পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rరిశి কেবল সমাজব্যবস্থায় নহে, ধৰ্ম্মনীতিতেও দেখি। গীতায় জ্ঞান, প্রেম ও কর্ণের মধ্যে বে সম্পূর্ণ-সামঞ্জস্য-স্থাপনের চেষ্টা দেখি, তাহা বিশেষরূপে ভারতবর্ষের। যুরোপে রিলিজন বলিয়া ৰে শব্দ আছে, ভারতবর্ষীয় ভাষায় তাহার অনুবাদ অসম্ভব—কারণ ভারতবর্ষ ধৰ্ম্মের মধ্যে মানসিক বিচ্ছেদ ঘটিতে বাধা দিয়াছে—আমাদের বুদ্ধি-বিশ্বাসআচরণ, আমাদের ইহকাল-পরকাল, সমস্ত জড়াইয়াই ধৰ্ম্ম । ভারতবর্ষ তাহাকে খণ্ডিত করিয়া কোনটাকে পোষাকী এবং কোনটাকে আটপৌরে করিয়া রাখে নাই। হাতের জীবন, পায়ের জীবন, মাথার জীবন, উদরের জীবন যেমন আলাদা নয়, বিশ্বাসের ধৰ্ম্ম,/ আচরণের ধৰ্ম্ম, রবিবারের ধৰ্ম্ম, অপর ছয়দিনের ধৰ্ম্ম, গির্জার ধৰ্ম্ম এবং গৃহের ধৰ্ম্মে ভারতবর্ষ ভেদ ঘটাইয় দেয় নাই। ভারতবর্ষের ধৰ্ম্ম সমস্ত সমাজেরই ধৰ্ম্ম—তাহার মূল মাটির ভিতরে এবং মাথা আকাশের মধ্যে—তাহার মূলকে স্বতন্ত্র ও মাথাকে স্বতন্ত্র করিয়া ভারতবর্ষ দেখে নাই— ধৰ্ম্মকে ভারতবর্ষ ছালোকভুলোকব্যাপী, মানবের সমস্ত জীবনব্যাপী একটি বৃহৎ বনস্পতিরূপে দেথিয়াছে। পৃথিবীর সভ্যসমাজের মধ্যে ভারতবর্ষ . নানাকে এক করিবার আদর্শরূপে বিরাজ করিতেছে, তাহার ইতিহাস হইতে ইহাই প্রতিপন্ন হইবে। এককে বিশ্বের মধ্যে ও নিজের আত্মার মধ্যে অনুভব করিয়া সেই এককে বিচিত্রের মধ্যে স্থাপন করা, জ্ঞানের দ্বারা আবিষ্কার করা, কৰ্ম্মের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করা, প্রেমের দ্বারা উপলব্ধি করা এবং शछम-नि । [ ২য় বর্ষ, ভাজন बौवप्नब्र वांब्रा ७धकांद्र कब्र-ा-नांना बांशांবিপত্তি-দুর্গতি-মুগতির মধ্যে ভারতবর্ষ ইহাই করিতেছে। ইতিহাসের ভিতর দিয়া ৰখন ভারতের সেই চিরন্তন ভাবটি অনুভব করিব, তখন আমাদের বর্তমানের সস্থিত অতীতের বিচ্ছেদ লোপ পাইবে । বিদেশের শিক্ষা ভারতবর্ষকে অতীতে ও বর্তমানে দ্বিধা বিভক্ত করিতেছে। ধিনি সেতু নিৰ্ম্মাণ করিবেন, তিনি আমাদিগকে রক্ষা কৃরিবেন। যদি সেই সেতু নিৰ্ম্মিত হয়, তবে এই দ্বিধারও সফলতা আছে— কারণ বিচ্ছেদের আঘাত লা পাইলে মিলল अcछऊन श्ञ्च ना । वनि श्रांभांप्लग्न भएषा কিছুমাত্র পদার্থ থাকে, তবে বিদেশ আমাদিগকে যে আঘাত করিতেছে, সেই আঘাতে স্বদেশকেই আমরা নিবিড়তররূপে উপলব্ধি করিব। প্রবাসে নিৰ্ব্বাসনই আমাদেয় কাছে গৃহের মাহাত্ম্যকে মহত্তম করিয়া তুলিবে। মামুদ ও মহন্ধদঘোরীর বিজয়বাৰ্ত্তার সমস্ত তারিখ আমরা মুখস্থ করিয়া পরীক্ষার প্রথম শ্রেণীভে উত্তীর্ণ হইয়াছি, এখন যিনি সমস্ত ভারতবর্ষকে আমাদের সম্মুখে মূৰ্ত্তিমান করিয়া তুলিবেন, অন্ধকারের মধ্যে দাড়াইয়৷ সেই ঐতিহাসিককে আমরা আহবান করিতেছি । তিনি র্তাহার শ্রদ্ধার দ্বারা আমাদের মধ্যে শ্রদ্ধার সঞ্চার করিবেন, আমাদিগকে প্রতিষ্ঠাদান করিবেন, আমাদের আত্ম-উপহাস আত্ম-অবিশ্বাসকে অতি অনায়াসে তিরস্কৃত করিবেন, আমাদিগকে . এমন প্রাচীন সম্পদের অধিকারী করিৰেন যে, পরের ছদ্মবেশে নিজের লজ্জ লুকাইৰাঁর