পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] , বিদেশী বন্ধু। Ꮌ Ᏹ☾ ੋਣਿ বলিয়া ফেললাম, “প্রস্তরমূৰ্ত্তি ? না।” 穩 রবার্ট। মনে কর, সে যদি চলিতে পারে; তার অঙ্গ যদি গোলাপের দ্যায় কোমল হয় ; তার কেশ যদি পবনের ক্ষমতার বাহিরে না থাকে ; তার চক্ষুরু গোলাপী পাতা যদি ওঠে-নামে ; তার নাসিক হইতে যদি হৃদয়ের উত্থানপতনের অনুগামী লঘুনিশ্বাস বাহির হয় ; (আমার দৃষ্টি এতক্ষণ কেবলি বিস্ময়ে বিস্ফারিত হইয়া তাহার অনির্দিষ্ট দৃষ্টির উপর স্থাপিত হইতেছিল ) তার চক্ষুর দৃষ্টি যদি কোমল, মধুর, উজ্জল, হাস্তে দীপ্ত, করুণtয় সজল হয়—হর্ষচঞ্চলত অপেক্ষা বরং করুণ গাম্ভীৰ্য্যই ব্যঞ্জিত করে ; তার ওষ্ঠাধরের গোলাপ যদি ভয়ের শীতবাতে কম্পিত এবং মুখের আরুণম্পর্শে হাস্তে প্রস্ফুট হইয় উঠে ; তার বাহু যদি রোমীয় দীর্ঘচ্ছদ পরিহার করিয়া আধুনিক ল্যাভেণ্ডার-বস্ত্রে আবৃত হয়”— বাধা দিয়া আমি আমার বিস্ময় গোপন করিয়া, উপহাসস্বরে তাড়াতাড়ি বলিয়া উঠিলাম— “তুমি দেখি আর ডুম্সডের পূৰ্ব্বে থামিতেছ না-থাম থাম—সংক্ষেপে বল না কেন —সে যদি পরম মুন্দরী একটি আধুনিক কন্ত হয় —হঁl, তাহা হইলে নিশ্চয়ই তাহাকে ভালবাসিয়া জীবন কাটাইতে পারি”—বলি য়াই আমার বোধ হইল, যেন উপহাস বড় রূঢ় হইয়াছে। রবার্টের দৃষ্টি তখনও মনির্দিষ্ট। সেই অনির্দিষ্ট তরলম্বন্দর দৃষ্টিটি ঘুরিয়া আসিয়া আমার চক্ষুর উপর স্থাপিতৃ হইল। সেই ছজ্ঞেয়-গষ্টীর দৃষ্টি দেখিয়া আমার মূঢ়ত আমি বিশেষরূপে অনুভব করিতে লাগিলাম, আমার কষ্ট বোধ হইতে লাগিল। ধীরে ধীরে অামার কল্পনাতে একটি প্রেমকাহিনী জাগ্রত হইয়া উঠিল— রবাটের হৃদয়ের একভাগ যেন একটি কোন স্বপ্নময়-সৌন্দৰ্য্যময় কক্ষে অবতরণ করিয়া অদৃশু হইয়া গেল—তাহার তুরল দৃষ্টি রহস্তে অতিমাত্র নিগৃঢ়ভাব ধারণ করিল। উৎফুল্ল হইয়া অৰ্দ্ধস্পষ্টস্বরে বলিয়া উঠিলাম, “কত সুন্দর ! কত সুন্দর !” রবার্টেরও যেন একটা চিন্তা অপগত শুইল । নড়িয়া-চড়িয়া বসিয়া উচ্চৈঃস্বরে সে বলিতে লাগিল— “যাক যাক্ ! তুমি এখানকার যুবকদের ভাল করিয়া জান ? এমন খারাপ জীব আর কোথাও পাইবে না। তাহদের মুখের উপর থুথু ফেলিতেও আমার ঘৃণাবোধ হয়”—( ক্রমেই স্বর চড়িতেছিল ) ‘তাঁহাদের ভালবাসা সব খেলা, কুপ্রবৃত্তি, উচ্ছअनऊां”-( श्ठां९ दांश् छ्ॉज्जाहेब्र लट्टेग्नां झूठे করতলে এক সশব্দ আঘাত করিয়া ) “এইজন্তই ইহাদিগকে আমি কুকুরের স্তায় দেখি-কথাও বলি না” (সহসা উঠিয়াদাড়াইয়া হঁটিতে হাটিতে, আমিও সঙ্গে সঙ্গে চলিতে লাগিলাম )—“বালিকাগুলিই কি ভাল ? সেগুলিকে ও খারাপ করিয়া তুলিয়াছে ! সহরে কখনে, কখনো থাকিও না— ঐ উপত্যকার গ্রামে গিয়া গৃহস্থাপন কর । কথা ! কেবলি কথা ! কথা বন্ধ করিয়া দাও,-হাজার-এক বিপদ অন্তৰ্ধান করিবে। কথা না থাকিলে হৃদয়ের অনুভবশক্তি প্রথর হয়, সৰ্ব্বাঙ্গে হৃদয় ফুটে ।”—আবার আসিয়া বসিল। কিন্তু একি ? এ কোন