পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] রাজতরঙ্গিণী । \ల)\రి আবিষ্কৃত হইয়াছে। তাহাতে সংবৎ, ঋতু, মাস ও निरनत्व উল্লেখ আছে। কেহ কেহ তাহাকে “বিক্রম-সংবৎ মনে করিয়া, তদনুসারে কালনির্দেশ করিয়া থাকেন। রাজতরঙ্গিণার এই অংশ বুঝিবার জন্য ঐ সকল শিলালিপির সমালোচনা করা অবিশুক । e মথুরার পুরাতন শিলালিপিতে কণিক্ষ, ড়েবিক্ষ ও বামুদেব নামক তিনজন নরপতির নাম প্রাপ্ত হওয়া যায় ; তাহারা “দেবপুত্র"নামে উল্লিখিত, এবং তাহাদের রাজ্যকাল “সংবৎ"সংজ্ঞায় লিপিবদ্ধ । জেনারেল কনিংহাম এই সকল শিলালিপির সমালোচনাকালে কণিক্ষকে প্রথম, হুবিক্ষকে দ্বিতীয় এবং বাসুদেবকে তৃতীয় নরপতি :লিয়া নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন। কণিক্ষের রাজমুদ্রা কাশ্মীর হইতে মালব, সিন্ধু হইতে বারাণসী পর্য্যন্ত প্রচলিত থাকার আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় । এই রাজমুদ্রার নাম “নানক” ; ইহা “মুচ্ছকটিক”নামক সংস্কৃতনাট্যগ্রন্থে উল্লিখিত আছে ; তাহাতে "বামুদেধে”রও নাম প্রাপ্ত হওয়া যায় । খৃষ্টাবির্ভাবের সমসময়ে আর্য্যাবৰ্ত্তে যে "তুরুষ্কা স্বয়সস্তুত কাঞ্চবংশীয়” কণিক্ষাদি রাজা বর্তমান ছিলেন, তাহা এক্ষণে স্থিরীকৃত হইয়াছে । এই সময়ের শিলালিপিতে ঋতু, মাস ও দিনের উল্লেখ করিবার সময়ে যে ভাবে ঋতুর সংখ্যা প্রদত্ত হইয়াছে, তাহাতে তৎকালে বৎসরে কেবল তিন ঋতু—গ্রীষ্ম, বর্ষা ও হেমন্ত—প্রচলিত থাক। জানিতে পারা যায়। ভারতবর্ষে চিরদিন বড় ঋতু পরিগণিত হইত না ; এক সময়ে তিন ঋতু, পরে চারি ঋতু, অবশেষে ছয় ঋতু পরিগণিত হইয়াছে। হিয়ঙ্গথসাঙ্গ,এই কথা লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। মৎস্তপুরাণে বর্ষাকাল চারিমাস বলিয়া লিখিত আছে ; মথুরার পুরাতন শিল। লিপিতে “গ্রীষ্মকালের চতুর্থ মাস” বলিয়া কালনির্দেশের পরিচয় আছে। সুতরাং পুরাকালে বৎসরে তিনটিমাত্র ঋতু প্রচলিত থাকায় যে কিংবদন্তী হিয়ঙ্গথ সাঙ্গ লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, তাহার অমুকুল প্রমাণের অভাব নাই। কালে তিন ঋতু হইতে ষড় ঋতু পরিকল্পিত হইয়াছে। কণিক্ষের শাসনসময়ে, দ্বিসহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে, ভারতবর্ষের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে বৎসরে তিনটিমাত্র ঋতু স্বপরিচিত ছিল। ইছ। হয় ত তুরুষ্কবংশয় দেবপুলনামধারী অভিনব ভূপতিবর্গের প্রবর্তিত কালগণনার নিয়ম । কণিক্ষবংশের প্রবল প্রতাপে কিছুদিনের জন্ত বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব বiদ্ধত হইবার কথা রাজতরঙ্গিণীতে দেখিতে পাওয়া যায় ; বৌদ্ধসাহিত্য এ কথার পক্ষসমর্থন করে । কণিক্ষের শাসনসময়ে বৌদ্ধদিগের এক মহাসভা ও ধৰ্ম্মালোচনার পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । এই সময়ে গান্ধার ও কাশ্মীর বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রধান কেন্দ্রভূমি বলিয়া সুপরিচিত হইয়াছিল ।” কণিক্ষের শাসনক্ষমতা ধে মথুরাঞ্চলে দৃঢ়প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, মথুরার শিললিপিই তাহার যথেষ্ট নিদর্শন। সে শাসনক্ষমতা মালব পর্য্যন্তও বিস্তৃত হইবার কথা পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ অকুমান করিয়া থাকেন। কারণ, কণিক্ষমুদ্র; তদেশেও প্রচলিত