পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

q8 दछ जस्लान्।ि মনোহর প্রণালী দ্বারা ইঙ্গিতে প্রকটিত করিয়াছেন। নিষ্কম্প এবং বিশাল উদধির বক্ষে প্রকৃতি এবং পুরুষের প্রথম উদ্বাহ, সপ্তপর্ণভূষিত কুমারগণের বাল্যলীলা, অনন্ত আকাশতলে তাহা দগের আত্মবিস্মৃতি এষং স্বপ্ন, ভূগৃহে তাহাদিগের পুনরাবৰ্ত্তন, মাতৃস্নেহ, পিতৃৱিস্কৃতি এবং মায়াবধূ লইয়৷ গৃহরচনা, কত কথায়, কত ছন্দে এবং কত রঙ্গে রবীন্দ্রনাথের কাবে দেখিতে পাইছি | @, অবসর মত যাহা মনে পড়িত, তাহারই কতিপয় কথা এই প্রবন্ধে আমরা লিখিতেছি । সমালোচনা করা এ প্রবন্ধের উদ্দেশ্য নহে। কাব্যের সহিত ধৰ্ম্মের, এবং প্রকৃতির সহিত পুরুষের নিগূঢ় সম্বন্ধ, যাহা আমরা রবীন্দ্রনাথের গানে পাইয়াছি, তাহারই কিয়দংশ বর্ণনা করা এই প্রবন্ধের উদ্দেশ্য । সমালোচনার বিপুল ব্যাপার আমাদিগের সাধোর বহির্ভূত। রবীন্দ্রনাথের গভীর মৰ্ম্মস্পর্শী কাব্য সম্পূর্ণরূপে মানসপটে চিত্রিত করি, সে স্পৰ্দ্ধা আমাদিগের নষ্ট ! ক্ষুদ্র অন্তঃকরণে যতদুর তাহার প্রতিঘাত অনুভব করিয়াছি, ক্ষুদ্র বুদ্ধিতে তাহার মৰ্ম্ম যতদূর বুঝিয়াছি, সে সব কথা বলিলে, যদি অন্য কাহারও সম্বাদী ভাবের সছিত মিশিয়া যায়, তাহ। হইলে আনন্দ লাভ করিয়া সার্থক হইব। ধৰ্ম্মই কাব্যের মূল ধূতি হইতে ধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্ম প্রকৃতি এবং পুরুষের নিগূঢ় সম্বন্ধ। অজ্ঞান ও মায়। হইতে আত্মবিস্তৃতি এবং দুঃথ। কিন্তু ७हे বিশাল মায়ারূপী আবরণের মধ্যে ধৰ্ম্মই ১২শ বৰ্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ পথপ্রদর্শক। ধৰ্ম্ম প্রথমাবস্থায় পরিচ্ছিন্নভাবে উদিত হয়, ক্রমে কৰ্ম্মক্ষেত্রে দেহ, ভক্তি, প্রেম, প্রীতি এবং আত্মত্যাগে প্রসারতা লাভ করে। তাহারই প্রতিকৃতি সমাজ এবং সংসার। বহুযুগ দুঃখ সহিয়া জীব অবশেষে জাতিস্মরত আত্মজ্ঞান লাভ করে । জীবাত্মার এই বিশাল ইতিহাস, কেবল মানবের সামাজিক কিংবা জাতীয় ইতিহাসে প্রকটিত করা দুঃসাধ্য। একই লীলা, একই ধৰ্ম্ম, অহরহ চক্রবৎ পরিবর্তন এবং করিতেছে। ধৰ্ম্মশাস্ত্র গুরুমুখী বিদ্য, দর্শন বিবেক ও বিচার-সাপেক্ষ। বাহদৃষ্টিতে ইতর মানব কেবল দুইটী চিত্র দেখিতে পায়-দ্বন্দ্ব এবং প্রেম । একদিকে জীবনসংগ্রাম, অন্যদিকে স্নেহবন্ধন। সেই বন্ধন ধৰ্ম্মোদ্ভূত, এবং বন্ধন হইলেও যুক্তির পথ । প্রেম একটি নিগৃঢ় বন্ধন, ভক্তিও বন্ধন। কিন্তু এই বন্ধন হইতেই, এই দ্বৈতভাব হষ্টতেষ্ট, প্রাণের গতি অন্তমূখী হইয়৷ থাকে। পরিচ্ছিন্ন জীবনের সহিত অনন্ত জীবনের সম্বন্ধ ঘনীভূত হয়। প্রেম হইতেই জীব যুক্তাবস্থা অনুভব করে, আদর্শ কল্পনা করে। সেই প্রেমের প্রসারত স্থাবর জঙ্গম এবং প্রত্যেক বিশ্বকৰ্ণায় যে অনুভব করে সেই ভক্ত। তাহারই সৌন্দৰ্য, তাহার সঙ্গীত লইয়। কাব্য। তাহারই কথা, ধৰ্ম্মের কথা, প্রকৃতি এবং পুরুষের সম্বন্ধের কথা। অতএব মনীষিগণ কহিয়াছেন, ঈশ্বর, প্রকৃতি, ধৰ্ম্মের প্রতিভা, সৌন্দর্ঘ্য, সঙ্গীত এবং প্রেমময় মানবের জীবন, এই গুলি কাব্যের সাধারণ এবং মৌলিক বিষয়।