পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

WoStr दक्रप्लेन् ि। [ ২য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । ছাত্রদের পড়াইতেছেন। তাহাদের মনে সত্যামুসন্ধিৎস জাগাইতে তৎপর হইয়াছেন, "পুরাণী’দের অজস্র নিন্দ করিতেছেন,— গ্রন্থ পুড়াইয়া দিতেছেন। দেখিতে পাই, র্তাহার প্রাণ এখনও কাঠিন্যময় রহিয়াছে, তবে মাথায় বুঝিতেছেন মাত্র যে, মামুষের হৃদয়ই মামুষের মুক্তিমূল। প্যারাসেলসাসকে এ কথাটি যুক্তিদ্বারা বুঝিয়া বুঝিয় তাহার পর হৃদয়ে লইতে হইতেছে—ঠিক হৃদয়ের স্বাভাবিক আন্দোলনে কথাটি বুঝিতে পারিতেছেন না,—এমনি কঠিন বন্মে তাছার মনুষ্যত্ব আরত হইয়া গেছে । তিনি মাথায় বুঝিতেছেন মাত্র— From God Down to the lowest spirit ministrant” ঈশ্বর হইতে আরম্ভ করিয়া ক্ষীণতম চিদ্বান পৰ্য্যন্ত—এই বিপুল চিৎসমষ্টির কাছে মামুষের বুদ্ধি কোথায় কোন অপরিমেয় অন্ধকারে হারাইয়া যায় ; কিন্তু প্রেম-বিশ্বাস ও আশা-ভয়েই মনুষ্যের মনুষ্যত্ব । এখন চতুর্থ থও। এ খণ্ডে এক ভীষণ যন্ত্রণ। ফেষ্টাসেরও চিরপ্রফুল্ল মুখখানিতে আজ দুঃখকালিমা ! —তাহার মাইকল আজ শিকড়জালের মধ্যে শিশিরসিঞ্চিত মৃৎকক্ষে অনস্তানদ্রায় নিদ্রিত ! তথাপি বিশ্বাসে ফেষ্টাসের হৃদয় স্থির হইয়া আছে! কিন্তু প্যারাসেলসাস ব্যালে’তে অপমানিত, পদচু্যত হইয়া একেবারে দুৰ্দ্ধান্ত হইয়া উঠিয়াছেন । এতদিন হৃদয়ের এক কোণে যে ব্যবসার প্রতি ধিক্কার উঠিতেছিল, অথচ কি-এক মোহে ঘাহা ছাড়িতে পারিতেছিলেন না, আজ সেই ব্যবস। হইতে র্তাহাকে জোর করিয়া ছাড়ান হইল । এতদিন প্যারাসেলসাস র্তাহার ব্যর্থপ্রায় জীবনকেও যথাসম্ভব সার্থক করিবার চেষ্ট৷ করিতেছিলেন, তাহার সেই মহা-উদ্দেশ্র্যের নৌকায় সন্দিগ্ধভাবে মৃদুমুক্ত হাল নাড়িতেছিলেন, যদিও বায়ু ও জীবনস্রোত র্তাহাকে অন্ত:প্লথ প্রদর্শন করিতেছিল, তথাপি পুৰ্ব্বপথের অভিমুথেই মুহূমৃদু হাল নাড়িতেছিলেন–কিন্তু সম্পূর্ণতা নহিলে সার্থকতা কোথায় ? পদে পদেই দেখিয়াছি, হৃদয়ের তিক্ততা প্যারাসেলসাসকে কিরূপ বিক্ষিপ্ত कब्रिटङ८छ् । किखु श्रांछ छौरुन पञांvनांब्र নিয়মে আবত্তিত হইয়! চারিদিকে কতগুলি ঘটনা টানিয়া আনিয়া, প্যারাসেলসাসকে র্তাহার মোহকর তীরের স্পর্শ হইতে ছিড়িয়। লইয়া, আপনার সম্পূর্ণতার দিকে ছুটিয়া চলিয়া গেল । এই “তাঁর সাথে শত ডোর” ছিড়িবার কালে প্যারাসেলসাসের কি কষ্ট ! —প্যারাসেলসাস নিপীড়নে অস্থির। একএকবার আহলাদে ফেষ্টাসকে বলিতেছেন বটে--তিনি পদচ্যুত হইয়াছেন, ভালই হইয়াছে, এখন আপন পথে যাইবেন ; কিন্তু অচিরেই অপমানকারীদের প্রতি তীব্র গালি প্রদান করিতেছেন, কথনে বা বলিতেছেন- “শিখিয়াছি,শিখিয়াছি ভাই,সেই অতি পুরাতন, অতি কাৰ্য্যকারী, ‘জোর-করিয়াশেখান’ বিধিটির কঠোর প্রয়োগে এবার শিথিয়াছি, কোন পথে আমাকে যাইতে হইবে”—আবার যেন রাগত হইয়া বলিতেছেন, “বাই, যাই, মুখচর্চায় যাই, নিতাস্ত জড়ময় ইন্দ্রিয়পরতন্ত্রতার যেটুকু মুখ, তাহাও ছাড়িব না।” বাস্তবিক সৰ্ব্বসত্ত্বময় নিপীড়লে