পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఏసిy बझङ्घश्मिन । [३झ बर्ग्, चांब१ ।। বিরোধ-বিচ্ছেদ-সৰেও অন্নপূর্ণাকে দেখিয়া রাজলক্ষ্মী যেন হারান-ধন ফিরিয়া পাইলেন । ভিত্ত্বৰে-ভিতরে তিনি ৰে নিজের অলক্ষ্যেঅগোচরে অন্নপূর্ণাকে চাহিতেছিলেন, অন্নপূর্ণাকে পাইয় তাহ বুঝিতে পারিলেন। র্তাহার এতদিনের অনেক শ্রাস্তি—অনেক ক্ষোভ ষে কেবল অন্নপূর্ণার অভাবে, অনেকদিনের পরে আজ তাহা তাহার কাছে মুহুর্তের মধ্যে স্কম্পষ্ট হইল,—মুহূর্তের মধ্যে র্তাহীর সমস্ত ব্যথিত হৃদয় তাহার চিরন্তন স্থানটি অধিকার করিল। মহেঞ্জের জন্মের পূর্কেও এই ছটি জু ৰখন বধুভাবে এই পরিবারের সমস্ত সুখদুঃখকে বরণ করিয়া লইয়াছিলেন–পূজায়, উৎসবে, শোকে, মৃত্যুতে, উভয়ে এই সংসাররখে একত্রে যাত্র করিয়াছিলেন—তখনকার সেই ঘনিষ্ঠ সখিত্ব ৰাজলক্ষ্মীর হৃদয়কে আজ মুহুর্তের মধ্যে আচ্ছন্ন করিয়া দিল। যাহার সঙ্গে সুদূর অতীতকালে একত্রে জীবন আরম্ভ করিয়াছিলেন, নানা ব্যাঘাতের পর সেই বাল্যসহচরীই পরম দুঃখের দিনে তাহার পাশ্ববৰ্ত্তিনী হইলেন—তখনকার সমস্ত সুখদুঃখের, সমস্ত প্রিয়ঘটনার এই একটিমাত্র স্মরণাশ্রয় রহিস্থাছে । বাছার জন্ত রাজলক্ষ্মী ইহাকেও নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করিয়াছিলেন, সেই বা আজ কোথায় । অন্নপূর্ণ রোগিণীর পার্শ্বে বসিয়া তাহার দক্ষিণহস্ত হস্তে লইয়া কহিলেন—“দিদি !” রাজলক্ষ্মী কহিলেন—“মেজ-বেী!” বলিয়া ‘अन्न उँशबट्स ৰুছির হইল না। তাহার দুই চক্ষু দিয়া জল পড়িত্তে লাগিল। আশা এই দৃশু দেখিয়া আর থাকিতে পারিল না— পাশের ঘরে গিয়া মাটিতে বসিয়া কাদিতে লাগিল । • , রাজলক্ষ্মী বা আশার কাছে অন্নপূর্ণ মহেঞ্জের সম্বন্ধে কোন প্রশ্ন পাড়িতে সাহস করিলেন না। সাধুচরণকে ডাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন—“মাম, মছিন কোথায় ?” তখন সাধুচরণ “বিনোদিনী ও মহেক্সের সমস্ত ঘটনা বিবৃত করিয়া বলিলেন। অন্নপূর্ণ সাধুচরণকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “বিহারীর কি খবর ?” সাধুচরণ কহিলেন, “অনেকদিন তিনি আসেন নাই—তাহার খবর ঠিক বলিতে পারি না।” অন্নপূর্ণ কহিলেন, “একবার ৰিহারীর বাড়ীতে গিয়া তাহার সংবাদ জানিয়! আইস ।” সাধুচরণ ফিরিয়া আসিয়া কছিলেন, “তিনি বাড়ীতে নাই, বালিতে গঙ্গার ধারে বাগানে গিয়াছেন ।” অন্নপূর্ণ নবীন-ডাক্তারকে ডাকিয় রোগীর অবস্থা জিজ্ঞাসা করিলেন । ডাক্তার কছিল, “হৃৎপিণ্ডের দুৰ্ব্বলতার সঙ্গে উদরী দেখা দিয়াছে, মৃত্যু অকস্মাৎ কখন আসিবে, কিছুই दबा यॉम्र न !” * সন্ধ্যার সমর রাজলক্ষ্মীর রোগের কষ্ট যখন বাড়িয়া উঠিতে লাগিল, তখন অন্নপূর্ণ জিজ্ঞাসা করিলেন, “দিদি, একবার নবীনডাক্তারকে ডাকাই ?” রাজলক্ষ্মী কছিলেন, “ন মেজবোঁ, নবীনডাক্তার আমার কিছুই করিতে পারিবে না।” অন্নপূর্ণ কহিলেন, “তবে কাহাকে তুমি ডাকিতে চাও, বল ।”