পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম সংখ্যা । ] উদ্ধার করিয়াছেন সত্যু, কিন্তু ইহার, মূল ব্যাপারগুলি আজও রহস্তময় রহিয়াছে। সৌরজগতের উপাদান সেই জুলন্ত বাষ্পরাশি’ কোথা হইতে উৎপন্ন হইল এবং তাহার অদ্ভূত তেজ ও প্রচণ্ড গতিরই বা উৎপত্তি চোখের বালি s কোথায়, জানিবার জন্ত বিজ্ঞানবিদগণের শরণাপন্ন হইলে, আজিও তাহারা নিরুত্তর থাকেন। অপর সহস্ৰ-সহস্র প্রাকৃতিক ব্যাপারের স্তায় স্থষ্টিতত্ত্বের মূলরহস্ত প্রকৃতই মানববুদ্ধির অগোচর । শ্রীজগদানন্দ রায় । চোখের বালি । عصبیمم:rzib+GY،عسےہے۔ ( ৩৮ ) বিহারী একলা নিজেকে লইয়। অন্ধকাররাত্রে কখনো ধ্যান করিতে বসে না । কোনকালেই বিহার , নিজের কাছে নিজেকে আলোচ্য বিষয় করে নাই। সে পড়াশুনা, কাজকৰ্ম্ম, বন্ধুবান্ধব, লোকজন লইয়াই থাকিত । চারিদিকের সংসারকেই সে নিজের চেয়ে প্রাধান্ত দিয়া আনন্দে ছিল, কিন্তু হঠাৎ একদিন প্রবল আঘাতে তাহার চারিদিক্ যেন বিশ্লিষ্ট হইয়া পড়িয়া গেল ; প্রলয়ের অন্ধকারে - অভ্ৰভেদী বেদনার গিরিশৃঙ্গে নিজেকে একণ লইয়া দাড়াইতে হইল । সেই হইতে নিজের নির্জন সঙ্গকে সে ভয়. করিতে আরম্ভ করিয়াছে ; জোর করিয়া নিজের ঘাড়ে কাজ চাপাইয়া এই সঙ্গীটিকে সে কোনমতেই অবকাশ দিতে চায় না । o @ কিন্তু আজ নিজের সেই, অস্তুরবাসীকে বিহারী কোনমতেই ঠেলিয়। রাখিতে পারিল না। কাল বিনোদিনীকে বিহার দেশে পৌছাইয়া দিয়া আসিয়াছে, তাহার পর হইতে সে যে-কোন কাজে যে কোন লোকের সঙ্গেই আছে, তাহার গুহাশায়ী বেদনাতুর হৃদয় তাহাকে নিজের নিগুঢ় নির্জনতার দিকে অবিশ্রাম আকর্ষণ করিতেছে। শ্রান্তি ও অবসাদে আজ বিহারীকে পরাস্ত করিল। রাত্রি তখন নয়টা হইবে ; বিহারীর গৃহের সন্মুখবর্তী দক্ষিণের ছাদের উপর দিনান্তরম্য গ্রীষ্মের বাতাস উতলা হইয়া উঠিয়াছে। বিহারী চন্দ্রোদয়হীন অন্ধকারে ছাদে একখানি কেদার লইয়া বসিয়া আছে । বালক বসন্তকে আজি সন্ধ্যাবেলায় ( পড়ায় নাই—সকাল-সকাল তাহাকে বিদায় করিয়া দিয়াছে । আজ সাস্তুনার জন্য, সঙ্গের জন্য তাহার চিরাভ্যস্ত প্রতিস্বধান্নিগ্ধ পুৰ্ব্বজীবনের জন্ত তাহার হৃদয় যেন মাতৃপরিত্যক্ত শিশুর মত বিশ্বের অন্ধকারের মধ্যে দুই বাহু তুলিয়া কাহাকে খুজিয়া বেড়াইতেছে। আজ তাহার দৃঢ়তা, তাহার কঠোর সংযমের