পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

as と সমস্ত শূঙ্গ পূর্ণ হইবে, সমস্ত সংশয় দূর হইবে । , • - কিন্তু আমাদের প্রকৃতির দ্বারের কাছে এই যে সকল জঞ্জাল জমিয়া আছে, बाशय्ड বাহিরে? আলে আমাদের বাহিরেই পড়িয়া থাকে এবং অস্তরের ধন আমাদের অস্তরে প্রবেশ করিতে পারে না, তাহার মধ্য দিয়া পথ করিবে কে ? প্রতিদিনের প্রহসন ও পরিণামের বিভীষিকা হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিবে কে ? ভারতবর্ষের একখানি প্রকৃত ইতিহাস এই হান্তকর—এই শোকাবহু বিড়ম্বন হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিবার একমাত্র উপায় । বিদেশী আক্রমশপরম্পরার তারিখকণ্টকিত সমস্ত জঙ্গল পরিষ্কার করিয়া ভারতবর্ষের চিরন্তন রাজপথটি উদঘাটিত করিতে হইবে। দেখিব, সেই প্রাচীন পথটি , নদীজালজড়িত বঙ্গদেশ হইতে পঞ্চধারাবিধৌত ব্ৰহ্মাবৰ্ত্তে চলিয়া গেছে ; দেখিব, কত শত জীর্ণ, কত-শত নবসংস্কৃত পান্থশালা দুইধারে রাখিয়া এই পুরাতন পথ সহস্ৰ বৎসরের ভিতর দিয়া মানবসভ্যতা ইতিহাসের মুদুর প্রান্তভাগে উত্তীর্ণ হইয়াছে। এই পান্থশালাগুলি জীর্ণ হউক, সংস্কৃত হউক, ভগ্ন ইষ্টকের শু,প হউক, কালৈ কালে আমাদের পিতামহগণ ইহা আশ্রয় কুরিরাছিলেন--ইহারা তাহীদেরই চেষ্টার পথ, চিস্তার পথ, যাত্রার পথ নির্দেশ করিয়া দিতেছে, ইহাই মনে রাখিয়া তক্তির দৃষ্টিতে তাহাদিগকে নিরীক্ষণ করিতে হইবে -বিদেশীর বিচারের আদর্শ দূরে পরিহার করিয়া শ্রদ্ধার সাহাজ্যে পিতামহ ज्ञझलकॉन । [ ২য় বর্ষ,-ভায়.। গণের অন্তরের মধ্যে প্রবেশ করিতে . হইবে। " . . . . नश्ध्नि श्रांभब्रां छूण बूक्षि। विप्षरुবুদ্ধির দ্বারা আমরা কোনমতেই প্রাচীনকালের বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত প্রমাণাংশগুলিকে ঐক্যদান করিয়া সঞ্জীবিত করিতে পারিব না । ছড়ানোকে টানিয়া আনিবার এবং ভাঙাকে জোড়া দিবার শক্তি শ্রদ্ধা-ভক্তি ও অমুরাগেরই আছে। সেই সঙ্গে বুদ্ধিবিচারকে নিৰ্ব্বাসন দিতে বলি না। বুদ্ধিবিচার কাজ করিবে, সংশোধন করিবে, কিন্তু স্বজন করিবে শ্রদ্ধা । † এই শ্রদ্ধা না থাকিলে আমরা ভুল করিব । কারণ, যে সকল আধুনিক বিদেশী সংস্কার আমাদের মনে বদ্ধমূল হইয়া গেছে, ভারতের প্রাচীন-ইতিহাস-আলোচনা-কালে তাহাদিগকে সংযত করিয়া না রাখিলে, তাহারা অত্যন্ত দৌরাত্ম্য করিবে । দৃষ্টান্তস্বরূপে দেখান যাইতে পারে, জাতিভেদ। এই জাতিভেদের পরে অত্যন্ত অশ্রদ্ধা যদি থাকে, তবে ভারতবর্ষের ইতিহাস ঠিকভাবে লেখা একেবারেই অসম্ভব হয় । বর্ণভেদ ভারতসমাজের আধার। কেন এমন হইল ? ভারতবৰীয় প্রতিভা সমাজকে বর্ণভেদের উপর স্থাপন করিয়া গড়িয়া তুলিল কেন ? আধুনিক সংস্কারগুলিকে বক্ষে পোষণ করিয়া লইয়া বসিলে আমরা উধোর বোঝা বুধোর ঘাড়ে চাপাই । যদি বর্ণভেদের উপর আমাদের রাগ থাকে, ভারতবর্ষের যেখানে যত কিছু দুৰ্গতি হইয়াছে, সমস্তই ঐ বর্ণভেদের ঘাড়েই চাপান হয়। e বৃছির হইতে আমাদের পায়ের তুলু