পাতা:বঙ্গদর্শন নবপর্যায় দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম সংখ্যা । ] মহেন্দ্র রুদ্ধকণ্ঠে কছিল, “মা তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়াছি, আমাকে মাপ কর ।” বক্ষ শাস্ত হইলে রাজলক্ষ্মী কছিলেন, “ও কথা বলিস নে মহিন, আমি তোকে মাপ না করিয়া কি বাচি ? বেীমা, বেীম কোথায় গেল ?” ' আশা পাশের ঘরে পথ্য তৈরি করিতেছিল –মন্নপূর্ণ তাহাকে ডাকিয়া আনি 【研刁协 তখন রাজলক্ষ্মী মহেন্দ্রকে ভূতল হইতে উঠিয় তাহার খাটে বসিতে ইঙ্গিত করিলেন । মহেন্দ্র খাটে বসিলে রাজলক্ষ্মী মহেঞ্জের পাশ্বে স্থান নির্দেশ করিয়৷ আশাকে কছিলেন, “বেীমা, এইখানে তুমি বোস-আজ আমি একবার তোমাদের দুজনকে একত্রে বসাইয়া দেখিব, তাহা হইলে আমার সকল দুঃখ ঘুচিবে । বেীমা, আমার কাছে আর লজ্জা করিয়ো না,-- আর মহিনের পরেও মনের মধ্যে কোন অভিমান না রাখিয়া একবার এইখানে বোস— আমার চোখ জুড়াও মা !” তখন ঘোমটা মাথার আশা লজ্জায় ধীরে ধীরে আসিয়া কম্পিতৰক্ষে মহেন্দ্রের পাশে আসিয়া বসিল রাজলক্ষ্মী স্বহস্তে আশার ডান হাত তুলিয়া লইয়৷ মহেঞ্জের ডান হাতে রাখিয়া চাপিয়া ধরিলেন—কছিলেন, “আমার এই মাকে তোর হাতে দিয়া গেলাম মছিল,--আমার এই কথাটি মনে রাখিস, তুই এমন লক্ষ্মী আর কোথাও পাবি নে ! মেজবে, এস, ইছাদের একবার আশীৰ্ব্বাদ कब्र--८डांभांब्र शूळुभा हेशरमब्र भत्रण cशोक् !” অন্নপূর্ণ সম্মুখে জাগিয়া দাড়াইতেই চোখের বালি । ○と○ উভয়ে চোখের,জলে র্তাহার পদধূলি গ্রহণ করিল। অন্নপূর্ণ উভয়ের মন্তক চুম্বন করিয়া’ কছিলেন, “ভগবান তোমাদের কল্যাণ করুন ।” রাজলক্ষ্মী। বিহারি, এস বাবা, মছিনকে তুমি একবার ক্ষম কর। বিহারী তথনি মহেন্ত্রের সম্মুখে আসিয়া দাড়াঙ্গতেই মহেন্দ্র উঠিয়া দৃঢ়বাহুদ্বারা বিহারীকে বক্ষে টানিয়া লষ্টয়া কোলাকুলি কৱিল । রাজলক্ষ্মী কছিলেন, “মহিন, আমি তোকে এই আশীৰ্ব্বাদ করি—শিশুকাল হইতে বিহারী তোর যেমন বন্ধু ছিল, চিরকাল তেমনি বন্ধু থাকৃ—ইহার চেয়ে তোর সৌভাগ্য আর কিছু হইতে পারে না ।” এই বলিয়। রাজলক্ষ্মী অত্যন্ত ক্লাস্ত হইয়া নিস্তব্ধ হইলেন । বিহারী একটা উত্তেজক ঔষধ তাছার মুখের কাছে আনিয়া ধরিতেই রাজলক্ষ্মী হাত সরাইয়া দিয়া কছিলেন, “আর ওষুধ না বাবা! এখন আমি ভগবানকে স্মরণ করি—তিনি আমাকে আমার সমস্ত সংসারদাহের শেষ ওষুধ দিবেন। মহিল, তোর একটুখানি বিশ্রাম করগে । বেীমা, এইবার রান্না চড়াইয়৷ দাও।” 参 সন্ধ্যাবেলায় বিস্থায়ী এবং মহেন্দ্র রাজলক্ষ্মীর বিছানার সম্মুখে নীচে পাত পাড়িয়া থাইভে বসিল । অাশার উপর রাজলক্ষ্মী পরিবেষণের ভার দিয়াছিলেন, সে পরিবেষণ করিতে লাগিল । মহেঞ্জের বক্ষের মধ্যে অশ্র উদ্বেলিত হইয়া উঠিতেছিল, তাহার মুখে অল্প উঠিতে