পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা। ] বঙ্গভাষা ও সাহিত্য । ∶ፍ » নিশ্চেষ্টতার বিরুদ্ধে এই প্রচণ্ডতারু বড়।' নারী যেমন স্বামীর निको कुहे८७ সম্পূৰ্ণ ঔদাসীষ্ঠের স্বাদবিহীন মূহত অপেক্ষা প্রবল শাসন ভালবাসে, বিদ্রোহী ভক্ত সেইরূপ নিগুণ নিক্রিয়কে পরিত্যাগ করিয়া ইচ্ছাময়ী শক্তিকে ভীষণতার মধ্যে সৰ্ব্বাস্তঃকরণে অনুভব করিতে ইচ্ছা করিল। • r শিব আর্য্যসমাজে ভিঞ্চিয় যে ভাষণত, যে শক্তির চাঞ্চল্য পরিত্যাগ করিলেন, নিম্নসমাজে তাহা নষ্ট হইতে দিল না । যোগানন্দের শাস্ত ভাবকে তাহারা উচ্চশ্রেণীর জন্ত রাখিয়া ভক্তির প্রবল উত্তেজনার আtশায় শক্তির উগ্রতাকেই নাচাইরা তুলিল । তাহারা শক্তিকে শিব হইতে স্বতন্ত্র করিয়া লইয়া বিশেষভাবে শক্তির পূজা খাড়া করিয়া তুলিল । কিন্তু কি আধ্যাত্মিক, কি আধিভৌতিক, ঝড় কখনই চিরদিন থাকিতে পারে না। ভক্তহৃদয় এই চণ্ডীশক্তিকে মাধুর্য্যে পরিণত করিরা বৈষ্ণবধৰ্ম্ম আশ্রর করিল । প্রেম সকল শক্তির পরিণাম—তাহ চুড়ান্ত শক্তি বলিয়াই তাহার শক্তিরূপ আর দৃষ্টিগোচর হয় না । ভক্তির পথ কথনই প্রচগুতার মধ্যে গিয়া থামিতে পারে না – প্রেমের আনন্দেই ভাহার অবসান হইতে হইবে । বস্তুত মাঝখানে শিবের ও শক্তির যে বিচ্ছেদ ঘটিয়াছিল, বৈষ্ণবধৰ্ম্মে প্রেমের মধ্যে সেই শিব-শক্তির কতকটা-সন্মিলনচেষ্টা দেখা যাইতেছে । মারাকে ব্ৰহ্ম হইতে স্বতন্ত্র করিলে ভাহা ভয়ঙ্করী, ব্রহ্মকে মায়া হইতে স্বতন্ত্র করিলে ব্রন্ধ অনধিগম্য-ব্রন্ধের সহিত মায়াকে সম্মিলিত করিয়া দেখিলেই প্রেমের পরিতৃপ্তি। , প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যে এই পরিবর্তন-পরম্পরার আভাস দেখিতে পাওয়া যায়। বৌদ্ধযুগ ও শিবপুজার কালে বঙ্গসাহিত্যের কি অবস্থা ছিল, তাহা দীনেশবাবু খুজিয়া পান নাই। “ধান ভান্‌তে শিবের গীত” প্রবাদে বুঝা যায়, শিবের গীত এক সময়ে প্রচলিত ছিল, কিন্তু সে সমস্তই সাহিত্য হইতে অন্তৰ্দ্ধান করিয়াছে বৌদ্ধধৰ্ম্মের যে সকল চিত্ত্ব ধৰ্ম্মমঙ্গল প্রভৃতি কাব্যে দেখিতে পাওয়া যায়, সে সকলও বৌদ্ধযুগের বহুপরবর্তী। আমাদের চক্ষে বঙ্গসাহিত্যমঞ্চের প্রথম ষবনিকাটি যখন উঠিয়া গেল, তখন দেখি, সমাজে একটি কলহ বাধিয়াছে— সে দেবতার কলহ। অামাদের সমালোচ্য গ্ৰন্থখানির পঞ্চম অধ্যায়ে দীনেশবাৰু প্রাচীন শিবের প্রতি চণ্ডী, বিষহরি ও শীতলার আক্রমণব্যাপার সুন্দর বর্ণনা করিয়াছেন। এই সকল স্থানীয় দেবদেবীর জনসাধারণের কাছে বল পাইয়া কিরূপ দুৰ্দ্ধৰ্ষ হইয়া উঠিয়াছিলেন,তাহ! বঙ্গসাহিত্যে র্তাহাদের ব্যবহারে দেখিতে পাওয়া যায়। প্রথমেই চোখে পড়ে—দেবী চণ্ডী নিজের পূজাস্থাপনের জন্ত অস্থির। যেমন করিয়া হউক, ছলেবলে-কৌশলে মর্ত্যে পূজা প্রচার করিতে হইবেই। ইহাতেই বুঝা যায়, পুজা লইয়৷ একটা বাদবিবাদ আছে। তাহার পর দেখি, যাহাদিগকে আশ্রয় করিয়া দেবী পূজাপ্রচার করিতে উদ্যত, তাহার। উচ্চশ্রেণীর লোক নহে। যে নীচের, তাছাকেই উপরে উঠাইৰেন—ইহাতেই দেবীর শক্তির পরি