পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९* করিয়া মনোযোগ করিলে দেখা যায়, ভারতৰৰ গৃহস্থাশ্রমকে আত্মার বিকাশের একটি সোপানস্বরূপ গণ্য করিত। সুতরাং ত্বাহাকেই চরমলক্ষ্য করিয়া ভারতবর্ষ মানুষ গড়িতে চায় নাই। বরঞ্চ ভারতবর্ষ এমন করিয়া তাহার গৃহস্থাশ্রমকে গড়িতে চাহিয়াছে, যাহাতে সে মানুষের আত্মাকে মুক্তির পথে অগ্রসর করে, বাধা না দেয়-যাহাতে প্রবৃত্তিকে যথাপথে নিয়মিত করিয়া ভোগের সঙ্গে সঙ্গে ভোগনিবৃত্তিরও চর্চা থাকে। কারণ, এই পুরাতন সত্য ভারতবর্ষ বিস্তৃত झग्न नांझे cय ন জাতু কামঃ কামানম্ উপভোগেন শামতি । প্রবৃত্তিকে সম্পূর্ণ দমন করিলে প্রবৃত্তিকে নিষ্ফল করা হয় এবং প্রবৃত্তিকে প্রশ্রয় দিতে থাকিলেও বিনাশর্কে আহবান করা হয় । এইজষ্ঠ ভারতবর্ষ মনুষ্যত্বের প্রতি লক্ষ্য রাথিয়াই গৃহস্থাশ্রমে প্রবৃত্তি ও নিবৃত্তির সামঞ্জস্ত চেষ্টা করিয়াছিল। সেইজন্তই বলি, ভারতবর্ষ ব্যক্তিগত স্বাতন্ত্র্যের প্রতি যেমন একান্ত লক্ষ্য রাখিয়াছিল, য়ুরোপ তেমন করে নাই । আশঙ্কা হইতেছে, ইহার পরে এমন কথা উঠিবে, তবে অতৃ স্বাতন্ত্র্য ভাল নয়। অর্থাৎ ভারতবর্ষকে শাথের করাতে কাটিতে হইবে। ছন্দের বন্ধন খুব কড়া বন্ধন—কিন্তু সেই বন্ধন কবিত্বের ভাবকে ফোয়ারার মত সবেগে মুক্তিদান করে । ভারতবর্ষে গৃহের বন্ধন অত্যন্ত বেশি-বাপমায়ের সঙ্গে বন্ধন, ভাইয়ের সঙ্গে বন্ধন, সস্তানের সঙ্গে বন্ধন, প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধন—এমন বন্ধন যুরোপে शक्रहथमि । [ ২য় বর্ষ, ভাঙ্গ নাই। অতএব স্বাতন্ত্র্যের দিক ছাড়িয়া বন্ধনের .দিক দিয়া দেখিতে গেলে বলিতে হইবে, যথেষ্ট হইয়াছে। অথচ এই সকল বন্ধনকে স্বীকার করিয়াও ভারতবর্ষ তাহাদিগকে চরম করিয়া তোলে নাই—ব্যক্তির পরিপূর্ণ স্বাতস্ত্র্যকে ইহার মধ্য হইতে উদ্ভিন্ন করিবার জন্ত ভারতবর্ষ তাড়া দিতেছে। বীজের ভিতরেই প্রকৃতির তাড়া যেমন অঙ্কুরকে বীজ বিদীর্ণ করিতে—মাটিভেদ করিতে বলে, তেমনি গৃহের নিবিড় বন্ধনের ভিতরে ভারতবর্ষ স্বাধীন হইবার জন্ত—স্বতন্ত্র হইবার জন্য আমাদিগকে উদ্বোধিত করে । ইহার পরে কথা উঠিবে, অত বৈপরীত্য ভাল নয়—অত্যন্ত বন্ধন এবং অত্যন্ত মুক্তির সামঞ্জস্ত হয় না। আবার শপথের করাত । উত্তর এই যে, এখানে বৈপরীত্য বাহ্যিক। ভারতবর্ষ যাহাকে মুক্তি বলে, ভারতবর্ষীয় সমাজের বন্ধন তাহার বিরোধী নহে, তাহার অনুকুল। এই সকল বন্ধনে প্রতিপ্রবৃত্তি, কল্যাণপ্রবৃত্তি প্রধান হইয়া স্বার্থপ্রবৃত্তিকে পদে পদে দমন করে । তাহাতে প্রেমের আনন্দ, মঙ্গলের শাস্তি স্বার্থের মত্ততাকে অভিভূত করিয়া নীচে ফেলির রাখে। ইহাতে আপত্তি এই উঠে, এত সংযমের চর্চায় সমাজ কি শেষে কল হইয়া দাড়ায় না ? সমাজমাত্রই কল হইয়া উঠিতে চায়। যুরোপীয় সমাজে কলের লক্ষণ যথেষ্ট আছে। সমাজ বদি থাধিয়া-থাকিয়া কল হইয়া না উঠিত, তবে মহাপুরুষের প্রয়োজন হইত না। कर्ष बश्वनै खेत्कशरक विश्वच् श्ब्ल, अख्ान যখন আদর্শকে হারাইয়া ফেলে, তখন মহা