পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সংখ্যা । ] বঙ্গভাষা ও সাহিত্য । $ፃ¢ ঢেউ উঠিয়া,সেই শৈবধৰ্ম্মকে ভাঙিয়াছেন ७३ उँउग्र क्षयर्थ३ बेवब्रष्क बिडङ করিয়ু দেখিয়াছে। শাক্তের বিভাগ গুরুতর। যে শক্তি ভীষণ, যাহা খেয়ালের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাহা আমাদিগকে দূরে রাখিয়া স্তব্ধ করিয়া দেয়;—সে আমার সমস্তই দাবী করে, তাহার উপর আমার কোন দাবী নাই। শক্তিপুজায় নীচকে উচ্চে তুলিতে পারে, কিন্তু উচ্চ-নীচের ব্যবধান দমনই রাথিয়া দেয়— সক্ষম-অক্ষমের প্রভেদকে মুদৃঢ় করে। বৈষ্ণবধৰ্ম্মের শক্তি হলাদিনী শক্তি—সে শক্তি বলরূপিণী নহে, প্রেমরূপিণী । তাহাতে ভগবানের সহিত জগতের যে দ্বৈতবিভাগ স্বীকার করে, তাহা প্রেমের বিভাগ, আনন্দের বিভাগ । তিনি বল ও ঐশ্বর্ণ্য বিস্তার করিবার জন্ত শক্তিপ্রয়োগ করেন নাই, র্তাহার শক্তি স্থষ্টির মধ্যে নিজেতে নিজে আনন্দিত হইতেছে—এই বিভাগের মধ্যে র্তাহার আনন্দ নিয়ত মিলনরূপে প্রতিষ্ঠিত। শাক্তধৰ্ম্মে অনুগ্রহের অনিশ্চিত সম্বন্ধ, বৈষ্ণবধৰ্ম্মে প্রেমের নিশ্চিত সম্বন্ধ । শক্তির লীলায় কে দয়া পায়, কে না পায়, তাহার ঠিকানা নাই; কিন্তু বৈষ্ণবধৰ্ম্মে প্রেমের সম্বন্ধ যেখানে, সেথানে সকলেরই নিত্য দাবী । শাক্তধৰ্ম্মে ভেদকেই প্রাধান্ত দিয়াছে— বৈষ্ণবধৰ্ম্মে এই ভেদকে নিত্যমিলনের নিত্য উপায় বলিয়া স্বীকার করিয়াছে। বৈষ্ণব এইরূপে ভেদের উপরে সাম্যস্থাপন করিয়া প্রেমপ্লাবনে সমাজের সকল ংশকে সমান করিয়া দিয়াছিলেন। এই প্রেমের শক্তিতে বলীয়সী হইয়া আনন্দ ও ভাবের এক অপূৰ্ব্ব স্বাধীনতা . প্রবল বেগে বাংলা সাহিত্যকে এমন এক জায়গায় উত্তীর্ণ করিয়া দিয়াছে, যাহা, পূৰ্ব্বাপরের তুলনা করিয়া দেখিলে, হঠাৎ খাপছাড়া বলিয়া বোধ হয়। তাহার ভাষা, ছন্দ, ভাব, তুলনা, উপমা ও আবেগের প্রবলতা, সমস্ত বিচিত্র ও নুতন । তাহার পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী বঙ্গভাষা ও বঙ্গসাহিত্যের সমস্ত দীনতা কেমন করিয়া এক মুহূৰ্ত্তে দূর হইল, অলঙ্কারশাস্ত্রের পাষাণবন্ধনসকল কেমন করিয়া এক মুহুর্তে বিদীর্ণ হইল, ভাষা এত শক্তি পাইল কোথায়, ছন্দ এত সঙ্গীত কোথ। হইতে আহরণ করিল ? বিদেশী সাহিত্যের অনুকরণে নহে, প্রবীণ সমালোচকের অনুশাসনে নহে---দেশ আপনার বীণায় আপনি সুর বাধিয়া আপনার গান ধরিল। প্রকাশ করিবার আনন্দ এত, আবেগ এত যে, তখনকার উন্নত মার্জিত কালোয়াতি সঙ্গীত থই পাইল না, দেখিতে দেখিতে দশে মিলিয়া এক অপূৰ্ব্ব সঙ্গীতপ্রণালী তৈরি করিল ; আর কোন সঙ্গীতের সহিত তাহার সম্পূর্ণ সাদৃশু পাওয়া শক্ত। মুক্তি কেবল জ্ঞানীর নহে, ভগবান কেবল শাক্তের নহেন, এই মন্ত্র যেমনি উচ্চারিত হইল, অমনি দেশের যত পার্থী মুগু হইয়া ছিল, সকলেই এক নিমেষে জাগরিত হইয়া গান ধরিলJ ইহা হইতেই দেখা যাইতেছে, বাংলাদেশ আপনাকে যথার্থভাবে অনুভব করিয়াছিল বৈষ্ণবযুগে। সেই সময়ে এমন একটি গৌরব সে প্রাপ্ত হইয়াছিল, যাহা অলোকসামান্ত, যাহা বিশেষরূপে যাংলাদেশের—ষাহ এ দেশ হইতে উচ্ছসিত হইয়া অন্যত্র বিস্তারিত হইয়াছিল। শাক্তযুগে তাহার দীনতা