত্রী-সম্ভার লইয়া মূহূর্তে মূহুর্তে যাতায়াত করে, তাহাকেই টুিউব ধুলে রেলের যেমন ষ্টেশন আছে, এই টিউবেরও সেইরূপ ষ্টেশন আছে। ষ্টেশনগুলো রাস্তার উপরে। এখানে টিকিট কিনিয়া তড়িৎ-চলিত শিফটে (lift ) করিয়া নীচে নামিয়া গাড়ীতে উঠিতে হয়। টিউবেরও প্লাটফম", আছে। এ প্লাটুফম গুলা সাত আট তল প্রমাণ জমির নীচে। আমরা ক্রমে সেখানে যাইয়া উপস্থিত হইলাম। তখন একটা লোককে দেখিয়া আমার সন্দেহ হইল যে বুঝি ব? সেই এবার স্বামীর টপরে মোতায়েম