পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম সংখ্যাণ । “এদিকে মাছুল উমাচরণ রথতলায় পৌছিতে না পৌঁছিতে স্থাপিকে লইয়া बाडिं*छ इहेब्रां भक्लिानन । न इशब्रहे ভিতর বিস্তর ভে পু ও খাবার কিনিয়া মামাতে ভাই বোনদের মধ্যে বিতরণপুৰ্ব্বক অবশিষ্ট গরিবচুঃখীদের ছেলেদের দিবায় জন্ত চারিদিকে ছুটিয়া বেড়াইতেছে। কাজেই মাতুলকে গলদঘৰ্ম্ম হইয়া চঞ্চল ভাগিনেয়ীর অমুসরণ করিতে হইতেছিল । মণিহারীর দোকানগুলোর দিকেই সুহাসির বেশী ঝোঁক । কেন না, পাড়াগায়ের বধূ ও কন্যার বেরূপে মুখ বিকট করিয়া বেলওয়ারি চুড়ি ও শাখা পরিবার যন্ত্রণা সহ্য করিতেছিল, তেমন দৃপ্ত ইতিপূৰ্ব্বে সে আর কখন দেখে নাই । দেখিয়া দেখিয় তাহায় ভারি হাসি পাইতেছিল এবং কাশীতে ফিরিয়৷ কেমন তাহার খেলার সাথীদের সে অভিনয় দেখাষ্টবে ভাবিতে তাহার আনন্দের সীম ছিল না। বেলা প্রহর উত্তীর্ণ হইলে পুরাতন জমিদারগৃহ হইতে লক্ষ্মীনারায়ণবিগ্রহ মহাধুমধামে আনীত হইয়া রথে অধিষ্ঠিত হইলেন। কিছুক্ষণ পরে রথটান মুরু হইল । “জয় জগন্নাথ” রবে আকাশ-প্রান্তর-নদীবক্ষ কম্পিত করিয়া সহস্ৰ সহস্ৰ নরনারী রথরশ্মি অাকর্ষণ করিয়া চলিল । ঘোর ঘর্ঘরধ্বলি জাগ্ৰত করিয়া রথচক্রসকল আবর্তিত হইতে লাগিল । কিন্তু সহস্ৰহস্তপয়িমিত স্থান অতিক্রম করিতে না করিতে পুলিসের জাদেশে রথের গতি বন্ধ হইয়া গেল। মুহাসি মাইলের নিষেধ অগ্রাহ করিয়া রধটানায় যোগ দিছিল। সহসা রথচল বন্ধ হওয়ায় স্বয়ম্বর । ২৬৯ তাহার ক্ষোভের সীমা রহিল না। কনষ্টেবলদের লক্ষ্য করিয়া নিৰ্ভয়ে সে বলিয়া উঠিল, “মর, পোড়ারমুখে মিন্সের ” মধ্যাহ্লে সহসা পশ্চিম গগন প্রাস্ত আচ্ছাদিত করিয়া কালে মেঘ ঘনীভূত হইয়। উঠিল। সঙ্গে সঙ্গে প্রবল ঝড় দেখা দিল । রথের দিনে বৃষ্টিপাতের জন্ত সচরাচর লোকে প্রস্তুত থাকে, কিন্তু এরূপ প্রবল বাত্য বড় দেখা যায় না । জনস্রোত ছিল্প-বিচ্ছিন্ন হইয়৷ গ্রামাভিমুখে ছুটিয়া চলিল । উমাচরণ ছোট একখানি পাক্ষী করিয়া সুহাসিদের রথ দেখাইতে আনিয়াছিলেন । ক্ষুদ্ৰনদী যমুনার তীরে অশ্বখবটের ছায়াস্নিগ্ধ একটু নির্জন স্থান ছিল, ঝড় ও বৃষ্টির প্রাক্কালে নিরাপদ জানিয়া, সেইখানে তাহার নৌকা লইয়া গেলেন। نه ঝড় উঠিবার সময় কেহ লক্ষ্য করিয়া দেখে নাই যে, পদ্মাগর্ভে একখানি সওয়ারি নৌকা বেগে রথতলার দিকে অগ্রসর হুইতেছিল। মাঝিমাল্লারা প্রাণপণ যত্নে নৌকা যমুনার মোহানায় আনিয় ফেলিয়াছে, এমন-সময় একটা দমৃক বাতাস আলিয়৷ উহাকে একেবারে উল্টাইয়া দিল। মন্দীভূত জনস্রোতের ভিতর সকলেই আপন-অাপন প্রাণ লইয়া ব্যস্ত, বিপন্ন নৌযাত্রীদের উদ্ধার করিবার কেহ ছিল না । * * ( & ) t; শশাঙ্কশেখর রায় প্রায় সমস্তদিন প্রাণীধিক কন্যাকে না দেখিয়া অস্থির হইয়৷ উঠিলেন। কিছুতে মনঃস্থির করিতে না পারিয়া ঝড়বৃষ্টির পূৰ্ব্বেই পদব্রজে তিনি রথতলাভিমুখে অগ্রসর হইয়াছিলেন এবং