পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়দেৰ ও বিদ্যাপতি O আমরা জয়দেব ও বিদ্যাপতির क्लकड প্রাণী শ্রীরাধাকে দেখিয়াছি, এইবাৰু এতদু ভয়ের শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখিতে ইচ্ছা করি। যাহা দেখিয়াছি তাহা হইতে যদি আমরা এই টুকু বুঝিয়া থাকি যে, শ্রীরাধার ভালবাস তোমার আমার সম্পূর্ণ বোধায়ত্ত না হইলেও ইঙ্গ এক অপার্থিব বস্তু, তাহা হইলেই ইহার যথার্থ তত্ত্ব হৃদয়ঙ্গম করিবার পথ প্রশস্ত হইয়াছে। নি বৈষ্ণব তিনি জানেন যে শ্রীরাধা ভিন্ন শ্ৰীকৃষ্ণের পূর্ণতা নাই ; শ্রীরাধা সংযুক্ত হইয়াই তিনি শ্ৰীকৃষ্ণ, আর তাঁহা না হইলেই তিনি কৃষ্ণ মাত্র; এই লাদিনী শক্তির সংযোগ আছে বলিয়াই শ্ৰীকৃষ্ণের লীলাময়ী প্রকৃতির বিকৃশ, নচেৎ সকলই আনন্দহীন । হলদিনী শক্তি না থাকিলে বাশী ব্যজিত না, জীবের ভক্তিও চরিতার্থ হইত না । এই আনন্দময়ী বৃত্তির পরিপোষক যত বস্তু আছে তাহাঁদের মধ্যে রসাস্বাদ লোলুপী সখীই প্রধান। ইহার না থাকিলে রাধাকৃষ্ণ-প্রেমরদ পরিপুষ্ট হয় না। তাই বৈষ্ণব কবি সৰ্ব্বত্রই সখী-চরিত্রের অব-' তারণা করিয়াছেন। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি যে—ভূগবানে সৰ্ব্বশ্বাপণ, সমস্ত ইঞ্জিয় দ্বার ভগবাস্বান ইহাই লাদিনীর আকাজ,তাই আমরা আদি বৈষ্ণব কবিদ্বয়ে দৈহিক আকাঙ্ক্ষার এত প্রাবল্য দেখিতে পাই। আমরা পূৰ্ব্বেও সর্থীর কার্য অনেক দেখিয়াছি, অতঃপরও দেখিতে পাইব। শ্রীরাধার চরিত্রবিশ্লেষণ যেমন সর্থীর সাহায্য ব্যতীত হয় না, শ্ৰীকৃষ্ণের চরিত্রও সেইরূপ সর্থীর সাহায্য ব্যতিরেকে বাক্ত হয় না। ইগদিকে যাহারা দূতী বলিচে চাহেন, তাহারা তাই বুলুন, কিন্তু স্বক্ষ দৃষ্টিতে দেখিলে তাহারাও বুঝিতে পারিবেন যে এই সর্থীর চরিত্রে যে কোমলতা, প্রাণে যে নিঃস্বার্থত, হৃদয়ে যে কবিত্ব আমাদিগের আলোচ্য মহাকবিদ্বয় কর্তৃক অর্পিত চুইয়াছে, তাঙ্গ সামান্ত দূতীর ত কথাই নাই, অনেক নায়িকারও নাই। এ কথা আপন হইতেই প্রমাণ হইয়া বাইবে এরূপ আশা করা যায়। এখন আমরা জয়দেবের শ্রীকৃষ্ণচরিত্র দেখিয়া প্রেমতত্ত্ব বুঝিবার প্রয়াস করিব। শ্ৰীকৃষ্ণ যে বৈষ্ণবের কাছে ভগবান্‌ স্বয়ং সে कक्ष यान आयता झुनिष्ठा पिश्रङ ।ि আমরা দেখিয়াছি যে সরস বসন্তে শ্ৰীকৃষ্ণ শত যুবতী পরিবৃত হইয়া ক্রীড়া করিতেছেন। ক্ষণিক ভ্রান্তিময় মুহূর্বের জন্য শ্ৰীকৃষ্ণ শ্রীরাধাকে ভুলিয়া শত মুন্দরীর মন রাখিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন। কবি শ্রীকৃষ্ণের চারিধারে একটা যেন অভেদ্য ইন্দ্রিয়াকর্ষণের দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছেন। একে বসন্ত ঋতু,—তাঁহাতে স্বভাবতঃ যুবকের হৃদয় মদমত্ত হইয় উঠে, প্রাণের উপর দিয়া હશે. চঞ্চলতার স্রোত বহিয়া যায়, তাহার উপর আজ সেই বৃন্দারবিপিন যেন সুন্দরী যুবতীদের যুঃশঙ্গলে বিশোভিত হইয়া প্রলোভনের কেন্দ্রস্থল হইয়া উঠিয়াছে, তাহার উপর আবার এই সুন্দরীগণের মধ্যে শ্ৰীকৃষ্ণকে বীভূত করিবার জন্ত যেন একটা রেষারেষি