পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8や উঠিবে এবং সংসার তাহার ক্ষুদ্রতম কাজটুকু পর্যন্ত ভুলিবে না—এবং অবিচলিত বিহারী যেমন দূরে ছিল, তেমনি দূরে থাকিয়া ব্রাহ্মণবালককে তাহার বোধোদয়ের নূতন পাঠ অভ্যাস করাইবে ! ৰঙ্গদর্শন। বিনোদিনীর চোখ ফাটিয়া অশ্রু বাছির হুইয়া পড়িল। সে তাছার সমস্ত বল ও আকাঙ্ক্ষা লইয়া কোন পাথরকে ঠেলিতেছে! তাহার হৃদয় রক্তে ভাসিয়া গেল, কিন্তু তাহার অদৃষ্ট স্বচ্যগ্রপরিমাণ সরিয়া বসিল না। ক্রমশ । যবন । বঙ্গসাহিত্যে “ববন”শব্দের যথেষ্ট ব্যবহার দেখিতে পাওয়া যায়। তাহ, বহুদিন হইল, গদ্যে-পদ্যে প্রচলিত হইয়াছে তৎপুৰ্ব্বে সংস্কৃতসাহিত্যেও “যবন”শব্দ স্বপরিচিত ছিল। বঙ্গসাহিত্যে ব্যবহৃত ‘যবনশন্ধের অর্থ—মোসলমান । ”এক তার হিন্দু রাজগণ, স্বপেতে ছিলেন সৰ্ব্বজন । স ভাব পাকিত যদি, পার হয়ে সিন্ধুনদী, অসিতে কি পরিত যবন ?” যথা :– ংস্কৃতসাহিত্যে এই অর্থ প্রচলিত ছিল বলিয়া বোধ হয় না । মোসলমানধৰ্ম্মের অভু্যদয়ের বহুপূৰ্ব্বে সংস্কৃতসাহিত্যে “যবন”শব্দ প্রচলিত হইয়াছিল। তখন তাহ অবশুই মোসলমানকে কুচিত করিত না । তজন্তু কোন কোন ইউরোপীয় পণ্ডিত অনুমান করেন,–সংস্কৃতসাহিত্যে ব্যবহৃত “যবন”শব্দের অর্থ "গ্ৰীকৃষ্ণ । ইহাও সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না। কারণ, ভারতবর্ষের লোকে গ্ৰীকৃজাতির পরিচয় প্রাপ্ত হইবার

  1. Indo-Aryans, Vol. II.

পূৰ্ব্বেও, সংস্কৃতসাহিত্যে “ষবন”শব্দ প্রবেশলাভ করিয়াছিল। সুতরাং “ষবন”শব্দ কোন্‌ সময়ে কোন অর্থে ব্যবহৃত হইত, তাহার আলোচনা আবশ্যক। একদা সুপণ্ডিত ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল মিত্র মন্ত্ৰণ ই আলোচনায় হস্তক্ষেপ করিয়া, সংস্কৃমিনাই । ব্যবহৃত "যবন"শব্দের অর্থ যে नई, তাহা বিশদরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছিলেন । , “যখন”শব্দের বর্ণবিদ্যাস কি,– তাহা লইয়াও এক সময়ে বিলক্ষণ তর্কবিতর্ক প্রচলিত হইয়াছিল । স্মাৰ্ত্তশিঞ্জোমণি মহামহোপাধ্যায় রঘুনন্দন ভট্টাচার্য্য গতিবোধক “জু”ধাতু হইতে “জবন”শকের ব্যুৎপত্তি নির্দেশ করিয়া, বগীয় “জ” প্রয়োগের ব্যবস্থ৷ প্রদান করিয়াছিলেন । * তখন মোসলমান গৌড়ের বাদশাহ ; নবদ্বীপ মোসলমান কাজির অধীন। স্বতরাং সহজেই মোসলমানের নাম “জবন” হইয়া গিয়াছিল। মোসলমান এই নামে পরিচিত হইতে নিতান্ত ধৰনশব্দস্তদেশোস্তববাচী চবৰ্গতৃতীয়াদিরিতি প্রায়শ্চিত্ততত্ত্বে