পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$oboe दछघ्नश्वॉन । [ ২য় বর্ষ, আশ্বিন । পশুপক্ষীদের অকৃত্রিম সৌহার্দ্যের সহিত নিবিড়ভাবে আকৃষ্ট । কালিদাস র্তাহার নাটকে যে বহিঃপ্রকৃতির বর্ণনা করিয়াছেন, তাহাকে বাহিরে ফেলিয়া রাখেন নাই, তাহাকে শকুন্তলার চরিত্রের মধ্যে উন্মেষিত করিয়া তুলিয়াছেন। সেইজন্ত বলিতেছিলাম, শকুন্তলাকে তাহার কাব্যগত পরিবেষ্টন হইতে বাহির করিয়া আন কঠিন । ফাদিনানের সহিত প্রণয়ব্যাপারেই মিরান্দার প্রধান পরিচয় ; আর, ঝড়ের সময় ভগ্নতরী হতভাগ্যদের জন্স ব্যাকুলতায় তাহার ব্যথিত হৃদয়ের করুণ প্রকাশ পাইয়াছে। শকুন্তলার পরিচয় আরো অনেক ব্যাপক। দুষ্যন্ত না দেখা দিলেও তাহার মাধুর্য্য বিচিত্রভারে হিরোলিত হইয়া উঠিত। তাহার হৃদয়লতিকা চেতন-অচেতন সকলকেই স্নেহের ললিতবেষ্টনে সুন্দর করিয়া বাধিয়াছে । সে তপোবনের তরু গুলিকে জলসেচনের সঙ্গে সঙ্গে লোদর স্নেহে অভিষিক্ত করিয়াছে। সে নবকুসুমযৌবন বনজ্যোৎস্নাকে স্নিগ্ধদৃষ্টির দ্বারা আপনার কোমল হৃদয়ের মধ্যে গ্ৰহণ করি য়াছে। শকুন্তলা যখন তপোবন ত্যাগ করিয়া পতিগৃহে যাইতেছে, তখন পদে পদে তাহার অাকর্ষণ, পদে পদে তাহার বেদন । বনের সহিত মানুষের বিচ্ছেদ যে এমন মৰ্ম্মান্তিক সকরুণ হইতে পারে, তাহা জগতের সমস্ত সাহিত্যের মধ্যে কেবল অভিজ্ঞানশকুন্তলের চতুর্থ অঙ্কে দেখা যায়। এই কাব্যে স্বভাব ও ধৰ্ম্মনিয়মের যেমন মিলন, মানুষ ও প্রকৃতির তেমনি মিলন । বিসদৃশের মধ্যে এমন একান্ত মিলনের ভাব বোধ করি ভারতবর্ষ ছাড়া অন্তু কোন দেশে সম্ভবপর হইতে পারে না। g శాశి বহিঃপ্রকৃতি, এরিয়েলের মধ্যে মানুষ-আকার ধারণ করিয়াছে, কিন্তু তবু সে মানুষের আত্মীয়তা হইতে দূরে রহিয়াছে। মানুষের সঙ্গে তাহার অনিচ্ছুক ভূত্যের সম্বন্ধ । সে স্বাধীন হইতে চায়, কিন্তু মানবশক্তি দ্বারা পীড়িত—আবদ্ধ হইয়া দাসের মত কাজ করিতেছে । তাহার হৃদয়ে স্নেহ নাই, তাহরে চক্ষে জল নাই। মিরান্দার নারীহৃদয় ও তাহার প্রতি স্নেহবিস্তার করে নাই । দ্বীপ হইতে যাত্রাকালে প্রস্পেরে ও মিরান্দার সহিত এরিয়েলের স্নিগ্ধ বিদায়সম্ভাষণ হইল না। টেম্পেষ্টে পীড়ন, শাসন, দমন- - শকুন্তলায় প্রীতি, শাস্তি, সদ্ভাব । টেম্পেষ্টে প্রকৃতি মানুষ-আকার ধারণ করিয়াও মামুমের সহিত হৃদয়ের সম্বন্ধে বদ্ধ হয় নাই— শকুন্তলায় গাছপালা-পশুপক্ষী আত্মস্বভাব রক্ষা করিয়াও মানুষের সহিত মধুর আত্মীয়ভাবে মিলিত হইয়া গেছে। শকুন্তলার আরম্ভেই যখন ধনুৰ্ব্বাণধারী রাজার প্রতি এই করুণ নিষেধ উখিত হইল—“ভো ভো রাজন আশ্রমমৃগোহয়ং ন হস্তব্যে ন হন্তব্যঃ”, তখন কাব্যের একটি মূল সুর বাজিয়া উঠিল। এই নিষেধটি আশ্রমমৃগের সঙ্গে সঙ্গে তাপসকুমারী শকুন্তলাকেও করুণাচ্ছাদনে আবরিত করিতেছে। ঋষি বলিতেছেন – “মৃদ্ধ এ মুগ.ে কে g মেরে ন৷ শর } স্বাধন দেবে কে হে , ফুলের পর ?