পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રાજે 8 বঙ্গদর্শন । আমি এসিয়াটিক সোসাইটির জারম্ভাল উলটাইতে গিয়া হারুণ আলরসিদের সভায় কতকগুলি প্রতিভাশালী ভারতীয় পণ্ডিতের আখ্যান বর্ণিত দেখিলাম । ইহা মওয়া ফিকুদিন আবু লকবাস আহমদ ইবন আবু উসাইবিয়াহ মহাশয়ের লিখিত । রেভারেও কিওর্টন্‌-সাহেবের দ্বারা ইহা অমুবাদিত এবং সংস্কৃতজ্ঞ বিচক্ষণ পণ্ডিত উইলসনসাহেব মহাশয়ের দ্বারা তাহার টিপ্পনী সহিত প্রকাশিত । আৰু উসাইবিয়াহ সাহেব খ্ৰীষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । পাঠক দেখিতে পাইবেন, এমন দিনও లిe o ছিল, যখন এই গ্রীষ্মাতিশয্যপ্রপীড়িত পাশ্চাত্যসভ্যতালোকবিহীন ভারতবর্ষও অলসতায় বা অজ্ঞানুতার অন্ধকারে নিমগ্ন না থাকিয়, সভ্যজগতের সুদূরপ্রান্ত পর্যান্ত দর্শন এবং বিজ্ঞানের স্নিগ্ধজ্যোতি বিকীর্ণ করিয়া মানবজাতিকে ধন্য করিয়াছিল । ভারতের সে সভ্যতা স্থির, গম্ভীর, শাস্ত, সমাহিত । প্রতীচ্য সভ্যতার প্রচণ্ড প্রখরতা বা আক্ষরিক ভেরীনিনাদ না থাকিলেও দেশে-বিদেশে এই স্তন্ধ সভ্যতার বিশ্বব্যাপিনী শক্তির ও পরিচয়ের অসদ্ভাব নাই । এখানে বলিয়া রাখা ভাল, এই পুস্তকে ভারতযর্ষীয় নামগুলি এমন বিকৃতমূৰ্ত্তিতে প্রকাশিভ যে, তাহ দেখিয়া অনেকসময় সেগুলিকে ভারতবর্ষীয় বলিয়া বোধ হয় না । বিজাতীয় ভাষায় নামের এরূপ বিকৃতি নুতন নহে। অতএব উদাহরণ দিয়া কালক্ষেপ করা বৃথা । এই সকল নামের অনেকগুলিই ভারতবর্ষের ইতিহাসে অপরিচিত । র্যাহাদের নাম, বহুদিন বিদেশে বাস করিতে [ ২য় বষ, আশ্বিন । করিতে স্বদেশে তাহদের, কীৰ্ত্তিকলাপ অজানিত হইয়া পড়িবে, ইহা বিচিত্র নয় । • অনুবাদ । দ্বাদশ পরিচ্ছেদ । ভারতবাসী “কানকা” । ভারতবর্ষীয় জ্ঞানীদিগের মধ্যে ইনি একজন মহী-জ্ঞানী এবং একজন খুব উচ্চশ্রেণীর পণ্ডিত। চিকিৎসাশাস্ত্রের অনেক বিষয় ইহার অনুসন্ধানে স্থিরীকৃত হইয়াছে । ঔষধাদির গুণ এবং অমিশ্র ও মিশ্র পদার্থের সম্বন্ধে তথ্যগুলি ইনি সম্যক অবগত ছিলেন । জ্যোতিৰ্ব্বিদায় পুথিবীতে ইহার দ্বিতীয় ছিল না । আবু মশহর জাফর বলেন, ইনিই - জ্যোতিষ-শাস্ত্রের প্রথম প্রবর্তক । ভারতবাসী সনজাহল । ইনি ও ভারতবর্ষের একজন প্রধান পণ্ডিত । ইহার ও চিকিৎসা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে অসাধারণ ব্যুৎপত্তি। গ্রহবিজ্ঞান-(Astrology)সম্বন্ধে ইনি বিশেষ চর্চা করিয়াছিলেন । সনজাহলের পর ভারতবর্ষে আর ও অনেকানেক প্রতিভাশালী ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন, যথা :– বাখর, দাহর, জাভর, রাহাহ, আনকর, আন্দি, শাকাঃ, জঙ্গল, জারী। চিকিৎসা এবং অন্যান্য শাস্ত্র সম্বন্ধে ইহাদের লিখিত অনেকানেক পুস্তক আছে। নক্ষত্রমণ্ডলীর গতিবিধিবিষয়ে বহু বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব এইগুলিতে পাওয়া যায়। ভারতবর্ষীয়েরা.এখন ইহাদেরই "হুকরণ করেন এবং ইহাদেরই মতানুসারে শিক্ষা দিয়া থাকেন । ইহাঙ্গের