পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి(t: পারিতেছেন না। ফেষ্টাস বিলাপ করিতেছেন– “একি হইল ! করুণাময় পিতা ! একি করিলে ? এত-বড় জীবন এইরূপ বিধ্বস্তপ্রায় করিয়া ফেলিলে, আমি ত চিরকাল তোমার পদতলের শাস্তিময় ছায়াখানির প্রতি চিত্ত নিবদ্ধ করিয়া আছি, আমি ত কখনো ভ্রান্ত হইয়া তোমায় স্নেহময় দৃষ্টিকে হারাই নাই! আমার আর कि श्रद ?-किखु ७हे भशंज्रा ! हेनि যদিও তোমাকে সৰ্ব্বদা স্মরণ করেন নাই, তবু তোমারি পথে ত গিয়াছেন । একি ! কি করিলে ?” ক্রমে প্যারাসেলসাস জাগিয়া উঠিলেন–কিন্তু বড়ই শ্রান্ত ! “ফেষ্টাস, তুমি একটা-কিছু বল। যা ইচ্ছ, বল, শুধু তোমার কথা “শুনিতে চাই!” ফেষ্টাস গান করিতে আয়ম্ভ করিলেন । “আরও, আরও গাও !” ফেষ্টাস আরও গাহিতে লাগিলেন । প্যারাসেলসাসের প্রাণ খুলিয়া গেল । যেন একটা ভয়ঙ্কর কালো সাপ প্যারাসেলসাসের প্রাণের চারিধার হইতে কুণ্ডলী খুলিয়া লইয়। গানের স্বরে আস্তে আস্তে পলাইয়া গেল। প্যারাসেলসাসের প্রাণ খুলিয়া গিয়াছে। “ফেষ্টাস, আমি মরিয়া বাইতেছি,-জীবনের ঝড় থামিয়া গিয়াছে, এখন বুঝিতে পারিতেছি—কত-বড় আলোড়নটা হইয়া গিয়াছে। আজ আমার তরণী শান্ত-নিৰ্ম্মল আকাশের তলে সরল স্রোতে চলিয়৷ যাইতেছে—কিন্তু কিসের উপর দিয়া চলিতেছি? জল না স্থল ? সিন্ধু ষে লতাপাত-ভগ্নশাখায় আপনাকে ঢাকিয় প্রাস্তরের মত হইয়া চলিয়াছে—কত শাথ, কত পাত, বঙ্গদর্শন । [ ২য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক । উড়িয়া যাইতেছে, গাছ উম্মলিত হইয়া, উণ্ট হইয়া উড়িয়া চলিয়াছে, এখনও তাছাতে পার্থী রহিয়াছে—কত তীর ভাঙিয়া ছুটিয়া চলিয়াছে। আমার সমস্ত গতজীবনট যেন আমার চক্ষের উপর ছুটিয়া ৰাইতেছে— আমি একই কালে যেন ধেীবন, প্রৌঢ়বয়স, বাৰ্দ্ধকু্য, সমস্তে আপনাকে মণ্ডিত করিতেছি। আমি সমস্ত জীবনটা দেখিতে পাইতেছি, অথচ তাহার ভিতরে আমি মগ্ন নহি—আমি যেন মুক্ত হইয়া চলিয়াছি— প্রতি মুহূর্তে শক্তি বাড়িয়া উঠিতেছে, যেন ডুব দিবার আগে প্রাণে নানা নূতন অনুভবশক্তি জাগিয়া উঠিবে”—বলিতে বলিতে যেন প্যারাসেলসাসের শীর্ণগণ্ড প্রভাময় হইয়া উঠিল, কণ্ঠস্বর যৌবনের সমারোহে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল—শূন্যের উপর আঙুল অ’াকিয়া অভ্যাকিয়, যেন একখান খোলা বহির পংক্তি অমুসরণ করিতে করিতে, হঠাৎ উঠিয়া দাড়াইয়া প্যারাসেলসাস বলিতে আরম্ভ করিলেন। “কোথায় ? আমার পক্ষিপালক-শোভিতপ্রান্ত রক্তবর্ণ গাউন কোথায় ? আমি দাড়াইয়াই বরাবর বক্তৃতা করিতাম ! আমার তরবারি আমার হাতে দাও— “ফেষ্টাস, সত্যসত্যই জানিতাম। জানিতাম, কি মহৎ কার্য্যের জন্ত আমি আসিয়াছিলাম। অনেকে অস্তরের কথা ঠিক ন৷ শুনিয়। এদিক্‌ ওদিক্‌ ছুটিয়া মরে, শক্তির অপব্যয় করে—আমি প্রথম হইতেই আমার অন্তরের কথা জানিয়াছিলাম। জীবনের সমগ্র ক্ষেত্র আমার চক্ষে ভাসিয়াছিল। জানিতাম, এক অনন্তকালস্থায়ী শাস্তিকেক্স