পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૯૨ "ধনশৰে মোসলমানকে বুঝাইবার জন্য ত্রিকাগুশেষনামক আধুনিক অভিধানের প্রমাণ উদ্ধৃত করিয়া, যবনকে বেগশালী জাতি বলিয়া গ্রহণ করিয়ছিলেন ; এবং তজন্য “জু”ধাতু হইতে "জবন”শব্দের ব্যুৎপত্তি নির্দেশ করিয়াছিলেন । এই ব্যুৎপত্তি যেমন নিতান্ত আধুনিক, মোসলমান অর্থে যবন বা জবন শব্যের প্রয়োগ ও সেইরূপ আধুনিক ;–পুরাতন সংস্কৃতসাহিতো সম্পূর্ণ অপরিচিত। আধুনিক বলিয়। ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল স্মাৰ্ত্তশিরোমণির প্রমাণ ও ব্যাখ্যাদির আলোচনা করা অনাবশ্যক মনে করিয়া, তাহাতে হস্তক্ষেপ করেন নাই । কিন্তু স্মৰ্ত্তশিরোমণির আধুনিক ব্যাখ্যাই এক্ষণে বঙ্গসাহিত্যে স্থানলাভ করিয়াছে । হিন্দু-মোস লমানের সংঘর্ষ বহুকালব্যাপী 3 গ্ৰীকৃ একবার ভারতসীমায় রাজ্যস্থাপন করিয়া, ক্রমে অপসারিত হইবার পর, পারসীকরাজ্যের পুনরায় অভু্যদয় হয় । পুনরায় মধ্য-এসির তাহদের শাসনক্ষমতা স্বীকার করিয় লয়। তৎকালে মধ্য-এসিয়ার বুদ্ধোপাসনা ধীরে ধীরে পারসীক সৌরমতের নিকট পয়াভূত হইরা ছল । মোসলমান আসিয়া সেই মত বিলুপ্ত করিবার সময়ে সিন্ধুনদের পশ্চিমতীর পর্য্যন্ত অধিকরবিস্তার করেন। তাহার পর যখন হিন্দুমোসলমানে ভারতসাম্রাজ্য লইয়া শেযসংগ্রাম সংঘটিত হয়, তখন চাদ কবি তাহার ইতিহাস কাব্যাকারে বর্ণনা করিয়াছিলেন । তখন মোসলমান অর্থে “ঘবল” শব্দ প্রচলিত থাকিলে, চাদকবি সে শব্দের ব্যবহার ন৷ করিয়া, জনপদবাচক ‘ঘোরী প্রভৃতি শব্দ ব্যব বঙ্গদর্শন । [ ২য় ধর্ষ গুঞ্জ। হার করিতেন না। তৎসমকালে কবি কঙ্গণ • যে রাজতরঙ্গিণীনামক ইতিহাস * সঙ্কলিত করেন, তাহাতেও তুরুস্কাদি জনপদ ও তদেশবালীর স্তলে, “যবন”শব্দ ব্যবহৃত হইতে পারিত। এই সকল কারণে, মোসলমান অর্থে ‘যবন"শব্দের ব্যবহারকে নিতীস্তু আধুনিক বলিয়াই গ্রহণ করিতে হয়।" ংস্কৃতসাহিত্যের ইতিহাস অদাপি ছায়ারূপে প্রতিভাত ; বিশ্বাসযোগ্য কায় পরিগ্রহণে সমর্থ হয় নাই। কোন গ্রন্থ কোন কবির লেখনী প্রস্তত ও কোন সময়ে জনসমাজে প্রকাশিত হইয়াছিল, তদ্বিষয়ে এখনও নানা তর্কবিতর্ক প্রচলিত আছে । এই সকল তর্কবিতর্কে সংস্কৃতসাহিত্যের নাম যুগ পরিকল্পিত হইয়াছে। তাহ প্রধানত শাক্যপূৰ্ব্ব ও শাক্যোন্তর নামক ভাগদ্বয়ে বিভক্ত হুইয়। পাণিনির কাল, কালিদাসের কাল, ভবভূতির কাল ইত্যাদি নানা নাম প্রাপ্ত হইয়াছে । ইহার সকল কালেই" যবন”শব্দ প্রচলিত ছিল। শাক্যপূৰ্ব্ব কালের পাণিনিস্বত্র ও তৎপরবর্তী বৃত্তি ও ভাষা অবলম্বন করিয়া কয়েকটি তথ্য লাভ করা গিয়াছে। শাক্যে স্তর কালের সাহিত্যে অ’র ও কয়েকটি তথ্য লাভ করা যায়। " রামায়ণ, মহাভারত ও বিষ্ণুপুরাণাদি গ্রন্থ শাকোন্তরকালে রচিত বলিয়া পাশ্চাত্য পণ্ডিতবর্গ সিদ্ধান্ত করিয়া রাধিয়াছেন। ঐ সকল গ্রন্থের রচনাকালনির্ণয়ের তর্ক বিতর্কে প্রবৃত্ত না হইয়া, পাশ্চাত্য সিদ্ধান্ত স্বীকার করিয়া লইলেও, বর্তমান লোচনার কোন ক্ষতি হইবে না। রামায়ণ, মহাভারত ও বিষ্ণুপুhণাদি গ্রন্থে, রঘুবংশীটি শ্রব্য