পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যা । ] ভারতবর্ষের ইতিহাস । S్చబిలి জীর প্রবৃত্তি থাকিবে না। তখন এ কথা আমরা বুঝিব, পৃথিবীতে ভারতবর্ষের একটি মহৎ স্থান আছে, আমাদের মধ্যে মহৎ আশার কারণ আছে ; আমরা কেবল গ্রহণ করিব না—অনুকরণ করিব না, দান করিব— প্রবর্তন করিব, এমন সম্ভাবনা আছে ; পলিটিক্স এবং বাণিজ্যই আমাদের চরমতম গতিমুক্তি নহে, প্রাচীন ব্রহ্মচর্য্যের পথে বৈরাগ্যকঠিন দারিদ্র্যগৌরব শিরোধাৰ্য্য করিয়া দুর্গম-নিৰ্ম্মল মাহায্যের উন্নততম শিখরে অধিরোহণ করিবার জন্য আমাদের ঋষিপিতামহদের সুগম্ভীর নিদেশ-নির্দেশ প্রাপ্ত হইয়াছি ; সে পথে পণ্যভারাক্রান্ত অন্য কোন পাস্থ নাই বলিয়া আমরা ফিরিব না, গ্রন্থভারনত শিক্ষকমহাশয় সে পথে চলিতেছেন না বলিয়া লজ্জিত হইব না । মূল্য না দিলে কোন মূল্যবান জিনিষকে আপনার করা যায় না । ভিক্ষা করিতে গেলে কেবল খুদকুড়া মেলে, তাহাতে পেট অল্পই ভরে, অথচ জাতিও থাকে না । বিদেশকে যতক্ষণ আমরা কিছু দিতে পারি না, বিদেশ হইতে ততক্ষণ আমরা কিছু লইতেও পারি না ; লইলেও তাহার সঙ্গে আত্মসন্মান থাকে না বলিয়াই তাহ। তেমন করিরা আপনার হয় না, সঙ্কোচে সে অধিকার চিরদিন अनन्शून ७ अननऊ रुहद्रा थारक । यथन গৌরবসহকারে দিব, তখন গৌরৰসহকারে লইব । হে ঐতিহাসিক, আমাদের সেই দিবার সঙ্গতি কোন প্রাচীন ভাওরে সঞ্চিত হইয়া আছে, তাই দেখাইয়া দাও, তাহার দ্বার উদঘাটন কর। তাহার পর হইতে আমাদের গ্রহণ করিবার শক্তি বাধাহীন ও অকুষ্ঠিত হইবে, আমাদের উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি অকৃত্রিম ও স্বভাৰসিদ্ধ হইয়া উঠিবে। দেখ, আমাদের শিক্ষকমহাশয়েরা উপলক্ষ্য পাইবামাত্র খোটা দিয়া থাকেন—“তোমরা কেবল শিখিতেছ, কিন্তু শিক্ষার কোন ফল দেখাইতেছ না—তোমাদের নিজের কিছুই নাই, তোমরা ওরিজিন্যালিটি-হীন।” পরের অন্নে ষে অকৰ্ম্মণ্য প্রতিপালিত, মুখরা গৃহকত্রী তাহাকে ক্ষণে ক্ষণে স্মরণ করাইয় দেন—“তুমি কেবল গিলিতেছ, কিন্তু কিছুই করিতেছন ;” তখন সে হতভাগ্যের এ সত্যকথাটুকু বলিবারও মুখ থাকে না যে, “তুমি সিকি-ছটাক অৰ্দ্ধসিদ্ধ ডালে পাচপোয় বিশুদ্ধ জল মিশাইয়া যে পথ্য দিতেছ, তাহাতে কাজ করিবার সামর্থ্য থাকে না !” এ কথা বলিলেই তাছার জবাব এই যে, “তুমি ਜਿੱਥ উপার্জন করিয়া খাও, মনের মত ডাল-ভাত থাইতে পারিবে ।” আমাদের অৰ্দ্ধপঙ্ক শিক্ষা অামাদের প্রকৃতির সঙ্গে মিশিতেছে না বলিয়াই তাহাকে আমরা কোন কাজে লাগাইতে পারিতেছি না, এ কথা বলিয়া অরণ্যে রোদন কয়া বৃথা—কারণ, বিদেশী শিক্ষক কোনমতেই শিক্ষাকে আমাদের অমুকুল করিতে পারে না । একে ত তাহার। আমাদিগকে জানেই না, তাহার পরে আমাদের প্রতি তাহাদের অবজ্ঞার সীমা নাই। দম্ভে বেমূঢ়ত আনে, তাছার মত প্রবুল মুঢ়তা আর নাই— नडाडांब्र ॐ९को लएख पञांभांtभन्न *ां★5ांडा অধ্যাপকের নিজেদের সংস্কার ছাড়া অন্য সংস্কারের সভ্যতা একেবারে দেখিতে পান না—যেখানে আমাদের বহুদিনের বেড়া দেওয়া আছে, সেখানে তাহাদের অসহিষ্ণু