পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○や● তেমনি একই অপরিবর্তনীয়-রূপে প্রকাশ পাইতে পারি ; তাহা হইলেই জ্ঞাতৃস্থানে আমি আছি যেরূপ, জ্ঞেয়স্থানে " আমি প্রকাশ-পাই’ও সেইরূপ ; ইহারই নাম বাস্তবিক-সত্য-রূপে আপনার নিকটে প্রকাশ পাওয়া। আত্মা যখন এই প্রকার ধ্রুবসভ্য রূপে প্রকাশ পা’ন, তখন সেইরূপ প্রকাশই প্রকৃতপক্ষে আত্মজ্ঞান-শব্দের বাচ্য । এ যাহা বলিলাম—ইহাতে দাড়াইতেছে এই যে, আত্মজ্ঞান এবং সত্যজ্ঞান এপিট বঙ্গদর্শন। [ ২য় বর্ষ, কা ওপিট । এইরূপ প্রকৃত আত্মজ্ঞান সাধকের পক্ষে কতদূর সম্ভাবনীয়—কি-প্রকারেই বা সম্ভাবনীয়, তথৈব, সৰ্ব্বময় মহাশক্তিশালী এক অদ্বিতীয় সত্যবস্তুই বা কিরূপে জ্ঞানগম্য হইতে পারেন—এই সকল গভীর এবং গুরুতর বিষয়ের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতে হইবে অতীব সাবধানে—প্রশান্ত, প্রণত এবং ংযত ভাবে – তাহাতে প্রবৃত্ত হওয়া কৰ্ত্তব্য । অতএব আজিকের মতো এইখানেই বিশ্রাম করা শ্রেয় । শ্ৰীদ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর । কণপনা-সম্বল ভোর হতে নীলাকাশ ঢাকা কালে মেণে, ভিজে-ভিজে এলোমেলে৷ বায়ু বহে বেগে । কিছুই নাঙ্গিক হায় এ বুকের কাছে, যা কিছু আকাশে আর বাতাসেতে আছে ! চোখের বালি (d. 8 ) মহেন্দ্র তাহার মাতার ঘরে প্রবেশ করিতে যাইতেছে, তখন আশা তাড়াতাড়ি বাহির হইয়া আসিয়া কহিল—“এখন ও ঘরে যাইয়ে না।” মহেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল—“কেন ?” আশা কহিল—“ডাক্তার বলিয়াছেন, হঠাৎ মার মনে, মুখের হউকু, দুঃখের হউক, একটা কোন আঘাত লাগিলে বিপদ হইতে পারে।” মহেন্দ্র কহিল, “আমি একবার আস্তে আস্তে র্তাহার মাথার শিয়রের কাছে গিয়৷ দেখিয়া আসিগে-তিনি টের পাইবেন না।” আশা কহিল—“তিনি অতি অল্প শবেই চমকিয়া উঠিতেছেন, তুমি ঘরে ঢুকিলেই তিনি টের পাইবেন ।”