পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বাদশ খণ্ড.djvu/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిరి 可娜丽 শন “কোমল চরণ তলে ধরাতল কেমনে নিশ্চল হ’য়ে ছিল ?” এবং তাহাতেও তৃপ্ত না হইয়া আকুল কণ্ঠে গাহিয়া উঠিয়াছেন— “যে ভূমিতে আছেন দাড়ায়ে সে ভূমির তৃণদল হইতাম যদি , শৌর্যবীৰ্য যাহা কিছু ধূলায় মিলায়ে লভিতাম দুৰ্ল্লভ মরণ, সেই তার চরণের তলে ?” এবং কেহ বা তাহাতেও তৃপ্তি না পাইয়া ভক্তির আকুল উচ্ছাসে বলিয়া ফেলিয়াছেন – 願 “কাজ কি আমার কাশী ? শু্যামাপদ কোকনদে গয়া গঙ্গা বারাণসী !” শ্ৰীচরণের এমন অপূৰ্ব্ব মহিমা-সঙ্গীত জগতের অন্য কোন সাহিত্যে দুল্লভ। দুর্ভাগ্যবশতঃ পাশ্চাত্য সভ্যতার অস্বাস্থ্যকর প্রভাবে ভারতের এই সনাতন মহিমা বিলুপ্ত হইতে বসিয়াছিল। পাশ্চাত্যশিক্ষাবিকৃত সমাজ পূৰ্ব্ব হইতেই এ বিষয়ে ব্যঘাত ঘটাইবার চেষ্টা করিতেছিলেন, তাহার উপর কিছুদিন পূৰ্ব্বে ভক্তিভাজন পণ্ডিতরাজ যাদবেশ্বর তর্করত্ন মহাশয়ের বিদূষী পত্নী স্ত্রীলোকের পাদুকা ব্যবহারসম্বন্ধে প্রবন্ধ রচনা করিয়া আমাদের অধিকতর সন্ত্রস্ত করিয়া তুলিয়াছিলেন। পণ্ডিতমহাশয়৷ অনুবোগ করিয়াছিলেন যে পুরুষগণের “স্থল কমল" শোভাদর্শনের মূঢ় আকাজ এবং রমণীমণ্ডলীর অলক্তক রঞ্জিত চরণকমলের শোভাপ্রদর্শনের শূন্তগর্ভ গৰ্ব্বই রমণীজাতির পাদুকা পরিত্যাগের কারণ । ১২শ বৰ্ষ, জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ আমরা চরণকমলের চিরভক্ত হিন্দুজাতি -যাহাদের আদর্শ দেবতা "উদার পক্ষপল্লব" মস্তকে ধারণ করিয়া চরণের মহিমা প্রচার করিয়া গিয়াছেন—আমরা পাশ্চাত্য-আদৰ্শঅনুপ্রাণিত শিক্ষিত সমাজের অনুরোধ, গ্রাহ করি নাই, কিন্তু হিন্দুধৰ্ম্মনিষ্ঠ প্রবীণ পণ্ডিতমহাশয়ার প্রবল অসুযোগ আমাদের কথঞ্চিৎ নিরুত্তর করিয়াছিল। তাই আঞ্জ সহসা সুশিক্ষিত পশ্চিমের দূরপ্রান্ত হইতে অপ্রত্যাশিত অভয়বাণী শুনিয়া আবার বহুকাল পরে আমাদের “নিৰ্ব্বাণভূয়িষ্ঠা" আশা “সন্ধুক্ষিত” হইয়া উঠিতেছে যে পশ্চিম আপনার বিষময় প্রভাবে আমাদের সর্বনাশে উদ্যত হইয়াছিল, সে-ই আজ আবার আমাদের রক্ষার জন্য বৃহ রচনা করিয়৷ দীনবন্ধুর অমর বাণীকে পূর্ণ সার্থকতা দান করিয়াছে ! আমেরিকার "ইলিনয়’’ প্রদেশের স্ত্রীলোকদের শ্রীচরণসম্বন্ধে বহুদিন হইতে কিছু খ্যাতি আছে। পাশ্চাত্য ভূখণ্ডে উহাদের মত দৈর্ঘ্যপ্রস্থবিশিষ্ট শ্ৰীচরণ না কি দুর্লভ ! শ্ৰীচরণ-মৰ্য্যাদাভিজ্ঞ পাশ্চাত্য সমাজে এ জন্য এতদিন তাহাদিগকে কিছু সঙ্কুচিত হইয়া থাকিতে হইয়াছিল। এতদিন পরে সেখানকার একজন সুপণ্ডিত অধ্যাপক প্রগাঢ় গবেবণ সহকারে ঐচরণের মহিমা আবিষ্কার করিয়া তাহদের বহুকালের কলঙ্ক বিদূরিত করিয়াছেন। অধ্যাপক মহাশয়ের মতে শ্ৰীচরণ কেবল শরীর বহনের উপযোগী যন্ত্রমাত্র নহে, ইহা প্রকৃতি-বুদ্ধিমত্তা এবং মানসিক শক্তির বাচক। ঐচরণের দৈর্ঘ্য প্রন্থের উপরেই