পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় সংখ্যা । ] ব্রাহ্মণ ॥ " S3% সময় সেই সমগ্র স্বাভাবিক ব্যবস্থাটি গ্রহ করিতে পারি না । সুতরাং অন্য সমাজে যাহা ভাল করে, নকলকারীর সমাজে তাহাই মনোর কারণ হইয়া উঠে। য়ুরোপীয় মানব প্রকৃতি সুদীর্ঘকালের কাৰ্য্যে যে সভ্যতাবৃক্ষটিকে ফলবান, করিয়া তুলিয়াছে, তাহার দুটো-একটা ফল চাহিয়া-চিন্তিয়া লইতে পারি, কিন্তু সমস্ত বৃক্ষকে আপনার করিতে পারি না। তাহদের সেই অতীত কাল আমাদের অতীত । কিন্তু আমাদের ভারতবর্ষের অতীত যদি বা যত্বের অভাবে আমাদিগকে ফল দেওয়া বন্ধ করিয়াছে, তবু সেই বৃহৎ অতীত ধ্বংস হয় নাই, হইতে পারে না,—সেই অতীতই ভিতরে থাকিয়া আমাদের পরের নকলকে বারংবার অসঙ্গত ও অকৃতকার্য্য করিয়৷ তুলিতেছে। সেই অতীতকে অবহেলা করিয়া যখন আমরা নুতনকে আনি, তখন অতীত নিঃশব্দে তাহার প্রতিশোধ লয়— নুতনকে বিনাশ করিয়া পচাইয়া বায়ু দূষিত করিয়া দেয়। আমরা মনে করিতে পারি, এইটে আমাদের নূতন দরকার, কিন্তু অতীতের সঙ্গে সম্পূর্ণ আপোষে যদি রফা-নিম্পত্তি না করিয়া লইতে পারি, তবে অবিশ্বকের দোহাই পাড়িয়াই যে দেউড়ি খোলা পাইব, তাহা কিছুতেই নহে। নুতনটাকে সিধ কাটিয়া প্রবেশ করাইলেও, নুতনে-পুরাতনে মিশ না থাইলে সমস্তই পঞ্চ হয়। সেইজন্য আমাদের অতীতকেই নুতন বল দিতে হইবে, নুতন প্রাণ দিতে হইবে। শুষ্কভাবে শুদ্ধ বিচারবিতর্কের দ্বারা সে প্রাণসঞ্চার হইতে পারে না। যেরূপ ভাবে চলিতেছে, সেইরূপ ভাবে চলিয়া যাইতে দিলেও কিছুই হইবে না। প্রাচীন ভারতের মধ্যে যে একটি মহান ভাব ছিল—যে ভাবের আনন্দে আমাদের মুক্তহৃদয় পিতামহগণ ধ্যান করিতেন, ত্যাগ করিতেন, কাজ করিতেন, প্রাণ দিতেন, সেই ভাবের আনন্দে, সেই ভাবের অমৃতে আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করিয়া তুলিলে,সেই আনন্দই অপূৰ্ব্বশক্তিবলে বর্তমানের সহিত অতীতের সমস্ত বাধাগুলি অভাবনীয়রূপে বিলুপ্ত করিয়া দিবে। জটিল ব্যাখ্যার দ্বারা জাদু করিবার চেষ্ট না করিয়া অতীতের রসে হৃদয়কে পরিপূর্ণ করিয়া দিতে হইবে। তাহ দিলেই আমাদের প্রকৃতি আপনার কাজ আপনি করিতে থাকিবে । সেই প্রকৃতি যখন কাজ করে, তখনি কাজ হর—তাহার কাজের হিসাব আমরা কিছুই জানিনা;—কোনও বুদ্ধিমান লোকে বা বিদ্বান লোকে এই কাজের নিয়ম বা উপায় কোনমতেই আগে হইতে বলিয়া দিতে পারে না । তর্কের দ্বারা তাহায়া যেগুলিকে বাধা মনে করে,সেই বাধাগুলিও সহায়তা করে,যাহাকে ছোট বলিয়া প্রমাণ করে,সে-ও বড় হইয়াউঠে। কোন জিনিষকে চাই বলিলেই পাওয়া যায় না- অতীতের সাহায্য এক্ষণে আমাদের দরকার হইয়াছে বলিলেই ষে তাহাকে সৰ্ব্বতোভাবে পাওয়া যাইবে, তাছা কখনই না । সেই অতীতের ভাবে যখন আমাদের বুদ্ধি-মন-প্রাণ অভিষিক্ত হইয়া উঠিবে, তখন দেখিতে পাইব, নব নব আকারে, নব নব বিকাশে আমাদের কাছে সেই পুরাতন नवैौन इहेब्रl, थकूल्ल इहेब्र, वTांख इहेब्रां ऊँटैिয়াছে, তখন তাহ শ্মশানশষ্যার নীরস ইন্ধন