পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সংখ্যা । ] छांभाई-बष्ठी । Ye (t আহুর্য্যে সুর কোন ཅྀཥ་ཐ་ ছিল না। তবে পিড়ির নীচে সুপারি রক্ষিত হওয়ায় বসিবার সময় জামাত বাবাজীর পা একবার পিছলাইয়া গিয়াছিল বটে। সন্ধ্যার পর বৈঠথখানায় যে গীতবাদ্যের মজলিস বসিল, বিরজা তাহাতে হাৰ্ম্মোনিয়ম্ বাজাইয়া শুালকদের • সাধুবাদ উপার্জন করিয়াছিলেন । ৯টার পর আহারান্তে যখন তিনি শয়নগৃহে প্রবেশ করিতেছিলেন, তখন সত্যসত্যই মনে হইতেছিল, বরটি যেন চোরটি ! & শয়নকক্ষে প্রবেশ করিয়া কিছু সন্দিগ্ধচিত্তে বিরজামোহন তাহার চারিদিক্‌ চাহিয়া দেখিতেছিলেন। অাড়িপাতার দৌরাত্ম্যের কথা তাহার শোনা ছিল, দোর-জানালার প্রাচুর্য্যে কক্ষটি তাহার উপযোগী দেখিয়া কিছু সঙ্কোচের সহিত তিনি শয্যায় প্রবেশ করিলেন । বিবাহের পর একবারমাত্র বালিকা পত্নীর সহিত র্তাহার পরিচয় হইয়াছিল, দুই বৎসরে সে দেখিতে কেমন * ও কত-বড়টি হইয়াছে, তাহা মনে করিতে পারিতেছিলেন না। এমন সময় আপাদমস্তক-অব গুষ্ঠিতা কিশোরী আসিয়া দ্বার রুদ্ধ করিল এবং শয্যায় বসিয়া বিরজামোহনের করম্পর্শ করিল। বিরজা বিস্মিত হইয়া দেখিলেন, কোন কথা না বলিয়াই বালিকা র্তাহার অঙ্গুলিতে অঙ্গুরীয় পরাইতে ব্যস্ত । হালিকার গৃহের বাছিরে যে অপেক্ষা করিতেছিলেন, তাহা মৃদ্ধ অলঙ্কারশিঞ্জিতে বুঝা যাইতেছিল । কিন্তু আংটি-পরান শেষ হইলে বিরজামোহনের মনে হইল, এখন লজ্জা করিলে নিতান্তই সেই চিঠির তামাসায় র্তাহাকে হারি মানিতে হয়। হ্যামিলটনের বাড়ীর হীরকাঙ্গুরীয় রুমাল হইতে খুলিয়া তিনিও বালিকার অঙ্গুলিতে পরাইয়া দিলেন। প্রকোষ্ঠের উজ্জ্বলালোকে দ্বার এবং জানালার ছিদ্রপথ দিয়া হালিকার এই অঙ্গুরীয়বিনিময় দেখিলেন এবং একযোগে হাসিয়া উঠিলেন। বিরজামোহন মহা - অপ্রস্তুত হইয়া দেখিলেন, আংটি পরিয়া অব গুষ্ঠিত মাথার কাপড় ফেলিয়া দিয়াছে এবং সে যেই হৌক, কিন্তু স্বকুমারী নহে! বধুরূপী বালক হাসিয়া বলিতেছিল—“কেমন জামাইবাবু, মুকুদিদি সেজে কেমন তোমার ঠকিয়েচি !” দুয়ার খোলা পাইয়া ঠাকুরাণীদিদি ও শু্যালিকার দল আর একবার বিরজামোহনকে লইয়া পড়িলেন । তাহার উপহৃত অঙ্গুরীয় মুকুমারীকে পরাইতে পরাইতে সকলেই মুক্তকণ্ঠে উহার কারুকাৰ্য্যের প্রশংসা করিতেছিলেন। অঙ্গুরীয়শীর্ষে ক্ষুদ্র তিনটি মূৰ্ত্তি গঠিত হইরাছিল। একজন হীরকখণ্ড দেখাইয়া মধ্যবৰ্ত্তী যুবাপুরুষকে প্রলুদ্ধ করিতে ছিল। কিন্তু যুবার মুগ্ধদৃষ্টি লজ্জা-বিনতা কিশোরীতে তন্ময়, অথচ বামহস্তভঙ্গীতে মনে হইতেছিল, অমূল্য হীরকখও ঘৃণায় তিনি প্রত্যাখ্যান করিতেছেন । শ্ৰীশ্ৰীশচন্দ্র মজুমদার ।