পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

398 বঙ্গদর্শন। [8जार्छ । ই। তাৰ বচনের সার্থকত আঠুকান৷ রকম করিতে তৎপর হইল । 8 খগুরালয়ে পৌছিয়া বিরজামোহন অনারে নীত হইলেন। তথায় প্রশস্ত বারান্দায় র্তাহার উপবেশনের জন্ত কাপেটের আসন বিছান ছিল এবং নিজের ও পাড়ার শু্যালিকাসম্পৰ্কীয় সুন্দরীগণ—সংখ্যায় প্রায় দ্বাদশটি— তাহার সাদর-সম্ভাষণার্থ সে স্থান আলো করিয়াছিলেন । তিনি ভরসা করিয়াছিলেন, ওগুপ্রেস পঞ্জিকার চিত্র অনুকরণ করিয়া জরি একজন তাঁহার উদেশে উকিঝুকি মারিবে, কিন্তু তাহার বদলে শুনিতে পাইলেন, মল ঝঙ্কত করিয়া প্রাঙ্গণে কে একজন ছুটিয়া পলাইল। বড় দিদি হাসিতে হাসিতে ডাকিতেছিলেন—“মুকু মুকু, বরের বরণ দেখুবি আয় ।” ঔষ্ঠঙ্গণে মুকুমারী ছোট বোটিকে কোলে করিয়া খিড়কীর বাগানে অস্তৰ্হিত হইয়া গেল । বৃহৎ থালে প্রচুর মিষ্টান্ন, ফুল, ফল এবং ধান-দূৰ্ব্বা ও নববস্ত্র লইয়া শাশুড়ী-ঠাকুরাণী জামাই-আশীৰ্ব্বাদ করিলেন। বিরজামোহন নক্ষত্ররূপি-স্তালিকাদল-মধ্যবৰ্ত্ত হইয় পূৰ্ব্বেই চক্ষু নত করিয়াছিলেন, এবং সেজন্ত নাটক-নভেলের ভাষায় বিস্তর বিন্দ্রপবাণ তাহার উদ্দেশে বর্ষিত হইতেছিল। শাশুড়ীঠাকুরাণীকে আসিতে দেখিয়া তিনি আরো জড়সড় হইলেন । ইহার ফলে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া শ্বশ্ৰঠাকুরাণী চলিয়া গেলে বিরজার মনে হইল, তাকে একটা প্রণাম - ছিল ! - 鳴 তখন শুশলীদের পালা । পূত্রে রাশিয়াশি ফুল ও মিঠুন তার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইল। বিরজমোহন প্রথমে আহারে অনিচ্ছ প্রকাশ করায় বড় শুালী ও ঠাকুরাণীদিদিদের কাছে শুনিতে পাইলেন যে, একটা-কিছু তাকে খাইতেই হইবে, হয় মিষ্টান্ন, না হয় কর্ণমর্দন ! কাজেই তিনি আহারে প্রবৃত্ত হইলেন। মিছরির পানা মুখে দিবামাত্র বুঝিলেন, সেটা খড়ভিজান জলমাত্র ; পান্তুয়ার ভিতর ছুচ, রসগোল্লায় আলপিন্‌! বিরজার দুর্দশ দেখিয়া শু্যালিকাদের আনন্দের সীমা রহিল হাস্তলহরী বহিৰ্ব্বাটীতে পর্য্যন্ত পৌছিতেছিল। শেষে শাগুড়ী-ঠাকুরাণী স্বহস্তে খাবার আনিয়া জামাতার উদ্ধার করিলেন । স্নানাদির পর আহারে বসিয়াও বিরজামোহন নিস্তার পাইলেন না। কিন্তু তখন কেবল সজ্জিত অল্পের ভিতর একটি কাংসপাত্র বসান ছিল । বিরজ। ভয়ে ভয়ে ভাত ভাঙিতেছিলেন,—এবার আর তার হার * হইল না,—দেখিয়া শ্বশ্ৰাসম্পৰ্কীয়ারা কস্তাদের অমুযোগ করিলেন যে, খাওয়ার জিনিষে আযার তামাসা কি ? মধ্যাহ্লে বৈঠথখানার শুtলাবাবুদের মজুলিসে তাস-পাস এবং সতরঞ্চ চলিতেছিল, গল্পগুজবেরও অভাব ছিল না। বিরজামোহনকে আর একবার অন্দরে অtহবান করিয়া রঙ্গরস-রচনার উদ্যোগ হইয়াছিল, ਨਾਲੋੜ جrgarة حي عامي - - না দে কলকুষ্ট্রের কিন্তু ভয়ে “জামাইবাবু” আর সে মুখে হই লন না। খেলাধূলার পর অপরাহ্লে আর বার জলযোগের পাল । কিন্তু কৰ্ত্ত তখন কলিকাতা হইতে ফিরিয়া আসিয়াছেন।