পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সংখ্যা । ] রাজতরঙ্গিণী | \రి)(t বলিয়া ইহার নামকরণ করা যাইতে পারে। এই সংঘর্ষকালে পুনরায় সংস্কৃতশিক্ষা প্রচলিত হইয়াছিল ; পুনরায় বৈদিক ক্রিয়াকলাপের অভু্যদয় হইয়াছিল ; পুনরায় শৈবমতের প্রাঙ্কুর্ভাব হইয়াছিল । ভারতবর্ষের ইতিহাসের এই সন্ধিকালের কোন কথাই আদ্যোপাস্ত জ্ঞাত হইবার উপায় নাই । রাজতরঙ্গিণী প্রসঙ্গক্রমে তুরস্কবংশের শাসনকাহিনীর বর্ণনা করায়, যৎকিঞ্চিৎ আভাসমাত্রই প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে ; —সকল কথা অবগত হুইবার অা কাজক্ষা পরিতৃণ হয় নাই! তুরুন্ধান্বয়সস্তুত ভূপতিবর্গের শাসনসময়ে পুৰ্ব্বপ্রচলিত শিক্ষা ও সদাচার যে পরিবর্তিত হইয়া গিয়াছিল, কবি কহলণ তাহার উল্লেথ করিয়া গিয়াছেন । এই সময়ে সংস্কৃতভাষা কতদূর বিকৃতিপ্রাপ্ত হইয়াছিল, মথুরার শিলালিপিতে তাহার কিছু-কিছু एत्रांश्डॉंग्ल ॐयंiधुं झ७ध्रीं शृन् ि। धश्रl ३ -- “মহারাজস্ত রাজাতিরাজস্ত দেবপুত্রস্ত কবিক্ষস্ত বিহারে দানং ভিক্ষুস্ত জীবকস্ত উদেয়নকস্ত কুম্ভকে। ২৫ সৰ্ব্বসত্ত্বহিতস্থখং ভবতু সংঘে চতুর্দিশি ।” এই শিলালিপি পালি অক্ষরে খোদিত ; তুরুস্কায়সম্ভত জন্তান্ত ভূপতিবর্গের নামাঙ্কিত শিলালিপির অনুরূপ । এই সময়ে মহাভায্যের অধ্যয়ন-অধ্যাপনা পরিত্যক্ত হুইবার যে জনশ্রুতি কহলণ-পণ্ডিত লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, মথুয়ার শিলালিপি তাহার পরিচয় প্রদান করে । ইহায় অল্পকাল পরে “মৃচ্ছকটিক” রচিত হইয়াছিল, তখনও ব্যাকরণের শাসন পূর্ণরূপে সংস্থাপিত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় না ; "মৃচ্ছকটিকে”ই তাহার অনেক নিদর্শন প্রাপ্ত হওয়া যায়। কণিক্ষশাসনসময়ে আৰ্য্যাবর্তে যে শকংশের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল, তাহ সমুলে উৎসাদিত হইয়াছিল বলিয়া বোধ হয় না । শকগণ কাশ্মীর-গিরিসঙ্কট উত্তীর্ণ হইয়াই আৰ্য্যাবৰ্ত্তে উপনীত হইয়াছিলেন । এই ভারতাক্রমণপথ মধ্য-এসিয়ার প্রবল পুরুষদিগের নিকট সুপরিচিত হইয়াছিল । আমাদের সাহিত্যে কাশ্মীরের উত্তর-প্রদেশের সকল জাতিই শক অথবা ম্লেচ্ছ অথবা যবল নামে পরিচিত। তাহার। সকলে এক জাতি বা একবংশসম্ভ,ক্ত নহে। কাঞ্চবংশের স্তায় হন বংশের কথাও গুনিতে পাওয়া যায়। তাহারাও বাহুবলে ভারতবর্ষের বিবিধ প্রদেশ আক্রমণ ও অধিকার করিত ; এবং পুনঃপুন বিতাড়িত , হইলেও, পুনঃপুন আর্য্যাবৰ্ত্তে আপতিত হইত। এক সময়ে হনগৰ্ব্ব এরূপ প্রবল হইয়াছিল যে, কাশ্মীররাজ্য হনরাজবংশের সম্পূর্ণ অধিকারভুক্ত হইয়াছিল। কবি কহুলণ সে কথা স্পষ্টাক্ষরে লিপিবদ্ধ না করিলেও, তাহার গ্রন্থনিহিত মিহিরকুলনামক কাশ্মীরাধিপতি যে হনবংশায় ছিলেন, পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ তাহা সংস্থাপনের জন্ত নানা প্রমাণের অবতারণা করিয়াছেন । বাহুল্যভয়ে সে সকল প্রমাণ এই সংক্ষিপ্ত প্রবন্ধে আলোচিত হইল না । মিহিরকুল শৈবমতাবলম্বী ও বৌদ্ধবিদ্বেষী ছিলেন ; তাহার নামাঙ্কিত মুদ্রায় “জয়তু ৰুষ জয়তু বৃষধ্বজ” ইত্যাদি ইঙ্গিত প্রাপ্ত হওয়া যায়। বৌদ্ধমতের ন্যায় শৈবমতও একদা ভারতবর্ষের বাহিরে প্রবর্তিত হইয়াছিল । মিহিরকুল খৃষ্টীয় ষষ্ঠশতাব্দীর নরপতি। এই সময়ে আর্য্যাবর্তের বিবিধ প্রদেশের নর