পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

यछप्न अर्थन् । [ ২য় বর্ষ, কাৰ্ত্তিক বনন্তে, বৃক্ষের শিরে, শ্রাম ধরাতলে, • , শস্তশিরে উছলিবে অপূৰ্ব্ব প্রভায় । পড়িবে সন্ধ্যার আলো মৃদু-হিল্লোলিত তটিনীর বুকে-দুরে শুমি পল্লীমাঝে ধূসর স্তব্ধতা ভেদি উঠিবে স্বলিয়া মঙ্গলশঙ্খের ধ্বনি সন্ধ্যারতিমাঝে । স্বখে-দুঃখে তরঙ্গিয় স্তব্ধ মৌন প্রাণ মুক্ত হবে জগতের প্রাণের মাঝারে অনন্ত-পবনে । এ কি দুরাশ কেবলি ! হায় ! হায়! আমারি কি জীবন পাষাণ ? তুমি কি পাষাণ নহ হৃদয়-দেবতা ? জাগ্ৰত জগত-মাঝে মোর জাগরণ তোমারি চরণতলে,— সে চরণখনি এতই ফুলভ ওগো এত অকরুণ ! শ্ৰীনরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য সার সত্যের আলোচনা | 0----------سس-- জ্ঞান, জ্ঞাতা, জ্ঞেয় । আত্মজ্ঞানের কাঠিন্ত যে কোনখালে, তাহা বিগত প্রবন্ধে ইঙ্গিতে-আভাসে দেখানে হইয়াছে। যাহা দেখানো হইস্বাছে, তাহ আরো স্পষ্ট করিয়া দেখানে যাইতে পারে এইরূপে ৪— যাহা দৃষ্টিক্ষেত্রে প্রকাশ পায়, তাহারই নাম দৃশ্য ; যাহা জ্ঞানে প্রকাশ পায়, তাহরই নাম জ্ঞেয় । যখন আমার সন্মুখবর্তী ঐ শাখা হেলানিয়া তালগাছ’টা আমার দৃষ্টিক্ষেত্রে প্রকাশ পাইতেছে, “আমি ঐ শাখা-হেলানিয়া তালগাছট। তখন । দেখিতেছি” এই মোট বৃত্তান্তটি অামার জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছে । এরূপ স্থলে শাখা-হেলানিয়া তালগাছটা দৃশ্ব, এবং “আমি ঐ তালগাছটা দেখিতেছি” এই মোট বৃত্তাস্তটি জ্ঞেয় । ওটাই বা কেন দৃশ্ব, আর, এটাই বা কেন জ্ঞেয় ? ওটা ( তালগাছটা ) আমার চক্ষে প্রকাশ পাইতেছে বলিয়া দৃশ্ব ; এটা (অর্থাৎ “আমি ঐ তালগাছটা দেখিতেছি” এই মোট বৃত্তান্তটি ) আমার জ্ঞানে প্রকাশ পাইতেছে বলিয়া জ্ঞেয় । ওটার ব্যালায় যেমন এরূপ হইতে পারে না যে, তালগাছের বা তাহার কোনো